Dhaka ০৭:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ২৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রভাষককে কলার ধরে টেনে মারধর কর‌লেন সহযোগী অধ্যাপক

রবিউল আউয়াল, রাজবাড়ী
  • প্রকাশের সময় : ০৯:৫৫:৩২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫
  • / 264

রাজবাড়ী সরকারি কলেজে এক প্রভাষককে কলার ধরে টেনে মারধরের অভিযোগ উঠেছে একই কলেজের এক সহযোগী অধ্যাপকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ১০ সেকেন্ডের একটি ভিডিও জনতার আদালতের কাছে এসেছে। যেখানে মারধ‌রের অংশবিশেষ দেখা যায়।

ঘটনাটি ঘটে বুধবার (১৫ অক্টোবর) বিকেল ৪টার দিকে কলেজের একাডেমিক ভবনের নিচতলায়।

ভুক্তভোগী শিক্ষক হলেন হিসাববিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক এ কে এম আজাদুর রহমান। অভিযুক্ত শিক্ষক অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান মোস্তফা কামাল। তিনি কলেজের শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদকও।

প্রভাষক আজাদুর রহমান জানান, “আজ দুপুর একটার দিকে পরীক্ষার ডিউটি চলাকালে আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধু ও একই ক‌লে‌জের ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রভাষক কুতুব উদ্দিনকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন ইসলামের ইতিহাস বিভাগের আমির স্যার। এ ঘটনার পর কুতুব উদ্দিন অধ্যক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। আমি তার সঙ্গে ছিলাম। কুতুব অভিযোগ লিখে প্রিন্ট করতে যায়। এর মধ্যে মোস্তফা কামাল স্যার এসে আমাকে কলার ধরে টেনে নিচে নিয়ে গিয়ে কিল-ঘুষি মারতে থাকে। এতে আমার ঘাড়, চোখ ও মুখে আঘাত লাগে। পরে সন্ধ্যায় আমি সদর হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নিয়েছি। এ ঘটনার বিচার চাই, আমি মামলা করব।”

কুতুব উদ্দিন বলেন, “দুপুরে পরীক্ষার ডিউটি চলাকালে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ইসলামের ইতিহাস বিভাগের আমির স্যার আমাকে ধাক্কা দেয়। বিষয়টি নিয়ে আমি অধ্যক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। অভিযোগ লিখে প্রিন্ট করতে যাই। তখন মোস্তফা কামাল স্যার এসে আজাদুর রহমানকে বলে, ‘এই আজাদ, এদিকে এসো’—বলেই তাকে কলার ধরে নাক-মুখে কিল ঘুষি দেয়। বিষয়টি ঠেকাতে গেলে বাংলা বিভাগের শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলমকেও ঘুষি মারে মোস্তফা কামাল স্যার। আজাদুর রহমানকে আমরা হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ডাক্তার দেখিয়েছি। ওকে অনেক মারধর করা হয়েছে।”

এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক মোস্তফা কামাল বলেন, “ওরা একজন শিক্ষককে হুমকি দিয়েছে। বিষয়টি জানতেই আমি তাদের কাছে যাই। তখন আমার সাথেও আজাদুর খারাপ ব্যবহার করে। তাই কলার ধরেছি, তবে মারধর করিনি।” কোন শিক্ষককে হুমকি দেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “তার বাড়ি খুলনা, এখানে চাকরি করে।”

ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে রাজবাড়ী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর এ কে এম ইকরামুল করিম বলেন, “আমি শুনেছি দুই শিক্ষকের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়েছে। তবে মারধরের বিষয়টি আমি জানি না।”

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

প্রভাষককে কলার ধরে টেনে মারধর কর‌লেন সহযোগী অধ্যাপক

প্রকাশের সময় : ০৯:৫৫:৩২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫

রাজবাড়ী সরকারি কলেজে এক প্রভাষককে কলার ধরে টেনে মারধরের অভিযোগ উঠেছে একই কলেজের এক সহযোগী অধ্যাপকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ১০ সেকেন্ডের একটি ভিডিও জনতার আদালতের কাছে এসেছে। যেখানে মারধ‌রের অংশবিশেষ দেখা যায়।

ঘটনাটি ঘটে বুধবার (১৫ অক্টোবর) বিকেল ৪টার দিকে কলেজের একাডেমিক ভবনের নিচতলায়।

ভুক্তভোগী শিক্ষক হলেন হিসাববিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক এ কে এম আজাদুর রহমান। অভিযুক্ত শিক্ষক অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান মোস্তফা কামাল। তিনি কলেজের শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদকও।

প্রভাষক আজাদুর রহমান জানান, “আজ দুপুর একটার দিকে পরীক্ষার ডিউটি চলাকালে আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধু ও একই ক‌লে‌জের ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রভাষক কুতুব উদ্দিনকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন ইসলামের ইতিহাস বিভাগের আমির স্যার। এ ঘটনার পর কুতুব উদ্দিন অধ্যক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। আমি তার সঙ্গে ছিলাম। কুতুব অভিযোগ লিখে প্রিন্ট করতে যায়। এর মধ্যে মোস্তফা কামাল স্যার এসে আমাকে কলার ধরে টেনে নিচে নিয়ে গিয়ে কিল-ঘুষি মারতে থাকে। এতে আমার ঘাড়, চোখ ও মুখে আঘাত লাগে। পরে সন্ধ্যায় আমি সদর হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নিয়েছি। এ ঘটনার বিচার চাই, আমি মামলা করব।”

কুতুব উদ্দিন বলেন, “দুপুরে পরীক্ষার ডিউটি চলাকালে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ইসলামের ইতিহাস বিভাগের আমির স্যার আমাকে ধাক্কা দেয়। বিষয়টি নিয়ে আমি অধ্যক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। অভিযোগ লিখে প্রিন্ট করতে যাই। তখন মোস্তফা কামাল স্যার এসে আজাদুর রহমানকে বলে, ‘এই আজাদ, এদিকে এসো’—বলেই তাকে কলার ধরে নাক-মুখে কিল ঘুষি দেয়। বিষয়টি ঠেকাতে গেলে বাংলা বিভাগের শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলমকেও ঘুষি মারে মোস্তফা কামাল স্যার। আজাদুর রহমানকে আমরা হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ডাক্তার দেখিয়েছি। ওকে অনেক মারধর করা হয়েছে।”

এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক মোস্তফা কামাল বলেন, “ওরা একজন শিক্ষককে হুমকি দিয়েছে। বিষয়টি জানতেই আমি তাদের কাছে যাই। তখন আমার সাথেও আজাদুর খারাপ ব্যবহার করে। তাই কলার ধরেছি, তবে মারধর করিনি।” কোন শিক্ষককে হুমকি দেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “তার বাড়ি খুলনা, এখানে চাকরি করে।”

ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে রাজবাড়ী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর এ কে এম ইকরামুল করিম বলেন, “আমি শুনেছি দুই শিক্ষকের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়েছে। তবে মারধরের বিষয়টি আমি জানি না।”