Dhaka ০৮:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মতামত: ভেজাল পণ্যে মোবাইল কোর্টে জরিমানার পরই বৈধ

সংবাদদাতা-
  • প্রকাশের সময় : ০৬:১৬:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২১
  • / ১৬৬৩ জন সংবাদটি পড়েছেন

সোহেল রানা ঃ হরহামেশায় বাজারে বিক্রি হচ্ছে ভেজাল পন্যে। এখন পুরো খাদ্য ও ব্যবহারিক পন্যে সামগ্রী ভেজাল  পন্যে পাওয়া যায়। এতে প্রতিনিয়তই ক্রেতা সাধারণ হচ্ছে প্রতারিত। ভেজাল পন্যে বিক্রি প্রতিরোধে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, র‌্যাব, পুলিশ ও স্থানীয় জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটগণ প্রতিনিয়তই শহর থেকে গ্রাম পর্যন্ত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন। এ সবের বেশির ভাগ অভিযানেই ভেজাল পন্যে বিক্রির জন্য জরিমানা করা হয়। তবে ভেজাল পন্যে জব্দ করা হয় না। এ কারণে ভেজাল পন্যে জরিমানা দিয়েই পাচ্ছে বৈধতা।

মোটা চাউল মেশিনের সাহায্যে কেটে বানানো হয়েছে চিকন কাজললতা চাউল। দামও বেশি, কিন্তু ভাত রান্নার পর হচ্ছে মোটা। এ রকম অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযান পরিচালনা করে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। অভিযানে কয়েকজন ব্যবসায়ীকে জরিমানা করা হয়। জরিমানা করা হলেও চাল জব্দ করা হয়নি। তাহলে ওই চাল কিন্তু আগের মতোই বাজারে বিক্রি হচ্ছে। তাহলে প্রতারিত হচ্ছে ভোক্তা। ভেজাল পন্যে হলেও জরিমানা দিয়েই বৈধতা পাচ্ছেন। রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার হাট-বাজার গুলোতে পিয়াজে ৪৫ কেজিতে মন। বিষয়টি বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর বন্ধে অভিযান পরিচালনা করে স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আম্বিয়া সুলতানা। তিনি উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে একাধিক অভিযান পরিচালনা করে আড়তদারদের জরিমানা করে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আম্বিয়া সুলতানা, বালিয়াকান্দি উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে কয়েকজন আড়তদারকে ভ্রাম্যমান আদালতে জরিমানা করেন। কৃষকদের দীর্ঘদিনের জিম্মিদশা কাটাতে এমন অভিযান পরিচালনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকসহ সর্ব মহলে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি। এর প্রতিবাদে নারুয়া বাজারে আড়তদাররা পেয়াজ কেনা বন্ধ রেখেছিল। তারপর কৃষক ও আড়তদারদের সাথে কথা বলার পর  তাদের মধ্যকার পারস্পরিক সন্দেহ দূর হয়। তারপর উভয়পক্ষ প্রশাসনের সিদ্ধান্ত মেনে স্বতঃস্ফূর্তভাবে কেনাবেচা করে। প্রশাসনের নির্দেশনা মোতাবেক বাজার কমিটি কর্তৃক আগে থেকে মাইকিং করায় আজকের বাজারে শতভাগ ডিজিটাল নিক্তির ব্যবহার নিশ্চিত হয়েছে। কৃষকের মুখের হাসি ছিল আজকের অভিযানের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।

কিন্তু তারপরও কি এ ধারা অব্যহত থাকবে। না কিছুদিন বিগত হলেও আবার আগের ধারায় ফিরে আসবে। তবে সচেতন হতে হবে কৃষকদের। তাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। নইলে এ অন্যায় সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে চলে যাবে। আসুন আমরা একটি সুস্থ্য সবল সমাজ গঠনে সচেতন হই, ভেজাল প্রতিরোধে এগিয়ে আসি।

