ট্রাম্পের দাবি: ইউক্রেন একদিন রাশিয়ার হতে পারে

- প্রকাশের সময় : ০৮:৫৩:৩৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
- / 58
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মনে করেন, ইউক্রেন একদিন রাশিয়ার হতে পারে। প্রায় তিন বছর ধরে চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের শান্তিপূর্ণ সমাধানের পক্ষে প্রচারণা চালিয়ে ট্রাম্প গতকাল সোমবার ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘তারা হয়তো একটি চুক্তি করতে পারে, হয়তো করতে নাও পারে। তারা চাইলে রাশিয়ার অংশ হতে পারে, আবার নাও হতে পারে।’
এই সপ্তাহের শেষে ট্রাম্পের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। ট্রাম্প প্রশাসন বিশ্বাস করে, এই বৈঠক রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সমাপ্তি ত্বরান্বিত করতে পারে। জেলেনস্কির মুখপাত্র সেরগি নিখিফোরভ বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানান, আগামী শুক্রবার মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্সের অবসরে ভ্যান্স ও জেলেনস্কির মধ্যে বৈঠক হবে।
ট্রাম্প বলেন, যুদ্ধ বন্ধের জন্য একটি প্রস্তাব প্রস্তুত করছেন তার বিশেষ দূত কিথ কেলোগ। এই পরিকল্পনার আওতায় কেলোগ ২০ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেন সফর করবেন। তবে তার সফরের বিস্তারিত প্রকাশ করা হয়নি।
এদিকে, ট্রাম্প শুধু সমঝোতা নয়, লাভজনক চুক্তির কথাও ভাবছেন। তিনি বলেন, “আমরা ইউক্রেনকে যে পরিমাণ অর্থ সহায়তা দিয়েছি, তার বিনিময়ে কিছু প্রত্যাশা করাই স্বাভাবিক। কিয়েভের খনিজ সম্পদ, বিশেষ করে বিরল খনিজ দিয়ে এর বিনিময় মূল্য দেওয়া যেতে পারে।”
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সেখানে এত টাকা ঢালছি, আর আমি সেটার বিনিময় চাই। আমি তাদের বলেছি, আমি সমপরিমাণ কিছু চাই, যেমন—৫০০ বিলিয়ন ডলারের বিরল খনিজ, এবং তারা মূলত এতে সম্মত হয়েছে।’
তবে ইউক্রেন এ বিষয়ে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি রাশিয়ার সঙ্গে যেকোনো সমঝোতায় যাওয়ার আগে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে কঠোর নিরাপত্তা নিশ্চয়তা চাইছেন। ইউক্রেন আশঙ্কা করছে, যদি চুক্তিতে ন্যাটো সদস্যপদ বা শান্তিরক্ষী সেনা মোতায়েনের প্রতিশ্রুতি না থাকে, তাহলে রাশিয়া নতুন আক্রমণের জন্য সময় পেয়ে যাবে।
গতকাল একটি ভিডিও বার্তায় জেলেনস্কি বলেন, “ইউক্রেনের জন্য সত্যিকারের শান্তি ও কার্যকর নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দরকার। শুধুমাত্র ইউক্রেনের জন্য নয়, পুরো স্বাধীন বিশ্বের জন্যও এটি গুরুত্বপূর্ণ।”
ট্রাম্পের মধ্যস্থতা কি সফল হবে?
যদিও ট্রাম্প যুদ্ধ বন্ধে মধ্যস্থতা করতে চান, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এতদিন সরাসরি আলোচনায় বসতে রাজি হননি। এখনো পর্যন্ত দুই পক্ষকে আলোচনার টেবিলে আনতে ট্রাম্পের কোনো নির্দিষ্ট পরিকল্পনা প্রকাশ করা হয়নি।
সোর্স: আল-জাজিরা