Dhaka ১২:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বড়পুল পূজামন্ডপের প্রতিমা ভাংচুর

স্টাফ রিপোর্টার
  • প্রকাশের সময় : ০৫:০৬:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ অক্টোবর ২০২৪
  • / ১০৫০ জন সংবাদটি পড়েছেন

 

 রাজবাড়ী শহরের সজ্জনকান্দা বড়পুল এলাকায় বাস মালিক গ্রæপ কার্যালয়ের সামনের পূজা মন্ডপে প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। গত মঙ্গলবার সকাল থেকে বেলা ১১টার মধ্যে এ ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছেন রাজবাড়ীর ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক সিদ্ধার্থ ভৌমিক, পুলিশ সুপার শামীমা পরভীন ও সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা।

মন্দিরের আয়োজকদের একজন কুঞ্জন সরকার বলেন, অস্থায়ীভাবে মন্দির তৈরি করে রাজবাড়ী- ফরিদপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে এই পূজা অনুষ্ঠিত হয়। মন্দিরের পেছনে বাস মালিক সমিতির কার্যালয়। রাতে মন্দিরে পাহারার ব্যবস্থা ছিল। সকালে পাহারাদার চলে যায়। বেলা ১১টার দিকে ডেকোরেটার শ্রমিক মন্দিরে সিসি ক্যামেরা লাগানো ও সাজসজ্জার কাজ করতে আসে। সে সময় ডেকোরেশন মিস্ত্রি দেখে বিষয়টি তাকে জানালে তিনি প্রতিমার কাছে গিয়ে দেখেন কয়েকটি প্রতিমার বিভিন্ন অংশ ভাঙচুর করা হয়েছে।

সজ্জনকান্দা সার্বজনীন দ্র্গুা মন্ডপের সভাপতি সাধন চন্দ্র দাস বিষয়টি নিয়ে কোনো কথা বলতে রাজী হননি।

মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিমা ভাঙচুরের বিষয় ছড়িয়ে পড়লে নিন্দার ঝড় ওঠে। অনেকেই ঘটনার সঠিক তদন্ত দাবি করে দোষীদের বিচার চান।

রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার মোছা. শামিমা পারভীন জানান, সকাল ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে যেকোনো সময় কে বা কারা মন্দিরের ভেতর ঢুকে কয়েকটি প্রতিমার মুখের কিছু অংশ ভেঙে ফেলে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। পুলিশ সুপার বলেন, প্রতিমা ভাঙচুরের খবর মন্দির কমিটির কেউ জানায়নি আমাদের। আমরা আমাদের সোর্সের মাধ্যেম খবর পেয়ে মন্দির পরিদর্শন করেছি। প্রতিমা ভাংচুরের বিষয়ে তদন্ত চলছে। সেই সাথে যারা এঘটনার সাথে জড়িত তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তিনি আরও বলেন, আমরা শহরের প্রতিটি মন্দিরে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করতে মন্দির কর্তৃপক্ষকে অনেকবার অনুরোধ করেছি। কিন্তু এই মন্দিরে আজকে ঘটনা ঘটার পর সিসি ক্যামেরা স্থাপন করেছে।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

বড়পুল পূজামন্ডপের প্রতিমা ভাংচুর

প্রকাশের সময় : ০৫:০৬:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ অক্টোবর ২০২৪

 

 রাজবাড়ী শহরের সজ্জনকান্দা বড়পুল এলাকায় বাস মালিক গ্রæপ কার্যালয়ের সামনের পূজা মন্ডপে প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। গত মঙ্গলবার সকাল থেকে বেলা ১১টার মধ্যে এ ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছেন রাজবাড়ীর ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক সিদ্ধার্থ ভৌমিক, পুলিশ সুপার শামীমা পরভীন ও সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা।

মন্দিরের আয়োজকদের একজন কুঞ্জন সরকার বলেন, অস্থায়ীভাবে মন্দির তৈরি করে রাজবাড়ী- ফরিদপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে এই পূজা অনুষ্ঠিত হয়। মন্দিরের পেছনে বাস মালিক সমিতির কার্যালয়। রাতে মন্দিরে পাহারার ব্যবস্থা ছিল। সকালে পাহারাদার চলে যায়। বেলা ১১টার দিকে ডেকোরেটার শ্রমিক মন্দিরে সিসি ক্যামেরা লাগানো ও সাজসজ্জার কাজ করতে আসে। সে সময় ডেকোরেশন মিস্ত্রি দেখে বিষয়টি তাকে জানালে তিনি প্রতিমার কাছে গিয়ে দেখেন কয়েকটি প্রতিমার বিভিন্ন অংশ ভাঙচুর করা হয়েছে।

সজ্জনকান্দা সার্বজনীন দ্র্গুা মন্ডপের সভাপতি সাধন চন্দ্র দাস বিষয়টি নিয়ে কোনো কথা বলতে রাজী হননি।

মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিমা ভাঙচুরের বিষয় ছড়িয়ে পড়লে নিন্দার ঝড় ওঠে। অনেকেই ঘটনার সঠিক তদন্ত দাবি করে দোষীদের বিচার চান।

রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার মোছা. শামিমা পারভীন জানান, সকাল ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে যেকোনো সময় কে বা কারা মন্দিরের ভেতর ঢুকে কয়েকটি প্রতিমার মুখের কিছু অংশ ভেঙে ফেলে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। পুলিশ সুপার বলেন, প্রতিমা ভাঙচুরের খবর মন্দির কমিটির কেউ জানায়নি আমাদের। আমরা আমাদের সোর্সের মাধ্যেম খবর পেয়ে মন্দির পরিদর্শন করেছি। প্রতিমা ভাংচুরের বিষয়ে তদন্ত চলছে। সেই সাথে যারা এঘটনার সাথে জড়িত তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তিনি আরও বলেন, আমরা শহরের প্রতিটি মন্দিরে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করতে মন্দির কর্তৃপক্ষকে অনেকবার অনুরোধ করেছি। কিন্তু এই মন্দিরে আজকে ঘটনা ঘটার পর সিসি ক্যামেরা স্থাপন করেছে।