Dhaka ১১:৩২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অবশেষে এক মঞ্চে জিল্লুল হাকিম এমপি-নুরে আলম সিদ্দিকী

সংবাদদাতা-
  • প্রকাশের সময় : ০৬:০৭:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ মার্চ ২০২২
  • / ১৭৮৫ জন সংবাদটি পড়েছেন

জনতার আদালত অনলাইন   দীর্ঘদিন পর একই মঞ্চে দেখা গেল রাজবাড়ী-২ আসনের সংসদ সদস্য জিল্লুল হাকিম ও বাংলাদেশ কৃষকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নুরে আলম সিদ্দিকী হককে। বুধবার জেলা কৃষকলীগের বর্ধিত সভায় মঞ্চে তারা পাশাপাশি বসেছিলেন। দুজনেই বলেছেন, তাদের মধ্যে ব্যক্তিগত কোনো বিরোধ বা সমস্যা নেই। সামনে তারা একসাথে পথ চলবেন।

রাজবাড়ী-২ আসনের সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জিল্লুল হাকিম বলেন, ছাত্রজীবন থেকে ছাত্রলীগ করে অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে আমি নেতৃত্বে আসতে সক্ষম হয়েছি। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আমার স্বপ্ন, আমার প্রাণ, আমার শক্তি। বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের পর রাজবাড়ী জেলার তিন উপজেলায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সংগঠন গড়ে তোলার কাজ করেছি। আমার পিঠে বঙ্গবন্ধুর ছোঁয়া আছে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে পথ চলি। আওয়ামী লীগের প্রতিটি সংগঠন আমার শরীরের অংশ। কৃষকলীগকে কেন দূরে ঠেলে দেব। নুরে আলম সিদ্দিকী হকের সাথে আমার ব্যক্তিগত কোনো সমস্যা বা শত্রুতা নেই। আমার এলাকার কেউ যদি উঠে আসে তাকে আমি অভিনন্দন জানাই। আজকের অনুষ্ঠানে আসার কথা শুনে আমাকে অনেকেই প্রশ্ন করেছিল। আমি তাদের বলেছি,  কৃষকলীগের সাথে আমার কোনো বিরোধ নেই। আমি অবশ্যই যাবো। কৃষকলীগ আওয়ামী লীগের দুই হাতের এক হাত।

শেখ হাসিনাকে যে কোনো মূল্যে ক্ষমতায় থাকতে হবে। তিনি ছাড়া সাধারণ মানুষের দুঃখ কেউ বোঝেনা। সাধারণ মানুষের জন্য তিনি অনেক কাজ করেছেন। আমাদের দলকে শক্তিশালী করতে হলে তৃণমূলকে গড়ে তুলতে হবে। অতীতের সমস্ত ভুল ভ্রান্তি, দ্বিধা, দ্বন্দ্ব ভুলে এক কাতারে দাঁড়াতে হবে।

বাংলাদেশ কৃষকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নুরে আলম সিদ্দিকী হক বলেন, দীর্ঘদিন পরে হলেও প্রিয় নেতা সাংসদ জিল্লুল হাকিম আর আমি এক মঞ্চে। অতীতে অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে। কিছু কুচক্রী তাদের নিজেদের স্বার্থের জন্য আমাদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে রেখেছিল। তার সাথে আমার ব্যক্তিগত কোনো শত্রুতা ছিলনা। এখনও নেই।

তিনি আরও বলেন, দেশের অনেক জেলায় কৃষকলীগ শক্তিশালী হলেও রাজবাড়ী জেলায় কৃষকলীগকে ওই  কুচক্রীমহলটি দুর্বল করে রেখেছিল। রাজবাড়ীতে যেন  কৃষকলীগের কার্যক্রম গতিশীল হয় সে লক্ষে সকলে মিলে পদক্ষেপ নিতে হবে। পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের দায়িত্ব নিতে হবে।

আমার জীবনের ব্যক্তিগত চাওয়া পাওয়া নেই। আমার কোনো মোহও নেই। কৃষকলীগকে শক্তিশালী করাই আমার লক্ষ্য। সকলে ঐক্যবদ্ধ থাকলে খুব তাড়াতাড়ি কৃষকলীগ একটি শক্তিশালী সংগঠনে রূপান্তরিত হবে।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

