Dhaka ০৪:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বালিয়াকান্দিতে হত্যার জেরে ৫৭ বসতঘর ভাংচুর লুটপাটের অভিযোগ

সংবাদদাতা-
  • প্রকাশের সময় : ১১:২৭:০৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ অক্টোবর ২০২০
  • / 427

জনতার আদালত অনলাইন ॥ রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের বকসিয়াবাড়ি  গ্রামে একটি হত্যাকান্ডের জেরে ৫৭টি বসতঘর ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়েছে  বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ৪অক্টোবর তারিখে ওই  গ্রামে রব ফবির নামে এক ব্যক্তি খুন হয়।  এ ঘটনায় বালিয়াকান্দি নিহতের বড় ভাই বশির ফকির বাদী হয়ে বালিয়াকান্দি থানায় মামলা করেন। মামলার দুই আসামিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। ভুক্তভোগীদের দাবি   ঘটনার পরদিন থেকে ১৯ অক্টোবর  পর্যন্ত  বশির ফকিরের লোকজন তাদের বসতঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট করেছে। তবে বশির ফকিরের স্ত্রী  এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বকশিয়াবাড়ি গ্রামের জিল্লু খান, টগর খান, রাসেল খান, কবির খান, জব্বার খান, সালাম খান, কালাম খান, আলম খান, ফজলু খান, আজমউদ্দিন খান, নাজিম উদ্দিন খানসহ বেশ কয়েকজনের বসতঘর ভাংচুর  করা হয়েছে। তাদের বাড়ির মালপত্র কিছু  ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে।

ভুক্তভোগী জিল্লু খান বলেন, নিহত রব ফকিরদের চাচাতো ভাইদের দ্বন্দ্বের কারণে সে খুন হয়েছে। আমরা কী অপরাধ করলাম। আমাদের বাড়ি ঘর  ভেঙে  শেষ  করে দিয়েছে। বাড়িতে কোনো মালপত্র নেই। সবকিছু লুটে নিয়ে গেছে। গরু, ছাগল, পেয়াজ, রসুন কিছুই  বাদ রাখেনি। টিউবয়েলগুলো তুলে নিয়ে গেছে। বিদ্যুতের লাইন কেটে দিয়েছে।  ল্যাট্রিনগুলো ভেঙে দিয়েছে। বাড়ির  মহিলাদের মারপিট করেছে। কেউ বাড়িতে থাকতে পারছেনা। বিষয়টি তারা স্থানীয় থানা ও ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে জানিয়েও কোনো প্রতিকার পাননি।

অভিযুক্ত  বশির ফকিরের বাড়িতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে তার স্ত্রী হাসিনা বেগম বলেন, ওরা নিজেরাই নিজেদের মালপত্র নিয়ে গেছে। কেউ ওদের বাড়ির মালপত্র লুট করেনি। আমার দেবর হত্যার শিকার হয়েছে। কয়েকজন আহত হয়েছে। বাড়ির  পুরুষ মানুষ সব এসব নিয়েই ব্যস্ত।

বালিয়াকান্দি থানার ওসি  তারেকুজ্জামান বলেন, ৪ অক্টোবর ঘটনার পর পুলিশ  দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। ৫ অক্টোবর থেকে সাত দিন পর্যন্ত সেখানে সার্বক্ষণিক পুলিশ  মোতায়েন রাখা হয়। পুলিশ তুলে নেওয়ার পর চৌকিদার রাখা হয়েছে। আমরা শুনেছিলাম, ওরা  আত্মীয় স্বজন দিয়ে  মালপত্র সরিয়ে নিচ্ছে। ভাংচুর লুটপাটের ঘটনায় আদালতে চারটি মামলা হয়েছে। মামলাগুলোর তদন্ত চলছে। তদন্তে যেই  জড়িত থাকুক তাকে গ্রেপ্তার করা হবে।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

বালিয়াকান্দিতে হত্যার জেরে ৫৭ বসতঘর ভাংচুর লুটপাটের অভিযোগ

প্রকাশের সময় : ১১:২৭:০৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ অক্টোবর ২০২০

জনতার আদালত অনলাইন ॥ রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের বকসিয়াবাড়ি  গ্রামে একটি হত্যাকান্ডের জেরে ৫৭টি বসতঘর ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়েছে  বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ৪অক্টোবর তারিখে ওই  গ্রামে রব ফবির নামে এক ব্যক্তি খুন হয়।  এ ঘটনায় বালিয়াকান্দি নিহতের বড় ভাই বশির ফকির বাদী হয়ে বালিয়াকান্দি থানায় মামলা করেন। মামলার দুই আসামিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। ভুক্তভোগীদের দাবি   ঘটনার পরদিন থেকে ১৯ অক্টোবর  পর্যন্ত  বশির ফকিরের লোকজন তাদের বসতঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট করেছে। তবে বশির ফকিরের স্ত্রী  এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বকশিয়াবাড়ি গ্রামের জিল্লু খান, টগর খান, রাসেল খান, কবির খান, জব্বার খান, সালাম খান, কালাম খান, আলম খান, ফজলু খান, আজমউদ্দিন খান, নাজিম উদ্দিন খানসহ বেশ কয়েকজনের বসতঘর ভাংচুর  করা হয়েছে। তাদের বাড়ির মালপত্র কিছু  ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে।

ভুক্তভোগী জিল্লু খান বলেন, নিহত রব ফকিরদের চাচাতো ভাইদের দ্বন্দ্বের কারণে সে খুন হয়েছে। আমরা কী অপরাধ করলাম। আমাদের বাড়ি ঘর  ভেঙে  শেষ  করে দিয়েছে। বাড়িতে কোনো মালপত্র নেই। সবকিছু লুটে নিয়ে গেছে। গরু, ছাগল, পেয়াজ, রসুন কিছুই  বাদ রাখেনি। টিউবয়েলগুলো তুলে নিয়ে গেছে। বিদ্যুতের লাইন কেটে দিয়েছে।  ল্যাট্রিনগুলো ভেঙে দিয়েছে। বাড়ির  মহিলাদের মারপিট করেছে। কেউ বাড়িতে থাকতে পারছেনা। বিষয়টি তারা স্থানীয় থানা ও ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে জানিয়েও কোনো প্রতিকার পাননি।

অভিযুক্ত  বশির ফকিরের বাড়িতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে তার স্ত্রী হাসিনা বেগম বলেন, ওরা নিজেরাই নিজেদের মালপত্র নিয়ে গেছে। কেউ ওদের বাড়ির মালপত্র লুট করেনি। আমার দেবর হত্যার শিকার হয়েছে। কয়েকজন আহত হয়েছে। বাড়ির  পুরুষ মানুষ সব এসব নিয়েই ব্যস্ত।

বালিয়াকান্দি থানার ওসি  তারেকুজ্জামান বলেন, ৪ অক্টোবর ঘটনার পর পুলিশ  দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। ৫ অক্টোবর থেকে সাত দিন পর্যন্ত সেখানে সার্বক্ষণিক পুলিশ  মোতায়েন রাখা হয়। পুলিশ তুলে নেওয়ার পর চৌকিদার রাখা হয়েছে। আমরা শুনেছিলাম, ওরা  আত্মীয় স্বজন দিয়ে  মালপত্র সরিয়ে নিচ্ছে। ভাংচুর লুটপাটের ঘটনায় আদালতে চারটি মামলা হয়েছে। মামলাগুলোর তদন্ত চলছে। তদন্তে যেই  জড়িত থাকুক তাকে গ্রেপ্তার করা হবে।