রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে সেবাগ্রহীতাদের মতবিনিময় সভা॥
- প্রকাশের সময় : ০৮:১২:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ জুলাই ২০১৭
- / ১৫৩৩ জন সংবাদটি পড়েছেন
স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে চিকিৎসা প্রদানের ক্ষেত্রে অবৈধ লেনদেন হলে ব্যবস্থা নেওয়ার অঙ্গীকার করলেন রাজবাড়ী সিভিল সার্জন ডা. মো: রহিম বকস ও সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: সুশীল কুমার রায় । বৃহস্পতিবার সকালে সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক), রাজবাড়ী’র উদ্যোগে রাজবাড়ী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে সেবাগ্রহীতাদের এক মতবিনিময় সভায় তারা এ অঙ্গীকার করেন। সনাক, রাজবাড়ী’র সদস্য খন্দকার তাহিরা হাসান এর সভাপতিত্বে হাসপাতালের স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্ণারে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সনাক সদস্য মো: জাহাঙ্গীর হোসেন। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সুশীল কুমার রায়। তিনি হাসপাতালের বিভিন্ন সেবা সম্পর্কে আলোচনা করেন।
পরে মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। মুক্ত আলোচনায় সেবাগ্রহীতাদের মধ্যে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন মাহফুজা আক্তার, নিয়ামত আলী, সিরাজ, নুরুল ইসলাম,সফিকুল, হোসনে আরা, তারা হাসপাতালে অবৈধ লেনদেন (বহি: বিভাগের টিকিট, প্যাথলজি টেষ্ট, বেড/কেবিন পেতে, ড্রেসিং করতে, ইনজেকশন পুশ করতে ইত্যাদি), নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ডাক্তারের উপস্থিতি, প্রতিদিন ওষুধের তালিকা হালনাগাদ করা ও ওষুধ প্রাপ্তি, রশিদ ছাড়া টাকা লেনদেন, নারী ও পুরুষদের জন্য আলাদা টেকনিসিয়ান ও চিকিৎসক, নারী-পুরুষের আলাদা কাউন্টার (টিকেট ওষুধ), ব্রেস্ট ফিডিং কর্ণার, নারী বিষয়ক সেবার জন্য আলাদা চার্ট তৈরী,পানি/পয়: নিস্কাশন ব্যবস্থা সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রশ্ন ও মতামত ব্যক্ত করেন। হাসপাতালের আরএমও ডা. সুশীল কুমার রায় সেবা গ্রহীতাদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন এবং বলেন, চিকিৎসা সেবা প্রদান বিষয়ক যে কোন সমস্য আমাকে জানালে নিয়মানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এজন্য তিনি হাসপাতালের ১১৭ নং রুম এ সকলকে যোগাযোগ করার পরমর্শ দেন।
হাসপাতালের সিভিল সার্জন বলেন, হাসপাতালে অবৈধ লেনদেন এর কোন সুযোগ নেই। বেড, কেবিন, ড্রেসিং করতে কোন অর্থ প্রদান করতে হয় না। সরবরাহ এর ভিত্তিতে সকল সেবাগ্রহীতাকে বিনামূল্যে ওষুধ প্রদান করা হয়। কেউ কোন অতিরিক্ত অর্থ আদায় করলে, তা কর্তৃপক্ষকে অবহিত করলে তিনি ব্যবস্থা গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি রশিদ ছাড়া কোন টাকা প্রদান না করতে সকলকে অনুরোধ করেন। পানি/পয়: নিষ্কাশন ব্যবস্থা সম্পর্কে বলেন, হাসপাতালে প্রতিদিন প্রায় ৫০০ থেকে ৬০০ রোগী চিকিৎসা নিতে আসেন এবং প্রায় ১০০ থেকে ১৫০ রুগী ভর্তি থাকে। কাজেই সব সময় পরিস্কার রাখা সম্ভব হয় না। তিনি বলেন, ৫০ শয্যার হাসপাতাল ১০০ শয্যায় উন্নতি করা হয়েছে কিন্ত জনবল পূর্বের মতই আছে। কাজেই সেবাগ্রহীতাদের অসন্তÍটি থাকাটা স্বাভাবিক। তারপরও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সীমিত জনবল নিয়ে মানসম্মত সেবা প্রদানের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন এবং সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন টিআইবি’র এরিয়া ম্যানেজান মো: আবু তাহের। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সাংবাদিক, সনাক সদস্য, ইয়েস গ্রুপের সদস্যবৃন্দ।