অবশেষে এক মঞ্চে জিল্লুল হাকিম এমপি-নুরে আলম সিদ্দিকী

প্রকাশের সময় : ০৬:০৭:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ মার্চ ২০২২

জনতার আদালত অনলাইন   দীর্ঘদিন পর একই মঞ্চে দেখা গেল রাজবাড়ী-২ আসনের সংসদ সদস্য জিল্লুল হাকিম ও বাংলাদেশ কৃষকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নুরে আলম সিদ্দিকী হককে। বুধবার জেলা কৃষকলীগের বর্ধিত সভায় মঞ্চে তারা পাশাপাশি বসেছিলেন। দুজনেই বলেছেন, তাদের মধ্যে ব্যক্তিগত কোনো বিরোধ বা সমস্যা নেই। সামনে তারা একসাথে পথ চলবেন।

রাজবাড়ী-২ আসনের সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জিল্লুল হাকিম বলেন, ছাত্রজীবন থেকে ছাত্রলীগ করে অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে আমি নেতৃত্বে আসতে সক্ষম হয়েছি। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আমার স্বপ্ন, আমার প্রাণ, আমার শক্তি। বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের পর রাজবাড়ী জেলার তিন উপজেলায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সংগঠন গড়ে তোলার কাজ করেছি। আমার পিঠে বঙ্গবন্ধুর ছোঁয়া আছে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে পথ চলি। আওয়ামী লীগের প্রতিটি সংগঠন আমার শরীরের অংশ। কৃষকলীগকে কেন দূরে ঠেলে দেব। নুরে আলম সিদ্দিকী হকের সাথে আমার ব্যক্তিগত কোনো সমস্যা বা শত্রুতা নেই। আমার এলাকার কেউ যদি উঠে আসে তাকে আমি অভিনন্দন জানাই। আজকের অনুষ্ঠানে আসার কথা শুনে আমাকে অনেকেই প্রশ্ন করেছিল। আমি তাদের বলেছি,  কৃষকলীগের সাথে আমার কোনো বিরোধ নেই। আমি অবশ্যই যাবো। কৃষকলীগ আওয়ামী লীগের দুই হাতের এক হাত।

শেখ হাসিনাকে যে কোনো মূল্যে ক্ষমতায় থাকতে হবে। তিনি ছাড়া সাধারণ মানুষের দুঃখ কেউ বোঝেনা। সাধারণ মানুষের জন্য তিনি অনেক কাজ করেছেন। আমাদের দলকে শক্তিশালী করতে হলে তৃণমূলকে গড়ে তুলতে হবে। অতীতের সমস্ত ভুল ভ্রান্তি, দ্বিধা, দ্বন্দ্ব ভুলে এক কাতারে দাঁড়াতে হবে।

বাংলাদেশ কৃষকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নুরে আলম সিদ্দিকী হক বলেন, দীর্ঘদিন পরে হলেও প্রিয় নেতা সাংসদ জিল্লুল হাকিম আর আমি এক মঞ্চে। অতীতে অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে। কিছু কুচক্রী তাদের নিজেদের স্বার্থের জন্য আমাদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে রেখেছিল। তার সাথে আমার ব্যক্তিগত কোনো শত্রুতা ছিলনা। এখনও নেই।

তিনি আরও বলেন, দেশের অনেক জেলায় কৃষকলীগ শক্তিশালী হলেও রাজবাড়ী জেলায় কৃষকলীগকে ওই  কুচক্রীমহলটি দুর্বল করে রেখেছিল। রাজবাড়ীতে যেন  কৃষকলীগের কার্যক্রম গতিশীল হয় সে লক্ষে সকলে মিলে পদক্ষেপ নিতে হবে। পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের দায়িত্ব নিতে হবে।

আমার জীবনের ব্যক্তিগত চাওয়া পাওয়া নেই। আমার কোনো মোহও নেই। কৃষকলীগকে শক্তিশালী করাই আমার লক্ষ্য। সকলে ঐক্যবদ্ধ থাকলে খুব তাড়াতাড়ি কৃষকলীগ একটি শক্তিশালী সংগঠনে রূপান্তরিত হবে।