লেখক ঃ সোহেল রানা, সাংবাদিক,

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

মতামত: ভেজাল পণ্যে মোবাইল কোর্টে জরিমানার পরই বৈধ

প্রকাশের সময় : ০৬:১৬:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২১

সোহেল রানা ঃ হরহামেশায় বাজারে বিক্রি হচ্ছে ভেজাল পন্যে। এখন পুরো খাদ্য ও ব্যবহারিক পন্যে সামগ্রী ভেজাল  পন্যে পাওয়া যায়। এতে প্রতিনিয়তই ক্রেতা সাধারণ হচ্ছে প্রতারিত। ভেজাল পন্যে বিক্রি প্রতিরোধে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, র‌্যাব, পুলিশ ও স্থানীয় জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটগণ প্রতিনিয়তই শহর থেকে গ্রাম পর্যন্ত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন। এ সবের বেশির ভাগ অভিযানেই ভেজাল পন্যে বিক্রির জন্য জরিমানা করা হয়। তবে ভেজাল পন্যে জব্দ করা হয় না। এ কারণে ভেজাল পন্যে জরিমানা দিয়েই পাচ্ছে বৈধতা।

মোটা চাউল মেশিনের সাহায্যে কেটে বানানো হয়েছে চিকন কাজললতা চাউল। দামও বেশি, কিন্তু ভাত রান্নার পর হচ্ছে মোটা। এ রকম অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযান পরিচালনা করে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। অভিযানে কয়েকজন ব্যবসায়ীকে জরিমানা করা হয়। জরিমানা করা হলেও চাল জব্দ করা হয়নি। তাহলে ওই চাল কিন্তু আগের মতোই বাজারে বিক্রি হচ্ছে। তাহলে প্রতারিত হচ্ছে ভোক্তা। ভেজাল পন্যে হলেও জরিমানা দিয়েই বৈধতা পাচ্ছেন। রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার হাট-বাজার গুলোতে পিয়াজে ৪৫ কেজিতে মন। বিষয়টি বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর বন্ধে অভিযান পরিচালনা করে স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আম্বিয়া সুলতানা। তিনি উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে একাধিক অভিযান পরিচালনা করে আড়তদারদের জরিমানা করে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আম্বিয়া সুলতানা, বালিয়াকান্দি উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে কয়েকজন আড়তদারকে ভ্রাম্যমান আদালতে জরিমানা করেন। কৃষকদের দীর্ঘদিনের জিম্মিদশা কাটাতে এমন অভিযান পরিচালনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকসহ সর্ব মহলে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি। এর প্রতিবাদে নারুয়া বাজারে আড়তদাররা পেয়াজ কেনা বন্ধ রেখেছিল। তারপর কৃষক ও আড়তদারদের সাথে কথা বলার পর  তাদের মধ্যকার পারস্পরিক সন্দেহ দূর হয়। তারপর উভয়পক্ষ প্রশাসনের সিদ্ধান্ত মেনে স্বতঃস্ফূর্তভাবে কেনাবেচা করে। প্রশাসনের নির্দেশনা মোতাবেক বাজার কমিটি কর্তৃক আগে থেকে মাইকিং করায় আজকের বাজারে শতভাগ ডিজিটাল নিক্তির ব্যবহার নিশ্চিত হয়েছে। কৃষকের মুখের হাসি ছিল আজকের অভিযানের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।

কিন্তু তারপরও কি এ ধারা অব্যহত থাকবে। না কিছুদিন বিগত হলেও আবার আগের ধারায় ফিরে আসবে। তবে সচেতন হতে হবে কৃষকদের। তাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। নইলে এ অন্যায় সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে চলে যাবে। আসুন আমরা একটি সুস্থ্য সবল সমাজ গঠনে সচেতন হই, ভেজাল প্রতিরোধে এগিয়ে আসি।

লেখক ঃ সোহেল রানা, সাংবাদিক,