Dhaka ০৬:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২১ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজবাড়ীতে মুখরিত শিক্ষাঙ্গন

সংবাদদাতা-
  • প্রকাশের সময় : ০৬:৫৫:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • / ১৪০৬ জন সংবাদটি পড়েছেন

জনতার আদালত অনলাইন ॥ দীর্ঘ ১৭ মাস পর খুলেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সীমিত পরিসরে বিদ্যালয়ে পাঠদান শুরু হলেও ছাত্র-ছাত্রীদের পদচারণায় মুখরিত ছিল শিক্ষাঙ্গন। কোথাও কোথাও শিক্ষক-শিক্ষিকরা বিদ্যালয়ে আসা ছাত্রÑছাত্রীদের ফুল দিয়ে বরণ করে নিয়েছেন। বন্যার পানি নেমে যাওয়ায় সংশয়ে থাকা বিদ্যালয়গুলোতে পাঠদান চালু হলেও উপস্থিতি ছিল কম। পাঠদান শুরুর দিনে বিভিন্ন বিদ্যালয় পরিদর্শন করেছেন রাজবাড়ীর জেলা প্রশানের কর্মকর্তাবৃন্দ।

রাজবাড়ী শহরের শেরেবাংলা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ে আসা ছাত্রীদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। তাপমাত্রা মাপার যন্ত্র দিয়ে শরীরের তাপমাত্র পরিমাপ করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে তারা বিদ্যালয়ে প্রবেশ করছে। এদিন ছিল  শুধু  দশম শ্রেণি ও এসএসসি পরীক্ষার্থীদের পাঠদান। যেখানে ১২৬ জন ছাত্রীর মধ্যে উপস্থিত ছিল ৮১ জন।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম জানান, আমরা সকল ছাত্রীর কাছে বিদ্যালয় খোলার বার্তা পাঠিয়েছি। কবে কোন শ্রেণির পাঠদান সেটিও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমরা পাঠদানের চেষ্টা করছি।

অপরদিকে শহরতলীর মিজানপুর ইউনিয়নের সিলিমপুর সরকারি   প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে জানা যায়, এ বিদ্যালয়ে ছাত্রÑছাত্রীর সংখ্যা ১০৮ জন। শুরুর দিনে ৩য় ও পঞ্চম শ্রেণির পাঠদান করা হয়। পঞ্চম শ্রেণিতে ১৩ জন ছাত্র-ছাত্রীর মধ্যে উপস্থিত ছিল আটজন। তৃতীয় শ্রেণিতে ১৫ জনের মধ্যে ছিল নয়জন।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইমান আলী ফকির জানান, বিদ্যালয়টি নদী তীরবর্তী। বন্যার পানি উঠে যাওয়ায় পাঠদান নিয়ে সংশয় ছিল। তবে পানি নেমে যাওয়ায় পাঠদান শুরু করতে পেরে খুশী তিনি। তিনি আরও জানান, বেরিবাঁধের ওপারে কিছু ছাত্র-ছাত্রী আছে সাঁকো পেরিয়ে তাদের আসা সম্ভব নয়। এছাড়া আর যারা আসেনি তাদের অভিভাবকদের কাছে ফোন করেছেন। কেউ  জানিয়েছেন তার সন্তান আত্মীয় বাড়ি গেছে। কেউ জানিয়েছেন কাদা বৃষ্টির কারণে আসতে পারেনি।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

রাজবাড়ীতে মুখরিত শিক্ষাঙ্গন

প্রকাশের সময় : ০৬:৫৫:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২১

জনতার আদালত অনলাইন ॥ দীর্ঘ ১৭ মাস পর খুলেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সীমিত পরিসরে বিদ্যালয়ে পাঠদান শুরু হলেও ছাত্র-ছাত্রীদের পদচারণায় মুখরিত ছিল শিক্ষাঙ্গন। কোথাও কোথাও শিক্ষক-শিক্ষিকরা বিদ্যালয়ে আসা ছাত্রÑছাত্রীদের ফুল দিয়ে বরণ করে নিয়েছেন। বন্যার পানি নেমে যাওয়ায় সংশয়ে থাকা বিদ্যালয়গুলোতে পাঠদান চালু হলেও উপস্থিতি ছিল কম। পাঠদান শুরুর দিনে বিভিন্ন বিদ্যালয় পরিদর্শন করেছেন রাজবাড়ীর জেলা প্রশানের কর্মকর্তাবৃন্দ।

রাজবাড়ী শহরের শেরেবাংলা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ে আসা ছাত্রীদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। তাপমাত্রা মাপার যন্ত্র দিয়ে শরীরের তাপমাত্র পরিমাপ করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে তারা বিদ্যালয়ে প্রবেশ করছে। এদিন ছিল  শুধু  দশম শ্রেণি ও এসএসসি পরীক্ষার্থীদের পাঠদান। যেখানে ১২৬ জন ছাত্রীর মধ্যে উপস্থিত ছিল ৮১ জন।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম জানান, আমরা সকল ছাত্রীর কাছে বিদ্যালয় খোলার বার্তা পাঠিয়েছি। কবে কোন শ্রেণির পাঠদান সেটিও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমরা পাঠদানের চেষ্টা করছি।

অপরদিকে শহরতলীর মিজানপুর ইউনিয়নের সিলিমপুর সরকারি   প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে জানা যায়, এ বিদ্যালয়ে ছাত্রÑছাত্রীর সংখ্যা ১০৮ জন। শুরুর দিনে ৩য় ও পঞ্চম শ্রেণির পাঠদান করা হয়। পঞ্চম শ্রেণিতে ১৩ জন ছাত্র-ছাত্রীর মধ্যে উপস্থিত ছিল আটজন। তৃতীয় শ্রেণিতে ১৫ জনের মধ্যে ছিল নয়জন।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইমান আলী ফকির জানান, বিদ্যালয়টি নদী তীরবর্তী। বন্যার পানি উঠে যাওয়ায় পাঠদান নিয়ে সংশয় ছিল। তবে পানি নেমে যাওয়ায় পাঠদান শুরু করতে পেরে খুশী তিনি। তিনি আরও জানান, বেরিবাঁধের ওপারে কিছু ছাত্র-ছাত্রী আছে সাঁকো পেরিয়ে তাদের আসা সম্ভব নয়। এছাড়া আর যারা আসেনি তাদের অভিভাবকদের কাছে ফোন করেছেন। কেউ  জানিয়েছেন তার সন্তান আত্মীয় বাড়ি গেছে। কেউ জানিয়েছেন কাদা বৃষ্টির কারণে আসতে পারেনি।