Dhaka ০৫:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

গোয়ালন্দে বছর না ঘুরতেই ৪০ লাখ টাকার রাস্তা জলে

সংবাদদাতা-
  • প্রকাশের সময় : ১০:০৯:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ মার্চ ২০২০
  • / ১৪৯৯ জন সংবাদটি পড়েছেন

জনতার আদালত অনলাইন ॥ গোয়ালন্দ উপজেলার ছোট ভাকলা ইউনিয়নে ৪০ লাখ টাকা ব্যায়ে নির্মিত পাকা সড়ক এক বছর না যেতেই ক্যানেলে ধ্বসে পড়েছে। এতেকরে ইতিমধ্যে ওই সড়ক দিয়ে যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে। চরম ভোগান্তিতে পড়েছে ওই সড়ক দিয়ে চলাচলকারী হাজার হাজার মানুষ।
সরেজমিন দেখা যায়, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) কর্তৃক নির্মিত পাকা সড়ক উপজেলার ছোট ভাকলা ইউনিয়নের চর আন্ধার মানিক হতে শুরু হয়ে চর কৃষ্ণপট্টি, মামুদপুর হয়ে চর বালিয়াকান্দির পশ্চিম অংশে গিয়ে শেষ হয়েছে। এর মধ্যে কৃষ্ণপট্টি ও মামুদপুর গ্রামের অংশ পদ্মা নদীর শাখা ক্যানেলের পাড় ঘেষে চর বালিয়াকান্দি মৌজা স্পর্শ করেছে। ক্যানেলের পাড় দিয়ে বয়ে যাওয়া সড়কের অন্তত ৩শ মিটার রাস্তা পাশের বিভিন্ন গাছসহ সম্পুর্ন ক্যানেলের মধ্যে ধ্বসে পড়েছে। এছাড়া ক্যানেলের অপর পাশের স্থানীয়দের ফসলী জমিও ধ্বসে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় নয়ন শিকদার, আক্কাছ শিকদার, নাসির উদ্দিন মোল্লাসহ অনেকেই জানান, পাকা রাস্তা নির্মানের ২ মাস যেতে না যেতেই ক্যানেলের পাড় ধ্বসে পড়তে শুরু করে। ৬ মাসের মধ্যে পুরো রাস্তা ধ্বসে পড়ে ক্যানেলে বিলীন হয়ে যায়। পাকা রাস্তা নির্মানের আগে থেকে এখান দিয়ে ছোটখাটো যানবাহন চলাচল করত। পাকা রাস্তা নির্মাণের পর তার সংখ্যা অনেক রেড়ে যায়। এ রাস্তা ব্যাবহার করে স্থানীয় কয়েক হাজার মানুষ হাট-বাজারে যাতায়াতসহ শিক্ষার্থীরা স্কুল-কলেজে যাওয়া আসা করত। কিন্তু মাত্র কয়েক দিনে রাস্তাটি ধ্বসে যাওয়ায় সেখান দিয়ে একটি বাইসাইকেল যাওয়ার মত পরিস্থিতি নেই। এতে তারা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন বলে তারা জানান।
এলজিডি গোয়ালন্দ উপজেলা কার্যালয় সূত্র জানায়, ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে গোয়ালন্দের ছোটভাকলা ইউনিয়নের চর আন্ধার মানিক রেললাইন থেকে শুরু হয়ে চর বালিয়াকান্দি পশ্চিম পার্শ্ব পর্যন্ত ৬৩৫ মিটার দীর্ঘ পাকা সড়ক নির্মাণ করা হয়। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স রাজবাড়ী টিম্বার এন্ড ট্রেডার্স ৪০ লাখ টাকা ব্যায় করে সড়কটি নির্মাণ কাজ শেষ করে। সড়কের পাশ দিয়ে পদ্মা নদীর শাখা ক্যানেল প্রবাহিত হয়েছে। রাস্তাটি নির্মাণ কাজ চলাকালেই পানি উন্নয়ন বোর্ড ওই শাখা খাল পুন:খনন করে। অপরিকল্পীত ভাবে রাস্তার পাশ দিয়ে গভীর করে খনন করায় বৃষ্টি ও পানি প্রবাহের চাপে রাস্তার অনেকটা অংশ ক্যানেলে ধ্বসে পড়েছে।
এ বিষয়ে গোয়ালন্দ উপজেলা প্রকৌশলী বজলুর রহমান খান জানান, পাউবো অপরিকল্পিত ভাবে খাল খনন করায় সড়কটি ধ্বসে পড়েছে। ফলে ওই সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে। ইতিমধ্যে গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুবায়েত হায়াত শিপলুসহ তারা ধ্বসে পড়া সড়কটি পরিদর্শন করেছেন। আশাকরি দ্রুত সময়ের মধ্যে রাস্তাটি সংস্কার করে যান চলাচলের উপযোগি করা সম্ভব হবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের রাজবাড়ী কার্যালয়ের উপ সহকারী প্রকৌশলী আরিফ সরকার জানান, ক্যানেলের অনেকটা জায়গা ব্যবহার করে রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। তারপরও বিষয়টি জনগুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় আমারা খাল পুন:খনন প্রকপ্লের ঠিকাদারের সাথে আলাপ করে রাস্তার ক্ষতিগ্রস্ত অংশে পাইলিং করে মেরাতমের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

