Dhaka ০৭:০৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

পদ্মায় থেমে নেই ইলিশ শিকার

স্টাফ রিপোর্টার
  • প্রকাশের সময় : ০৮:৫৭:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২২
  • / ১১৯৭ জন সংবাদটি পড়েছেন

মা ইলিশ সংরক্ষনে ইলিশ শিকার, বিপনন ও মজুদ করার উপর বর্তমানে সরকারী নিষেধাজ্ঞা চলমান থাকলেও গোয়ালন্দের পদ্মা নদীতে থেমে নেই মা ইলিশ নিধন। প্রশাসনের অভিযানকে ফাঁকি দিয়ে নির্বিচারে চলছে ইলিশ শিকার।

জানা যায়, মা ইলিশের নিরাপদ প্রজননের জন্য সরকার ৭ আক্টোবর থেকে ২৮ আক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন ইলিশ শিকার, মজুদ ও বিপনন নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। এ প্রেক্ষিতে নিষেধাজ্ঞা কালীন সময়ে সরকার জেলেদের মধ্যে চাল বিতরণ করেছে। জেলেদের সচেতন করতে মৎস্য বিভাগ নিষেধাজ্ঞার বেশ কিছুদিন আগে থেকেই প্রচার প্রচারনা চালিয়েছেন। কিন্তু এত কিছুর পরও বন্ধ করা যায়নি পদ্মায় ইলিশ শিকার।

সরেজমিন পদ্মা নদীর দৌলতদিয়া বাহির চর, চর কর্ণেশন কলা বাগান এলাকায় দেখা যায়, অনেক জেলেই নৌকা নিয়ে নির্বিঘেœ মাছ শিকার করছেন। জেলেরা পদ্মা নদীতে ইলিশ মাছ শিকার করে দৌলতদিয়া চর কর্ণেশন এলাকার দূর্গম কলা বাগানে বিক্রি করছে। সেখানে ক্রেতাদের ভীরও ছিল চোখে পড়ার মত। ক্রেতা ও বিক্রেতাদের আনাগোনা তৈরী হয়েছে অস্থায়ী মাছ বাজার। আবার অনেক ক্রেতা জেলেদের সোর্সদের সাথে যোগাযোগ করে নিদিষ্ট স্থান থেকে মাছ কিনে নিচ্ছেন। কলা বাগান ছাড়াও দৌলতদিয়া ইউনিয়নের দুলাল বেপারী পাড়া, আইনদ্দিন প্রামাণিক পাড়া সহ আরো বেশ কয়েকটি স্থানে ইলিশ ক্রয়-বিক্রয় হচ্ছে। কলা বাগান এলাকায় দেখাযায়, নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ের জন্য পান-সিগারেট ও নাস্তার দোকান সহ বেশ কিছু ভ্রাম্যমাণ দোকান বসেছে।

খোঁজ নিয়ে যানা যায়, দৌলতদিয়া আক্কাছ আলী হাইস্কুলে সড়ক ও বাহির চর দৌলতদিয়া ছাত্তার মেম্বার পাড়া এলাকা থেকে প্রশাসনের অভিযান দেখলেই জেলেদের সোর্স মোবাইল ফোনে জেলেদের কাছে তথ্য পৌঁছিয়ে দেয়। প্রকৃত জেলেদের পাশাপাশি বেশ কিছু মৌসুমী জেলেরাও (শুধু নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ের ইলিশ শিকারী) ইলিশ শিকারে নেমেছেন।

ফারুক শেখ নামের এক মাছ ক্রেতা বলেন, ‘জেলেদের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করে কলা বাগান এলাকা থেকে ইলিশ মাছ কিনে নিলাম। কলা বাগান এলাকায় ক্রেতার সংখ্যা বেশি। তবে মাছের দাম স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে কম না।’

নাম প্রকাশ না কারা শর্তে এক জেলে জানান, কয়েকটি পয়েন্টে তাদের লোক মোবাইল নিয়ে বসে আছে। প্রশাসনের লোক দেখলেই তাদের নিকট ফোন চলে আসে। এরপর তারা দ্রæত নিরাপদ স্থানে চলে যায়।  তিনি আরো বলেন, ‘গত বছরের তুলনায় এ বছর পদ্মা নদীতে বড় সাইজের ইলিশের সংখ্যা বেশি।’

গোয়ালন্দ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা শাহারিয়ার জামান সাবু জানান, ইলিশ শিকার বন্ধে তারা নিয়মিত পদ্মা নদীতে অভিযান পরিচালনা করে আসছেন। অভিযানে শনিবার ৩ জেলেকে কারাদন্ড ও এক জেলেকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এসময় অন্তত ২০ হাজার মিটার জাল ও ১০ কেজি ইলিশ জব্দ করা হয়। পদ্মা পারের কয়েকটি স্থানে ইলিশ শিকার করে বিক্রির খবর শুনেছি। দ্রæত সময়ের মধ্যে ওই সকল স্থানেন কঠোর অভিযান পরিচালনা করা হবে।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

