Dhaka ০৫:০১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইন্দোনেশিয়ায় সপ্তাহে তিন দিন ছুটির নতুন নিয়ম

ডেস্ক নিউজ
  • প্রকাশের সময় : ১২:৩৪:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / 34

পরীক্ষামূলকভাবে সফল হওয়ার ছয় মাস পর চার দিনের কর্ম সপ্তাহ চালু করেছে ইন্দোনেশিয়ার একটি মন্ত্রণালয়। আজ রবিবার যুক্তরাজ্যভিত্তিক দ্য ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, ‘কমপ্রেসড ওয়ার্ক শিডিউল’ নামে পরিচিত এই উদ্যোগটি স্বেচ্ছাসেবার ভিত্তিতে চালু করা হয়েছে।

এই নিয়মের অধীনে সপ্তাহে তিন দিন ছুটি কাটানোর সুযোগ পাবেন যারা চার দিনের মধ্যে ৪০ ঘণ্টার কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন।

নিয়ম অনুযায়ী কর্মচারীরা মাসে দুই সপ্তাহে এই সুবিধা নিতে পারবেন। তবে যারা নির্ধারিত ৪০ ঘণ্টার কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন না, তাঁদের জন্য আগের পাঁচ দিনের কর্ম সপ্তাহই বহাল থাকবে।

ইন্দোনেশিয়ার মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা, প্রযুক্তি ও তথ্যবিষয়ক উপমন্ত্রী টেডি ভরত বলেন, “যারা এক সপ্তাহে ৪০ ঘণ্টার কাজ সম্পন্ন করতে পারেন, তারা চাইলে চার দিনের কর্ম সপ্তাহ নিতে পারবেন। তবে এটি বাধ্যতামূলক নয় এবং অনুমোদন সাপেক্ষ।”

প্রাথমিকভাবে, এই কর্মসূচি শুধুমাত্র রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত মন্ত্রণালয়ে কার্যকর করা হয়েছে। তবে সফলতা পেলে দেশব্যাপী সম্প্রসারণের সম্ভাবনা রয়েছে।

গত বছরের মার্চে পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা এই কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য কর্মীদের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করা।

মন্ত্রণালয়ের প্রধান এরিক তোহির বলেন, “তরুণ কর্মচারীদের মধ্যে ৭০ শতাংশ মানসিক সমস্যায় ভুগছে। এই কর্মসূচি তাদের মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করবে।” তিনি আরও বলেন, “এই উদ্যোগ কর্মীদের অলস বানানোর জন্য নয়। এটি এমন নয় যে প্রত্যেক শুক্রবার ছুটি থাকবে। যারা নির্ধারিত ৪০ ঘণ্টা কাজ সম্পন্ন করবেন, শুধুমাত্র তারাই অতিরিক্ত একদিন ছুটি পাবেন।”

এক জরিপে দেখা গেছে, অধিকাংশ কর্মীই কর্ম-জীবনের ভারসাম্য বজায় রাখার এই উদ্যোগের পক্ষে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশেও চার দিনের কর্ম সপ্তাহ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে—

বেলজিয়াম ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রথম দেশ হিসেবে ২০২২ সালে চার দিনের কর্ম সপ্তাহ চালু করে। এছাড়াও জাপানের কিছু শহরে পরীক্ষামূলকভাবে চার দিনের কর্ম সপ্তাহ চালু করা হয়েছে, কারণ প্রতি বছর সেখানে ৫৪ জন কর্মী অতিরিক্ত কাজের ফলে মারা যান।

২০২৪ সালের এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, যুক্তরাজ্যের ২০০টি কোম্পানি স্থায়ীভাবে চার দিনের কর্ম সপ্তাহ গ্রহণ করেছে এবং কর্মীদের বেতন অপরিবর্তিত রেখেছে।

এক জরিপে দেখা গেছে, ৫৮ শতাংশ মানুষ মনে করেন, ২০৩০ সালের মধ্যে সপ্তাহে তিন দিনের ছুটির সংস্কৃতি সাধারণ নিয়ম হয়ে যাবে।