গোয়ালন্দে বছর না ঘুরতেই ৪০ লাখ টাকার রাস্তা জলে

প্রকাশের সময় : ১০:০৯:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ মার্চ ২০২০

জনতার আদালত অনলাইন ॥ গোয়ালন্দ উপজেলার ছোট ভাকলা ইউনিয়নে ৪০ লাখ টাকা ব্যায়ে নির্মিত পাকা সড়ক এক বছর না যেতেই ক্যানেলে ধ্বসে পড়েছে। এতেকরে ইতিমধ্যে ওই সড়ক দিয়ে যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে। চরম ভোগান্তিতে পড়েছে ওই সড়ক দিয়ে চলাচলকারী হাজার হাজার মানুষ।
সরেজমিন দেখা যায়, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) কর্তৃক নির্মিত পাকা সড়ক উপজেলার ছোট ভাকলা ইউনিয়নের চর আন্ধার মানিক হতে শুরু হয়ে চর কৃষ্ণপট্টি, মামুদপুর হয়ে চর বালিয়াকান্দির পশ্চিম অংশে গিয়ে শেষ হয়েছে। এর মধ্যে কৃষ্ণপট্টি ও মামুদপুর গ্রামের অংশ পদ্মা নদীর শাখা ক্যানেলের পাড় ঘেষে চর বালিয়াকান্দি মৌজা স্পর্শ করেছে। ক্যানেলের পাড় দিয়ে বয়ে যাওয়া সড়কের অন্তত ৩শ মিটার রাস্তা পাশের বিভিন্ন গাছসহ সম্পুর্ন ক্যানেলের মধ্যে ধ্বসে পড়েছে। এছাড়া ক্যানেলের অপর পাশের স্থানীয়দের ফসলী জমিও ধ্বসে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় নয়ন শিকদার, আক্কাছ শিকদার, নাসির উদ্দিন মোল্লাসহ অনেকেই জানান, পাকা রাস্তা নির্মানের ২ মাস যেতে না যেতেই ক্যানেলের পাড় ধ্বসে পড়তে শুরু করে। ৬ মাসের মধ্যে পুরো রাস্তা ধ্বসে পড়ে ক্যানেলে বিলীন হয়ে যায়। পাকা রাস্তা নির্মানের আগে থেকে এখান দিয়ে ছোটখাটো যানবাহন চলাচল করত। পাকা রাস্তা নির্মাণের পর তার সংখ্যা অনেক রেড়ে যায়। এ রাস্তা ব্যাবহার করে স্থানীয় কয়েক হাজার মানুষ হাট-বাজারে যাতায়াতসহ শিক্ষার্থীরা স্কুল-কলেজে যাওয়া আসা করত। কিন্তু মাত্র কয়েক দিনে রাস্তাটি ধ্বসে যাওয়ায় সেখান দিয়ে একটি বাইসাইকেল যাওয়ার মত পরিস্থিতি নেই। এতে তারা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন বলে তারা জানান।
এলজিডি গোয়ালন্দ উপজেলা কার্যালয় সূত্র জানায়, ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে গোয়ালন্দের ছোটভাকলা ইউনিয়নের চর আন্ধার মানিক রেললাইন থেকে শুরু হয়ে চর বালিয়াকান্দি পশ্চিম পার্শ্ব পর্যন্ত ৬৩৫ মিটার দীর্ঘ পাকা সড়ক নির্মাণ করা হয়। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স রাজবাড়ী টিম্বার এন্ড ট্রেডার্স ৪০ লাখ টাকা ব্যায় করে সড়কটি নির্মাণ কাজ শেষ করে। সড়কের পাশ দিয়ে পদ্মা নদীর শাখা ক্যানেল প্রবাহিত হয়েছে। রাস্তাটি নির্মাণ কাজ চলাকালেই পানি উন্নয়ন বোর্ড ওই শাখা খাল পুন:খনন করে। অপরিকল্পীত ভাবে রাস্তার পাশ দিয়ে গভীর করে খনন করায় বৃষ্টি ও পানি প্রবাহের চাপে রাস্তার অনেকটা অংশ ক্যানেলে ধ্বসে পড়েছে।
এ বিষয়ে গোয়ালন্দ উপজেলা প্রকৌশলী বজলুর রহমান খান জানান, পাউবো অপরিকল্পিত ভাবে খাল খনন করায় সড়কটি ধ্বসে পড়েছে। ফলে ওই সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে। ইতিমধ্যে গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুবায়েত হায়াত শিপলুসহ তারা ধ্বসে পড়া সড়কটি পরিদর্শন করেছেন। আশাকরি দ্রুত সময়ের মধ্যে রাস্তাটি সংস্কার করে যান চলাচলের উপযোগি করা সম্ভব হবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের রাজবাড়ী কার্যালয়ের উপ সহকারী প্রকৌশলী আরিফ সরকার জানান, ক্যানেলের অনেকটা জায়গা ব্যবহার করে রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। তারপরও বিষয়টি জনগুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় আমারা খাল পুন:খনন প্রকপ্লের ঠিকাদারের সাথে আলাপ করে রাস্তার ক্ষতিগ্রস্ত অংশে পাইলিং করে মেরাতমের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।