রাজবাড়ীতে চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ থামছেই না॥ সাংবাদিকের বোন আহত
- প্রকাশের সময় : ০৯:৫৪:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২০
- / ১৭২১ জন সংবাদটি পড়েছেন
জনতার আদালত অনলাইন ॥ গোয়ালন্দ ঘাটÑপোড়াদহ ও রাজবাড়ীÑফরিদপুরÑভাটিয়াপাড়া রেলপথে চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের ঘটনা থামছে না। বুধবার দিনে দুপুরে আন্তঃনগর মধুমতি এক্সপ্রেস ট্রেনে পাথর নিক্ষেপে গুরুতর আহত হয়েছেন যাত্রী শান্তনা প্রামানিক (৩৭)। তিনি সমকালের রাজবাড়ী প্রতিনিধি ও দৈনিক জনতার আদালতের নির্বাহী সম্পাদক সৌমিত্র শীল চন্দনের সহোদরা বোন। তার বাড়ি কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার গোলাপনগর গ্রামে। রাজবাড়ী স্টেশনে ট্রেন থেকে নামার পর তাকে আহতাবস্থায় রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কর্তব্যরত চিকিৎসক ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
শান্ত¡না প্রামানিক ভেড়ামারা থেকে তার স্বামী স্বপন প্রামানিকের সাথে আন্তঃনগর মধুমতি এক্সপ্রেস ট্রেনে রাজবাড়ী আসছিলেন। রাজবাড়ীর মাছপাড়া ও পাংশা স্টেশনের মাঝামাঝি এলাকায় একদল দুর্বৃত্ত বেশ কয়েকটি পাথর নিক্ষেপ করলে তা শান্তনা প্রামানিকের নাকে মুখে গিয়ে লাগে। এতে সে রক্তাক্ত জখম হয়।
ইতিপূর্বেও রাজবাড়ীÑভাটিয়াপাড়া রেলপথের বহরপুর নামক এলাকায় পাথর নিক্ষেপের ঘটনায় কয়েকজন আহত হয়। রাজবাড়ীÑফরিদপুর রেলপথের শিবরামপুরেও একই ঘটনা ঘটেছে একাধিকবার। রাজবাড়ী রেলওয়ে সূত্র জানায়, গোয়ালন্দ ঘাটÑপোড়াদহ রেলপথে দিনে আটবার, রাজবাড়ীÑভাঙ্গা রেলপথে দিনে চারবার ও রাজবাড়ীÑভাটিয়াপাড়া রেলপথে দিনে দুবার ট্রেন চলাচল করে থাকে। এসব রেলপথে ইতিপূর্বে রাতের বেলায় পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটলেও এবার দিনে দুপুরে ঘটনায় যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
কুষ্টিয়া থেকে রাজবাড়ীতে আগত আন্তঃনগর মধুমতি এক্সপ্রেসের যাত্রী আরিফ হোসেন জানান, এধরনের ঘটনায় যাত্রীরা আতঙ্কিত। মানুষ আরামদায়ক ও নিরাপদে যাত্রার জন্য ট্রেন বেছে নেয়। সেই ট্রেনে এমন অবস্থা হলে তা উদ্বেগজনক। নিশ্চয় ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের ঘটনা বন্ধে উদ্যোগ নিতে হবে।
রাজবাড়ী জিআরপি থানার ওসি আকবর হোসেন জানান, ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ বন্ধে তারা বিভিন্ন সময় স্থানীয় চেয়ারমান, মেম্বার, চৌকিদার, গন্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে সচেতনতামূলক সভা সমাবেশ করে থাকেন। বুধবারের ঘটনাটি তিনি খতিয়ে দেখবেন বলে জানান।
রাজবাড়ী রেলওয়ের সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী কাজী ওয়ালিউল হক বলেন, ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের ঘটনায় আমরা পদক্ষেপ নিয়ে থাকি। নির্দিষ্ট ডিউরেশন পরপর আমরা সচেতনতামূলক সভা সমাবেশ করে থাকি। রাজবাড়ীর রেল লাইন অনেক বিস্তৃত। যেখানে পাথর নিক্ষেপের ঘটনা বেশি ঘটে। সেখানে মাইকিং করা হয়। এছাড়া স্থানীয় জনগণের সাথে সতর্কীকরণ সভা, সচেতনতামূলক সভা করা হয়।
তিনি আক্ষেপ করে বলেন, মানুষ আসলে সচেতন নয়। তারা নিজেদের আনন্দের জন্য অন্যের ক্ষতি করে। এটা এক ধরনের মানসিক বিকৃতি। যে করেই হোক এটা রোধ করতেই হবে। আমরা মানুষকে সচেতন করে তোলার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব।