Dhaka ১২:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ১২ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পাংশায় আবাসিক হোটেল থেকে যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

সংবাদদাতা-
  • প্রকাশের সময় : ০৯:১৪:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ অগাস্ট ২০২০
  • / 452

জনতার আদালত অনলাইন ॥ রাজবাড়ীর পাংশা শহরের আবাসিক হোটেল লতিফ ভবনের একটি কক্ষ থেকে সোমবার দুপুরে মো. কাওসার নামে এক যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পাংশা থানার পুলিশ। হোটেলের রেজিস্টারে তার বাবার নাম আব্দুল বারী, ঠিকানা রামপুরা, ঢাকা দেয়া ছিল। তবে পুলিশ বলছে, ওই ঠিকানায় মো. কাওসার নামে কেউ নেই। পেশায় তিনি একজন পেইন্টার ছিলেন বলে জানা গেছে।

গত ২৭ জুলাই তারিখে কাওসার লতিফ ভবনের ৪০৯ নম্বর কক্ষ ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করেন। পাঁচ দিন থাকার কথা ছিল তার। সোমবার সকাল থেকে  তার কক্ষের দরজা বন্ধ ছিল। দীর্ঘ সময়েও দরজা না খোলায় পুলিশকে খবর দেয়া হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দরজা ভেঙে কক্ষের সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় গামছা পেচানো অবস্থায় তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে।

পাংশা থানার এসআই মাহবুবুল আলম জানান, যেহেতু দরজা বন্ধ ছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে সে আত্মহত্যা করেছে। হোটেলের রেজিস্টারে দেয়া ঠিকানায় যোগাযোগ করে এ নামে কাউকে পাওয়া যায়নি। তার মোবাইল ফোনও পানিতে ফেলে দিয়েছে বলে জানতে পেরেছি। তেমন কাগজপত্রও রেখে যায়নি। যেকারণে তার ঠিকানা খুঁজে পাওয়া দুষ্কর হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল মর্গে নিহতের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। এব্যাপারে একটি ইউডি মামলা হয়েছে। তার  ঠিকানা খুঁজে বের করার জন্য পাংশা থানার পাশাপাশি পিবিআইও চেষ্টা করছে। ইতিমধ্যে ত্রা আঙুলের ছাপ নিয়েছে পিবিআই।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

পাংশায় আবাসিক হোটেল থেকে যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

প্রকাশের সময় : ০৯:১৪:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ অগাস্ট ২০২০

জনতার আদালত অনলাইন ॥ রাজবাড়ীর পাংশা শহরের আবাসিক হোটেল লতিফ ভবনের একটি কক্ষ থেকে সোমবার দুপুরে মো. কাওসার নামে এক যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পাংশা থানার পুলিশ। হোটেলের রেজিস্টারে তার বাবার নাম আব্দুল বারী, ঠিকানা রামপুরা, ঢাকা দেয়া ছিল। তবে পুলিশ বলছে, ওই ঠিকানায় মো. কাওসার নামে কেউ নেই। পেশায় তিনি একজন পেইন্টার ছিলেন বলে জানা গেছে।

গত ২৭ জুলাই তারিখে কাওসার লতিফ ভবনের ৪০৯ নম্বর কক্ষ ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করেন। পাঁচ দিন থাকার কথা ছিল তার। সোমবার সকাল থেকে  তার কক্ষের দরজা বন্ধ ছিল। দীর্ঘ সময়েও দরজা না খোলায় পুলিশকে খবর দেয়া হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দরজা ভেঙে কক্ষের সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় গামছা পেচানো অবস্থায় তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে।

পাংশা থানার এসআই মাহবুবুল আলম জানান, যেহেতু দরজা বন্ধ ছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে সে আত্মহত্যা করেছে। হোটেলের রেজিস্টারে দেয়া ঠিকানায় যোগাযোগ করে এ নামে কাউকে পাওয়া যায়নি। তার মোবাইল ফোনও পানিতে ফেলে দিয়েছে বলে জানতে পেরেছি। তেমন কাগজপত্রও রেখে যায়নি। যেকারণে তার ঠিকানা খুঁজে পাওয়া দুষ্কর হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল মর্গে নিহতের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। এব্যাপারে একটি ইউডি মামলা হয়েছে। তার  ঠিকানা খুঁজে বের করার জন্য পাংশা থানার পাশাপাশি পিবিআইও চেষ্টা করছে। ইতিমধ্যে ত্রা আঙুলের ছাপ নিয়েছে পিবিআই।