Dhaka ০৯:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

রাজবাড়ীতে ‘কবর’ এর ২য় মঞ্চায়ন

সংবাদদাতা-
  • প্রকাশের সময় : ০৮:৪২:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ জুলাই ২০২২
  • / ১২৫৭ জন সংবাদটি পড়েছেন

জনতার আদালত অনলাইন ॥ ঐতিহ্যবাহী রাজবাড়ী থিয়েটারের প্রযোজনায় শহীদ বুদ্ধিজীবী মুনীর চৌধুরী রচিত ঐতিহাসিক নাটক কবর এর দ্বিতীয় মঞ্চায়ন শুক্রবার রাতে রাজবাড়ী জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

নাটকটির নির্দেশনায় ছিলেন ফয়েজুল হক কল্লোল। অভিনয়ে অংশ নেন বাবলা চৌধুরী, বিনয় কুমার সাহা, সৌমিত্র শীল চন্দন, কাজী মিজানুর রহমান পলাশ, স্মৃতি ইসলাম, রবিউল আওয়াল, আনিসুর রহমান, এহসান, রিপন চক্রবর্তী, সজীব ও সুরুজ প্রামানিক। আবহ সংগীতে ছিলেন হৈমন্তি বিজয়।

‘৫২র ভাষা আন্দোলনের উপর নির্মিত নাটকে দেখা যায়, এক মদ্যপ নেতা এবং চাটুকার পুলিশ ভাষা আন্দোলনে শহীদদের লাশ গুম করতে এসেছে। সেখানে উপস্থিত হয় একজন মুর্দা ফকির। কিন্তু লাশেরা সব উঠে দাঁড়ায় কবরে যেতে চায় না। মুর্দা ফকির-নেতা-হাফিজ আর লাশেদের সংলাপের মধ্য দিয়ে মুনীর চৌধুরী তুলে আনেন এক চিরন্তন সত্য। যারা অন্যায়ের সাথে আপস করে তারাই আসালে মৃত। কিন্তু যারা অন্যায়ের বিরুদ্ধে মাথা তুলে লড়াই করে তাদের কবরে আটকে রাখা যায় না। তারা অমর। ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে রচিত হলেও এই নাটকটি কালের সীমাকে অতিক্রম করে যায়।

নাটক শেষে এক আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন রাজবাড়ী থিয়েটারের আহ্বায়ক বাবলা চৌধুরী, শিল্পপতি নাাসিম শফি ও নির্দেশক ফয়েজুল হক কল্লোল।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

রাজবাড়ীতে ‘কবর’ এর ২য় মঞ্চায়ন

প্রকাশের সময় : ০৮:৪২:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ জুলাই ২০২২

জনতার আদালত অনলাইন ॥ ঐতিহ্যবাহী রাজবাড়ী থিয়েটারের প্রযোজনায় শহীদ বুদ্ধিজীবী মুনীর চৌধুরী রচিত ঐতিহাসিক নাটক কবর এর দ্বিতীয় মঞ্চায়ন শুক্রবার রাতে রাজবাড়ী জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

নাটকটির নির্দেশনায় ছিলেন ফয়েজুল হক কল্লোল। অভিনয়ে অংশ নেন বাবলা চৌধুরী, বিনয় কুমার সাহা, সৌমিত্র শীল চন্দন, কাজী মিজানুর রহমান পলাশ, স্মৃতি ইসলাম, রবিউল আওয়াল, আনিসুর রহমান, এহসান, রিপন চক্রবর্তী, সজীব ও সুরুজ প্রামানিক। আবহ সংগীতে ছিলেন হৈমন্তি বিজয়।

‘৫২র ভাষা আন্দোলনের উপর নির্মিত নাটকে দেখা যায়, এক মদ্যপ নেতা এবং চাটুকার পুলিশ ভাষা আন্দোলনে শহীদদের লাশ গুম করতে এসেছে। সেখানে উপস্থিত হয় একজন মুর্দা ফকির। কিন্তু লাশেরা সব উঠে দাঁড়ায় কবরে যেতে চায় না। মুর্দা ফকির-নেতা-হাফিজ আর লাশেদের সংলাপের মধ্য দিয়ে মুনীর চৌধুরী তুলে আনেন এক চিরন্তন সত্য। যারা অন্যায়ের সাথে আপস করে তারাই আসালে মৃত। কিন্তু যারা অন্যায়ের বিরুদ্ধে মাথা তুলে লড়াই করে তাদের কবরে আটকে রাখা যায় না। তারা অমর। ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে রচিত হলেও এই নাটকটি কালের সীমাকে অতিক্রম করে যায়।

নাটক শেষে এক আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন রাজবাড়ী থিয়েটারের আহ্বায়ক বাবলা চৌধুরী, শিল্পপতি নাাসিম শফি ও নির্দেশক ফয়েজুল হক কল্লোল।