পদ্মায় থেমে নেই ইলিশ শিকার

প্রকাশের সময় : ০৮:৫৭:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২২

মা ইলিশ সংরক্ষনে ইলিশ শিকার, বিপনন ও মজুদ করার উপর বর্তমানে সরকারী নিষেধাজ্ঞা চলমান থাকলেও গোয়ালন্দের পদ্মা নদীতে থেমে নেই মা ইলিশ নিধন। প্রশাসনের অভিযানকে ফাঁকি দিয়ে নির্বিচারে চলছে ইলিশ শিকার।

জানা যায়, মা ইলিশের নিরাপদ প্রজননের জন্য সরকার ৭ আক্টোবর থেকে ২৮ আক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন ইলিশ শিকার, মজুদ ও বিপনন নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। এ প্রেক্ষিতে নিষেধাজ্ঞা কালীন সময়ে সরকার জেলেদের মধ্যে চাল বিতরণ করেছে। জেলেদের সচেতন করতে মৎস্য বিভাগ নিষেধাজ্ঞার বেশ কিছুদিন আগে থেকেই প্রচার প্রচারনা চালিয়েছেন। কিন্তু এত কিছুর পরও বন্ধ করা যায়নি পদ্মায় ইলিশ শিকার।

সরেজমিন পদ্মা নদীর দৌলতদিয়া বাহির চর, চর কর্ণেশন কলা বাগান এলাকায় দেখা যায়, অনেক জেলেই নৌকা নিয়ে নির্বিঘেœ মাছ শিকার করছেন। জেলেরা পদ্মা নদীতে ইলিশ মাছ শিকার করে দৌলতদিয়া চর কর্ণেশন এলাকার দূর্গম কলা বাগানে বিক্রি করছে। সেখানে ক্রেতাদের ভীরও ছিল চোখে পড়ার মত। ক্রেতা ও বিক্রেতাদের আনাগোনা তৈরী হয়েছে অস্থায়ী মাছ বাজার। আবার অনেক ক্রেতা জেলেদের সোর্সদের সাথে যোগাযোগ করে নিদিষ্ট স্থান থেকে মাছ কিনে নিচ্ছেন। কলা বাগান ছাড়াও দৌলতদিয়া ইউনিয়নের দুলাল বেপারী পাড়া, আইনদ্দিন প্রামাণিক পাড়া সহ আরো বেশ কয়েকটি স্থানে ইলিশ ক্রয়-বিক্রয় হচ্ছে। কলা বাগান এলাকায় দেখাযায়, নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ের জন্য পান-সিগারেট ও নাস্তার দোকান সহ বেশ কিছু ভ্রাম্যমাণ দোকান বসেছে।

খোঁজ নিয়ে যানা যায়, দৌলতদিয়া আক্কাছ আলী হাইস্কুলে সড়ক ও বাহির চর দৌলতদিয়া ছাত্তার মেম্বার পাড়া এলাকা থেকে প্রশাসনের অভিযান দেখলেই জেলেদের সোর্স মোবাইল ফোনে জেলেদের কাছে তথ্য পৌঁছিয়ে দেয়। প্রকৃত জেলেদের পাশাপাশি বেশ কিছু মৌসুমী জেলেরাও (শুধু নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ের ইলিশ শিকারী) ইলিশ শিকারে নেমেছেন।

ফারুক শেখ নামের এক মাছ ক্রেতা বলেন, ‘জেলেদের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করে কলা বাগান এলাকা থেকে ইলিশ মাছ কিনে নিলাম। কলা বাগান এলাকায় ক্রেতার সংখ্যা বেশি। তবে মাছের দাম স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে কম না।’

নাম প্রকাশ না কারা শর্তে এক জেলে জানান, কয়েকটি পয়েন্টে তাদের লোক মোবাইল নিয়ে বসে আছে। প্রশাসনের লোক দেখলেই তাদের নিকট ফোন চলে আসে। এরপর তারা দ্রæত নিরাপদ স্থানে চলে যায়।  তিনি আরো বলেন, ‘গত বছরের তুলনায় এ বছর পদ্মা নদীতে বড় সাইজের ইলিশের সংখ্যা বেশি।’

গোয়ালন্দ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা শাহারিয়ার জামান সাবু জানান, ইলিশ শিকার বন্ধে তারা নিয়মিত পদ্মা নদীতে অভিযান পরিচালনা করে আসছেন। অভিযানে শনিবার ৩ জেলেকে কারাদন্ড ও এক জেলেকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এসময় অন্তত ২০ হাজার মিটার জাল ও ১০ কেজি ইলিশ জব্দ করা হয়। পদ্মা পারের কয়েকটি স্থানে ইলিশ শিকার করে বিক্রির খবর শুনেছি। দ্রæত সময়ের মধ্যে ওই সকল স্থানেন কঠোর অভিযান পরিচালনা করা হবে।