সূত্র: দ্যা জাকার্তা পোস্ট

 

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

ইন্দোনেশিয়ায় সপ্তাহে তিন দিন ছুটির নতুন নিয়ম

প্রকাশের সময় : ১২:৩৪:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

পরীক্ষামূলকভাবে সফল হওয়ার ছয় মাস পর চার দিনের কর্ম সপ্তাহ চালু করেছে ইন্দোনেশিয়ার একটি মন্ত্রণালয়। আজ রবিবার যুক্তরাজ্যভিত্তিক দ্য ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, ‘কমপ্রেসড ওয়ার্ক শিডিউল’ নামে পরিচিত এই উদ্যোগটি স্বেচ্ছাসেবার ভিত্তিতে চালু করা হয়েছে।

এই নিয়মের অধীনে সপ্তাহে তিন দিন ছুটি কাটানোর সুযোগ পাবেন যারা চার দিনের মধ্যে ৪০ ঘণ্টার কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন।

নিয়ম অনুযায়ী কর্মচারীরা মাসে দুই সপ্তাহে এই সুবিধা নিতে পারবেন। তবে যারা নির্ধারিত ৪০ ঘণ্টার কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন না, তাঁদের জন্য আগের পাঁচ দিনের কর্ম সপ্তাহই বহাল থাকবে।

ইন্দোনেশিয়ার মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা, প্রযুক্তি ও তথ্যবিষয়ক উপমন্ত্রী টেডি ভরত বলেন, “যারা এক সপ্তাহে ৪০ ঘণ্টার কাজ সম্পন্ন করতে পারেন, তারা চাইলে চার দিনের কর্ম সপ্তাহ নিতে পারবেন। তবে এটি বাধ্যতামূলক নয় এবং অনুমোদন সাপেক্ষ।”

প্রাথমিকভাবে, এই কর্মসূচি শুধুমাত্র রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত মন্ত্রণালয়ে কার্যকর করা হয়েছে। তবে সফলতা পেলে দেশব্যাপী সম্প্রসারণের সম্ভাবনা রয়েছে।

গত বছরের মার্চে পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা এই কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য কর্মীদের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করা।

মন্ত্রণালয়ের প্রধান এরিক তোহির বলেন, “তরুণ কর্মচারীদের মধ্যে ৭০ শতাংশ মানসিক সমস্যায় ভুগছে। এই কর্মসূচি তাদের মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করবে।” তিনি আরও বলেন, “এই উদ্যোগ কর্মীদের অলস বানানোর জন্য নয়। এটি এমন নয় যে প্রত্যেক শুক্রবার ছুটি থাকবে। যারা নির্ধারিত ৪০ ঘণ্টা কাজ সম্পন্ন করবেন, শুধুমাত্র তারাই অতিরিক্ত একদিন ছুটি পাবেন।”

এক জরিপে দেখা গেছে, অধিকাংশ কর্মীই কর্ম-জীবনের ভারসাম্য বজায় রাখার এই উদ্যোগের পক্ষে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশেও চার দিনের কর্ম সপ্তাহ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে—

বেলজিয়াম ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রথম দেশ হিসেবে ২০২২ সালে চার দিনের কর্ম সপ্তাহ চালু করে। এছাড়াও জাপানের কিছু শহরে পরীক্ষামূলকভাবে চার দিনের কর্ম সপ্তাহ চালু করা হয়েছে, কারণ প্রতি বছর সেখানে ৫৪ জন কর্মী অতিরিক্ত কাজের ফলে মারা যান।

২০২৪ সালের এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, যুক্তরাজ্যের ২০০টি কোম্পানি স্থায়ীভাবে চার দিনের কর্ম সপ্তাহ গ্রহণ করেছে এবং কর্মীদের বেতন অপরিবর্তিত রেখেছে।

এক জরিপে দেখা গেছে, ৫৮ শতাংশ মানুষ মনে করেন, ২০৩০ সালের মধ্যে সপ্তাহে তিন দিনের ছুটির সংস্কৃতি সাধারণ নিয়ম হয়ে যাবে।

সূত্র: দ্যা জাকার্তা পোস্ট