পাংশায় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল
শিক্ষা ব্যবস্থাকে এগিয়ে নিতে হলে গোড়ায় শক্ত করতে হবে
- প্রকাশের সময় : ০৬:২৯:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
- / ১১৬২ জন সংবাদটি পড়েছেন
শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, শিক্ষা ব্যবস্থাকে এগিয়ে নিতে হলে গোড়ায় শক্ত করতে হবে। তারপর হচ্ছে শিক্ষা। শিক্ষকদের কাছে আবেদন থাকবে বিদ্যালয়ের প্রতি আপনারা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন, ক্লাস রুমে এক্টিভিটি কীভাবে উন্নত করা যায় সেটা নিয়ে ভাববেন। প্রশিক্ষণগুলো যথাযথভাবে পালন করবেন। শুক্রবার সকালে রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে পাংশা বালিয়াকান্দি ও কালুখালী মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতির উদ্যোগে শিক্ষা বিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, এখন শিক্ষা ব্যবস্থা সনাতন পদ্ধতির। এই পদ্ধতিতে বর্তমান যুগের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা যায়না। তাই এক্টিভিটির মাধ্যমে শিক্ষা গ্রহণ এবং সারা বছরব্যাপী মূল্যায়নটা গুরুত্বপূর্ণ। যে শিক্ষার্থী পারবেনা তাকে টার্গেট করে আরও ভালোভাবে শেখাতে হবে। যে পিছিয়ে ্আছে তাকে এগিয়ে আনতে হবে। কিন্তু বছর শেষে যে এগিয়ে আছে তাকে নিয়ে আমি সামনে গেলাম এটা কোনো প্রক্রিয়া হতে পারেনা। এটা বৈষম্যমূলক এবং ব্যর্থতামূলক। তাই এই বিষয়গুলো শিক্ষকরা প্রতিনিয়ত চর্চা করবেন। আমাদের ভাবতে হবে আমরা শিক্ষার্থীদের যা শেখাচ্ছি সেটার সঠিক প্রয়োগ হচ্ছে কীনা। সে জীবনে কাজে লাগাতে পারছে কীনা। এগুলো সবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। প্রত্যেক শিক্ষককে গাইডের ভ‚মিকায় আসতে হবে। শিক্ষার্থীদের পরিচালনা করার জন্য অভিভাবকদের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করতে হবে।
উপমন্ত্রী বলেন, পরীক্ষা নেওয়া হয় মূূল্যায়নের জন্য। শিক্ষকরা মূল্যায়ন করবেন শ্রেণিকক্ষে। ধর্র্মশিক্ষা আসলে বাধ্যতামূূলক আছে। এটা নিয়ে কেউ অপপ্রচার করলে তাতে কান দেবেন না। ্আমদের দেশে নানান সমস্যা, নানান ধরণের চ্যালেঞ্জ। সেখানে একজন মানুষ যদি ধর্মীয়ভাবে নীতি নৈতিকতায় শক্তিশালী না হয় তাহলে সমাজে শৃঙ্খলা থাকবেনা। দাঙ্গা, ফ্যাসাদ, মারামারি দুর্নীতি এগুলো অনেক বেড়ে যাবে। সুতরাং রাষ্ট্র পরিচালনার দর্শণ থেকেই এটা কোনোদিন বাদ দেওয়া সম্ভব না। তবে, মূল্যায়ন পদ্ধতিতে পরিবর্তন আসছে। সেটাও আমাদের মেনে নিতে হবে। তার মানে এই নয় যে, ধর্ম শিক্ষা ঐচ্ছিক করা হয়েছে। ঐচ্ছিক নয়। ক্লাস টেন পর্যন্ত সকল বিষয় পড়ার একটা নির্দেশনা আছে। পৃথিবীর কোনো দেশেই ১৪ বছর বয়স থেকে বিভাজন করা হয়না। ক্লাস টেন পর্যন্ত আমরা ন্যুনতম আমরা সাধারণ বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা, মানবিক শিক্ষা, ধর্ম শিক্ষা, গণিত শিক্ষা দেওয়া হবে। আগে বছর শেষে আমি লিখে দিতাম পরীক্ষায় পাস হয়ে যেতাম। কিন্তু পরীক্ষায় পাস মানেই আমি দক্ষ হয়েছি কীনা সেটা বোঝা যায়না। পরীক্ষায় আমরা ভালো করি আদতে দেখা যায় কিছুই শিখি নাই। না শিখতে পারার ব্যর্থতা শিক্ষকের। কারণ ১৬ বছর পর্যন্ত তার মেধা মনন বলতে কিছু নাই। আপনার কাজ হচ্ছে তার মেধা মনন সৃষ্টি করা, তৈরি করা। শিক্ষা ব্যবস্থা কঠিন বলা মানে গাছাড়া ভাব ও অমনোযোগীতার একটা লক্ষণ। আমি কঠিন করে ফেললাম মার্কস দেবনা- এই মানসিকতা নিয়ে শিক্ষা ব্যবস্থা এগিয়ে নেওয়া যাবেনা।
তিনি বলেন, অনেক ষড়যন্ত্র হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের জন্য অনেক কিছু করছেন। তার পক্ষে কী সম্ভব সেটা আপনারা জানেন। তার হাত ধরেই বাংলাদেশে এত উন্নয়ন। তিনি যা চাইবেন সেটা কেউ বন্ধ করতে পারবে না। যারা বিদেশিদের কথা শুনে জঙ্গীরাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশকে পরিচিত করতে চেয়েছে তারা ্আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে।
পাংশা বালিয়াকান্দি ও কালুখালী মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতির সভাপতি মীর মো. আব্দুল বাতেনের সভাপতিত্বে অন্যদের মাঝে বক্তৃতা করেন রাজবাড়ী-২ ্আসনের সংসদ সদস্য জিল্লুল হাকিম, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য সালমা চৌধুরী রুমা ও খোদেজা আক্তার নাসরীন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শফিকুল মোর্শেদ আরুজ, বালিয়াকান্দি উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, পাংশা পৌর মেয়র ওয়াজেদ আলী মন্ডল প্রমুখ।