Dhaka ০৬:৫১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভোটে জিততে না পারলে আত্মহত্যার হুমকি দিয়ে মেম্বার প্রার্থীর লিফলেট

সংবাদদাতা-
  • প্রকাশের সময় : ০৯:২৮:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জানুয়ারী ২০২২
  • / ১২৬৩ জন সংবাদটি পড়েছেন

জনতার আদালত অনলাইন ॥  ভোটে জিততে না পারলে আত্মহত্যার হুমকি দিয়ে লিফলেট দিয়েছেন রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার মৌরাট ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী রিপন আলী খান। শুধু তাই নয়, মৃত্যুর পরে ফাতেহা অনুষ্ঠানে মহিষ জবাই করে মানুষকে খাওয়ানোর কথাও লিখেছেন লিফলেটে। রিপন একই ইউনিয়নের বাগদুলি গ্রামের রতন আলী খানের ছেলে। তিনি পেশায় একজন ব্যবসায়ী ও এক সন্তানের জনক। ৫ জানুয়ারি পঞ্চম ধাপের নির্বাচনে তিনি বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন। এই ওয়ার্ডে মোট ছয়জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

বিষয়টি এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। তবে, রিপন খান বিষয়টি  অস্বীকার করে বলেছেন, কে বা কারা এ লিফলেট দিয়েছে তা তিনি জানেন না।

মানুষের কাছে ছড়িয়ে পড়া এ ফোর আকারের কম্পিউটার কম্পোজ করা লিফলেটে শিরোনাম দেওয়া আছে ‘নির্বাচনের সমর্থন চাই’। এরপর লেখা রয়েছে আমার নির্বাচনী প্রচারণা করা কিছুটা বিলম্ব হওয়ায় সবাই আমার ভুল ধরেছে। কেন আমি সবাইকে বলি নাই যে, আমি নির্বাচন করতে ইচ্ছুক। এরপর  নির্বাচনে যদি পরাজয় হয় সেজন্য ‘দায়ী’ ৩০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। যাদের মধ্যে রিপন খানের বাবা রতন আলী খানের নামও রয়েছে।

লিফলেটের তৃতীয় প্যারায় তার পরিবার ও আত্মীয় স্বজনের প্রতি যে অনুরাগ তা উল্লেখ করে লেখা হয়েছে, তার মৃত্যুর পর যেন তার সন্তানকে ভালোভাবে মানুষ করা হয়। এছাড়া কোথায় তার জানাজার নামাজ পড়া হবে, কোথায় দাফন করা হবে সেসবও উল্লেখ করা হয়েছে। লিফলেটের শেষে  গিয়ে লেখা হয়েছে; যদি নির্বাচনে হারার কারণে তার মৃত্যু হয় তাহলে তার কিনে রাখা মহিষটি জবাই করে যেন ফাতেহা অনুষ্ঠানে খাওয়ানো হয়। আর নির্বাচনে জিতলেও সেটি মানুষকে খাওয়ানো হবে।

এব্যাপারে মেম্বার প্রার্থী রিপন আলী খানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এসব আমি করিনি। কে করেছে তা তিনি জানেন না। মহিষ কেনার বিষয়টিও সঠিক নয়।

মৌরাট ইউপি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও পাংশা উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা মাহবুব হোসেন জানান, বিষয়টি তিনি শুনেছেন। এটি নির্বাচনী আচরণ বিপিধ লঙ্ঘনের পর্যায়ে পড়ে না বিধায় তার করণীয় কিছু নেই। তবে সে যে কাজ করেছে তা উচিৎ হয়নি। এটি কোনো স্বাভাবিক মানুষের কাজ নয়।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

ভোটে জিততে না পারলে আত্মহত্যার হুমকি দিয়ে মেম্বার প্রার্থীর লিফলেট

প্রকাশের সময় : ০৯:২৮:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জানুয়ারী ২০২২

জনতার আদালত অনলাইন ॥  ভোটে জিততে না পারলে আত্মহত্যার হুমকি দিয়ে লিফলেট দিয়েছেন রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার মৌরাট ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী রিপন আলী খান। শুধু তাই নয়, মৃত্যুর পরে ফাতেহা অনুষ্ঠানে মহিষ জবাই করে মানুষকে খাওয়ানোর কথাও লিখেছেন লিফলেটে। রিপন একই ইউনিয়নের বাগদুলি গ্রামের রতন আলী খানের ছেলে। তিনি পেশায় একজন ব্যবসায়ী ও এক সন্তানের জনক। ৫ জানুয়ারি পঞ্চম ধাপের নির্বাচনে তিনি বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন। এই ওয়ার্ডে মোট ছয়জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

বিষয়টি এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। তবে, রিপন খান বিষয়টি  অস্বীকার করে বলেছেন, কে বা কারা এ লিফলেট দিয়েছে তা তিনি জানেন না।

মানুষের কাছে ছড়িয়ে পড়া এ ফোর আকারের কম্পিউটার কম্পোজ করা লিফলেটে শিরোনাম দেওয়া আছে ‘নির্বাচনের সমর্থন চাই’। এরপর লেখা রয়েছে আমার নির্বাচনী প্রচারণা করা কিছুটা বিলম্ব হওয়ায় সবাই আমার ভুল ধরেছে। কেন আমি সবাইকে বলি নাই যে, আমি নির্বাচন করতে ইচ্ছুক। এরপর  নির্বাচনে যদি পরাজয় হয় সেজন্য ‘দায়ী’ ৩০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। যাদের মধ্যে রিপন খানের বাবা রতন আলী খানের নামও রয়েছে।

লিফলেটের তৃতীয় প্যারায় তার পরিবার ও আত্মীয় স্বজনের প্রতি যে অনুরাগ তা উল্লেখ করে লেখা হয়েছে, তার মৃত্যুর পর যেন তার সন্তানকে ভালোভাবে মানুষ করা হয়। এছাড়া কোথায় তার জানাজার নামাজ পড়া হবে, কোথায় দাফন করা হবে সেসবও উল্লেখ করা হয়েছে। লিফলেটের শেষে  গিয়ে লেখা হয়েছে; যদি নির্বাচনে হারার কারণে তার মৃত্যু হয় তাহলে তার কিনে রাখা মহিষটি জবাই করে যেন ফাতেহা অনুষ্ঠানে খাওয়ানো হয়। আর নির্বাচনে জিতলেও সেটি মানুষকে খাওয়ানো হবে।

এব্যাপারে মেম্বার প্রার্থী রিপন আলী খানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এসব আমি করিনি। কে করেছে তা তিনি জানেন না। মহিষ কেনার বিষয়টিও সঠিক নয়।

মৌরাট ইউপি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও পাংশা উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা মাহবুব হোসেন জানান, বিষয়টি তিনি শুনেছেন। এটি নির্বাচনী আচরণ বিপিধ লঙ্ঘনের পর্যায়ে পড়ে না বিধায় তার করণীয় কিছু নেই। তবে সে যে কাজ করেছে তা উচিৎ হয়নি। এটি কোনো স্বাভাবিক মানুষের কাজ নয়।