Dhaka ০৩:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কাজে আসছে না ফেরিতে লাগানো ৫ কোটি টাকার ফগ লাইট

সংবাদদাতা-
  • প্রকাশের সময় : ০১:৫৫:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০১৯
  • / ২০৮৮ জন সংবাদটি পড়েছেন

জনতার আদালত অনলাইন ॥ রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের ফেরিতে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা ব্যয়ে ফগ অ্যান্ড সার্চলাইট সংযোজন করা হলেও কুয়াশায় তা কোন কাজেই আসছে না।
ফেরি সংশ্লিষ্টরা জানান, ঘন কুয়াশায় তো দুরের কথা হালকা কুয়াশায় ফেরী চালাতে এর কোন ভুমিকায় নেই। ফলে শীতের মৌসুমে প্রায় প্রতিদিইন ঘন কুয়াশা পরলে বন্ধ থাকছে ফেরি চলাচল, ভোগান্তি থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না এ রুটে চলাচলকারী হাজার হাজার যাত্রীর ও যানবাহন চালকেরা।
জানা গেছে ঘন কুয়াশার কারণে প্রতিবছরই দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দিনের পর দিন। এ সমস্যা থেকে রেহাই পেতে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা ব্যয়ে ফেরি খানজাহান আলী, শাহ আলী, কেরামত আলী, ভাষা শহীদ বরকত ও কে-টাইপ ফেরি কপোতি, বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমীন, বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর, শাহ আমানত ও শাহ পরান ফেরিতে ফগ অ্যান্ড সার্চ লাইট সংযোজন করা হয়। ২০১৫ সালের এপ্রিল মাসে পরীক্ষামূলক এ লাইটগুলো সংযোজন করা হলেও ওই বছরের শীত মৌসুমেও কোনো কাজ করেনি লাইটগুলো। এরপর চার বছর পার হলেও লাইটগুলো মেরামতে কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেনি কর্তৃপক্ষ।
চলতি সপ্তাহের সোমবার রাত সাড়ে ৩টার পর থেকে মঙ্গলবার সাড়ে ৯টা পর্যন্ত, মঙ্গলবার রাত ১১টার পর থেকে বুধবার সকাল ৯টা পর্যন্ত, বুধবার দিবাগত রাত ৩টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৫টার পর্যন্ত দুর্ঘটনা এড়াতে ফেরী সার্ভিস বন্ধ করে কতৃপক্ষ। ফলে যানবাহন চালক ও যাত্রীদের তীব্র ভোগান্তির স্বীকার হতে হচ্ছে।
গোলাম মাওলা ফেরীর শফি মাস্টার সহ একাধিক ফেরী (ক্যাপ্টে) চালক জানান, ফেরীতে যেসব লাইট আছে সেগুলো কুয়াশায় কোন কাজ করেনা। এই লাইট দিয়ে কুয়াশা ভেদ করে কিছুই দেখা যায় না। ফেরী চালাতে হলে নূন্যতম ১ হাজার ফুট সামনে স্পষ্ট দেখতে হয়। কিন্তু এই লাইটে তার কিছুই দেখা যায়না। যে কারণে যখন কুয়াশা পড়ে তখনই ফেরি বন্ধ করে অলস বসে থাকতে হয়। এ বিষয়ে এর আগে উর্দ্বতন কর্তৃপক্ষ পরিদর্শন করে গেছেন কিন্তু কোন লাভ হয় নাই। এর একটা ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন বলেও জানান তারা ।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্পোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) পাটুরিয়া ঘাট শাখার ডিজিএম জিল্লুর রহমান এর কাছে ফগলাইট সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, হেড অফিসে কথা বলুন। এ সম্পর্কে আমার কাছে কোন তথ্য নেই।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

কাজে আসছে না ফেরিতে লাগানো ৫ কোটি টাকার ফগ লাইট

প্রকাশের সময় : ০১:৫৫:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০১৯

জনতার আদালত অনলাইন ॥ রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের ফেরিতে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা ব্যয়ে ফগ অ্যান্ড সার্চলাইট সংযোজন করা হলেও কুয়াশায় তা কোন কাজেই আসছে না।
ফেরি সংশ্লিষ্টরা জানান, ঘন কুয়াশায় তো দুরের কথা হালকা কুয়াশায় ফেরী চালাতে এর কোন ভুমিকায় নেই। ফলে শীতের মৌসুমে প্রায় প্রতিদিইন ঘন কুয়াশা পরলে বন্ধ থাকছে ফেরি চলাচল, ভোগান্তি থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না এ রুটে চলাচলকারী হাজার হাজার যাত্রীর ও যানবাহন চালকেরা।
জানা গেছে ঘন কুয়াশার কারণে প্রতিবছরই দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দিনের পর দিন। এ সমস্যা থেকে রেহাই পেতে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা ব্যয়ে ফেরি খানজাহান আলী, শাহ আলী, কেরামত আলী, ভাষা শহীদ বরকত ও কে-টাইপ ফেরি কপোতি, বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমীন, বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর, শাহ আমানত ও শাহ পরান ফেরিতে ফগ অ্যান্ড সার্চ লাইট সংযোজন করা হয়। ২০১৫ সালের এপ্রিল মাসে পরীক্ষামূলক এ লাইটগুলো সংযোজন করা হলেও ওই বছরের শীত মৌসুমেও কোনো কাজ করেনি লাইটগুলো। এরপর চার বছর পার হলেও লাইটগুলো মেরামতে কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেনি কর্তৃপক্ষ।
চলতি সপ্তাহের সোমবার রাত সাড়ে ৩টার পর থেকে মঙ্গলবার সাড়ে ৯টা পর্যন্ত, মঙ্গলবার রাত ১১টার পর থেকে বুধবার সকাল ৯টা পর্যন্ত, বুধবার দিবাগত রাত ৩টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৫টার পর্যন্ত দুর্ঘটনা এড়াতে ফেরী সার্ভিস বন্ধ করে কতৃপক্ষ। ফলে যানবাহন চালক ও যাত্রীদের তীব্র ভোগান্তির স্বীকার হতে হচ্ছে।
গোলাম মাওলা ফেরীর শফি মাস্টার সহ একাধিক ফেরী (ক্যাপ্টে) চালক জানান, ফেরীতে যেসব লাইট আছে সেগুলো কুয়াশায় কোন কাজ করেনা। এই লাইট দিয়ে কুয়াশা ভেদ করে কিছুই দেখা যায় না। ফেরী চালাতে হলে নূন্যতম ১ হাজার ফুট সামনে স্পষ্ট দেখতে হয়। কিন্তু এই লাইটে তার কিছুই দেখা যায়না। যে কারণে যখন কুয়াশা পড়ে তখনই ফেরি বন্ধ করে অলস বসে থাকতে হয়। এ বিষয়ে এর আগে উর্দ্বতন কর্তৃপক্ষ পরিদর্শন করে গেছেন কিন্তু কোন লাভ হয় নাই। এর একটা ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন বলেও জানান তারা ।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্পোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) পাটুরিয়া ঘাট শাখার ডিজিএম জিল্লুর রহমান এর কাছে ফগলাইট সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, হেড অফিসে কথা বলুন। এ সম্পর্কে আমার কাছে কোন তথ্য নেই।