রাবিতে পবিত্র কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় গ্রেপ্তার ১

- প্রকাশের সময় : ০৮:৪৮:৪৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
- / 52
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বিভিন্ন আবাসিক হল ও মসজিদে পবিত্র কোরআন শরিফ পোড়ানোর ঘটনায় মূল অভিযুক্ত মো. ফেরদৌস রহমান ফরিদকে গ্রেপ্তার করেছে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) সাইবার ক্রাইম ইউনিট। মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার দিকে আরএমপির ওয়েবসাইটে এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ফেরদৌস রহমান ফরিদ (২২) রাবির ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের পঞ্চম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী। তিনি ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা থানার ডাকাতিয়া ইউনিয়নের মো. মজিবর রহমানের ছেলে। ঘটনার পর তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের হল থেকে পালিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ, যশোর, ঢাকা ও ময়মনসিংহের বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপন করেন।
গত ১২ জানুয়ারি রাবির সৈয়দ আমীর আলী হলের মুক্তমঞ্চ, শহীদ জিয়াউর রহমান হল, শহীদ হবিবুর রহমান হল, মাদার বখ্শ হল, মতিহার হল, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হল ও শেরে বাংলা একে ফজলুল হক হলের মসজিদে পবিত্র কোরআন শরিফ পোড়ানোর ঘটনা ঘটে। এতে ধর্মপ্রাণ শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্টদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও বিক্ষোভের সৃষ্টি হয়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ ঘটনায় মতিহার থানায় একটি মামলা দায়ের করে।
মামলার পর রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ানের নির্দেশনায় আরএমপির সিটিটিসি ও সাইবার ক্রাইম ইউনিট তদন্ত শুরু করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ ও প্রযুক্তিগত তদন্তের মাধ্যমে ফেরদৌস রহমানের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া যায়।
পরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) সহায়তায় আরএমপির একটি দল মঙ্গলবার রাতে ময়মনসিংহের ভালুকা থানার ডাকাতিয়া ইউনিয়নে তার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ফেরদৌস রহমান ঘটনার সঙ্গে তার সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। বর্তমানে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে এবং পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।