কালুখালীতে সাবেক ছাত্রলীগ নেতাসহ ৩ জনকে পিটিয়ে জখম ও বসতঘর ভাংচুরের অভিযোগে মামলা ॥ গ্রেপ্তারের ৩ ঘণ্টার মধ্যেই জামিনে মুক্ত চেয়ারম্যান মজনু
- প্রকাশের সময় : ০৫:৪৭:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ মার্চ ২০২২
- / ১৩৫৪ জন সংবাদটি পড়েছেন
জনতার আদালত অনলাইন ॥ রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার মদাপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক পারভেজ শেখসহ তিনজনকে পিটিয়ে জখম ও বসতঘর ভাংচুরের অভিযোগে মদাপুর ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মজনুসহ আটজনের বিরুদ্ধে কালুখালী থানায় মামলা হয়েছে। ভুক্তভোগী পারভেজ শেখ নিজে বাদী হয়ে শনিবার এ মামলা দায়ের করেন। পুলিশ মামলার প্রধান আসামি ইউপি মিজানুর রহমান মজনুকে গ্রেপ্তার করে। তবে, গ্রেপ্তারের তিন ঘণ্টার মধ্যেই আদালত তাকে জামিনে মুক্তি দেন।
গ্রেপ্তার মজনু কালুখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন। বিগত ইউপি নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।
এ মামলার অপর এজাহারভুক্ত আসামিরা হলো মুক্তার হোসেন, মো. খলিল, আবুল কালাম, সাজন ফকির, মন্টু মোল্লা, মিঠু ফকির ও সিরাজুল ইসলাম।
মামলায় বাদী পারভেজ শেখ অভিযোগ করেন, বিগত ইউপি নির্বাচনে তিনি, তার চাচাতো ভাই হারুন অর রশীদ, প্রতিবেশী ইউনুস আলী নৌকা প্রতীকের পক্ষে কাজ করেন। একারণে মিজানুর রহমান মজনু তাদের উপর ক্ষিপ্ত ছিল। গত বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে মজনুর নেতৃত্বে একদল দুর্বৃত্ত তাদের উপর হামলা চালায়। দুর্বৃত্তরা লোহার রড, লাঠিসোঠা দিয়ে তাদেরকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। তাদের আর্ত চিৎকারে লোকজন এগিয়ে এলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। পরে শুক্রবার সকালে আবারও হামলা চালিয়ে প্রথমে তার চাচাতো ভাই হারুন অর রশীদের বাড়ি ও পরে তার নিজের বসতবাড়ি ভাংচুর করে। দুর্বৃত্তরা যাবার সময় তার বোনের বিয়ের জন্য ঘরে রাখা নগদ এক লাখ ৩০ লাখ টাকা নিয়ে যায়।
কালুখালী থানার ওসি নাজমুল হাসান জানান, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা পারভেজ শেখের উপর হামলা ও বসতঘর ভাংচুরের ঘটনায় শনিবার দুপুরে ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মজনুকে কালুখালী উপজেলা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে আদালতে চালান করা হয়েছে। মামলার অপর আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
গ্রেপ্তার ইউপি চেয়ারম্যান মজনুকে বিকেলে আদালতে হাজির করা হলে আদালতের বিচারক জামিন মঞ্জুর করেন।