কাজে আসছে না ২১ লাখ টাকার সেতু: গোয়ালন্দে রেলসেতু দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল
- প্রকাশের সময় : ০৭:৩৩:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২১
- / ১৩৬১ জন সংবাদটি পড়েছেন
জনতার আদালত অনলাইন ॥ রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে দীর্ঘদিন ধরে চরম ঝুঁকি নিয়ে রেলসেতু দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন চলাচল করছে। ইতিমধ্যে ঝুঁকি এড়াতে এই রেলসেতুর পাশে ২১ লাখ টাকা ব্যায়ে একটি সেতু নির্মান করা হয়েছে। কিন্তু সেতুটির দুপাশে ঠিকমতো সংযোগ সড়ক নির্মান না করায় তা ব্যাবহার করতে পাড়ছেন না এলাকাবাসী।
জানা গেছে, গোয়ালন্দ বাজার ও গোয়ালন্দ ঘাট রেলওয়ে স্টেশনের মাঝে গোয়ালন্দ পৌর শ্মশানঘাট এলাকার রেলসেতু দিয়ে স্থানীয় নতুন পাড়া, তোরাপ শেখের পাড়া ও ফকির পাড়ার লোকজনকে প্রতিনিয়ত গোয়ালন্দ বাজারে আসা-যাওয়া করতে হয়। এছাড়া গোয়ালন্দ শহর এলাকা হতে শ্মশানে যাতায়াতের একমাত্র পথও সেটি। পাশাপাশি দৌলতদিয়া ঘাটে যানজট সৃষ্টি হলে রিক্সা, অটোরিকশার মতো বহু ছোট যানবাহন দৌলতদিয়া ঘাটে যাওয়া-আসা করতে এই রাস্তাটি বিকল্প হিসেবে ব্যাবহার করে। এর গুরুত্ব বিবেচনায় গোয়ালন্দ পৌর কর্তৃপক্ষ কয়েক বছর আগে রেলের পাশ দিয়ে ২ কিলোমিটারের মতো পাকা সড়ক নির্মান করে। শ্মশানঘাট সংলগ্ন রেলসেতুতে ঝুঁকি এড়াতে দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে ২১ লাখ টাকা ব্যায়ে ২৬ ফুট দৈর্ঘ্যরে একটি আরসিসি সেতু নির্মান করে। কিন্তু সেতুটির দুইপাশের সংযোগ সড়কে অল্প কিছু মাটি ফেলে সরু সংযোগ পথ তৈরি করায় এবং গাইড ওয়াল না দেয়ায় মাটি ধ্বসে গেছে। এতে করে সেতুটি ঠিকমতো ব্যাবহার করতে পারছেন না যাতায়াতকারীরা। সেখান দিয়ে চলতে গিয়ে ঘোড়ার গাড়ি, রিক্সা ও অটোরিকশা উল্টে যাওয়ার ঘটনা ঘটছে। বাধ্য হয়ে যাত্রী ও চালকরা আগের মতোই ঝুঁকি নিয়ে রেলসেতুর পাশ দিয়ে যাতায়াত করছে।
স্থানীয় বাসিন্দা দোয়াত আলী শেখ, শাহিন মিয়াসহ কয়েকজন জানান, নতুন সেতুর দুই পাশের রাস্তায় গাইড ওয়ালসহ আরো চওড়া করে সংযোগ পথ করার দরকার ছিল। তা না করায় এখানে প্রতিনিয়ত ছোটখাট দূর্ঘটনা ঘটছে।
অটোরিকশা চালক আজাদ মোল্লা (৪০) আলম শেখ (৩৫), রিক্সা চালক নজরুল ইসলাম (৫০)সহ কয়েকজন বলেন, তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাধ্য হয়ে রেলসেতুর পাশ দিয়েই চলাচল করছেন। সেখান থেকে হঠাৎ গাড়ি উল্টে গেলে নিচে পড়লে প্রানহানির আশংকা রয়েছে।
গোয়ালন্দ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবু সাঈদ মন্ডল জানান, বন্যার কারনে সেতুটির সংযোগ সড়ক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। নির্মাণের পর সেতুটি পৌর কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দেয়া হয়। পৌর মেয়রের সাথে আলোচনা করে সংযোগ সড়কের জরুরি সংস্কারের ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।