আমরা জনগণের অধিকার বলতে ভোটের অধিকারকে বুঝি : খন্দকার মোশাররফ

- প্রকাশের সময় : ০৯:১২:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫
- / 42
‘অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় এসেই জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দেয়ার কথা বলেছিল’ এমন কথা স্মরণ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, আমরা জনগণের অধিকার বলতে ভোটের অধিকারকে বুঝি।
তিনি বলেন, ‘আপনারা অতি শিগগির নির্বাচনের দিন তারিখ ঘোষণা করলেই জনগণ নির্বাচনমুখী হয়ে যাবে। জনগণ নির্বাচনমুখী হলে কোনো ষড়যন্ত্র এদেশে বাস্তবায়িত হবে না। জনগণই সেই ষড়যন্ত্রকে প্রতিহত করবে।’
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে বিএনপির সাবেক মহাসচিব মরহুম খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের ১৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত দোয়া ও স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
দোয়া ও স্মরণসভার আয়োজন করে খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন স্মৃতি ফাউন্ডেশন।
ড. মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘গত ১৬ বছর মানুষ ভোটের অধিকার পায়নি, সেটা বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ফিরিয়ে দেবে। আজকে নির্বাচনকে নানা পদ্ধতিকে বিলম্ব করার চেষ্টা হচ্ছে। যারা স্বৈরাচারী ছিল তারা তো পালিয়ে গেছে। কিন্তু তারা এখনো ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে এবং নানা ধরনের ষড়যন্ত্র করছে।’
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আর তাল-বাহানা নয়, অতি শিগগির জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষণা দেন। তাহলে আপনারা সম্মানের সাথে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে পারবেন।’
বিএনপির সাবেক মহাসচিব মরহুম খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনকে স্মরণ করে তিনি বলেন, ‘দেলোয়ার হোসেন একজন ত্যাগী, জাতীয়তাবাদী, দেশপ্রেমিক নেতা ছিলেন। তিনি চারবারের মতো ছিলেন চিফ হুইপ ছিলেন। ২০০১ সালে আমরা অনেকেই প্রত্যাশা করেছিলাম, দেলোয়ার হোসেন একজন মন্ত্রী হবেন। কিন্তু তাকে মন্ত্রী করা হয়নি। এতে তিনি সামান্যতম মন খারাপ করেননি। আমরা অনেক ক্লোজলি কাজ করেছি। আমরা কিন্তু বিষয়টা নিয়ে ওনার কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছি। তখন উনি উল্টো আমাদেরকে বুঝিয়েছেন, রাজনীতি করি দলের আদর্শের জন্য। রাজনীতি করি বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদী শক্তিকে শক্তিশালী করার জন্য। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার জন্য। রাজনীতি কোনো পদ-পদবীর জন্য করি না। এই শিক্ষাটা উনি আমাদের দিয়ে গেছেন।’
মরহুম খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের বড় ছেলে ও ফাউন্ডেশনের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান আকবর হোসেন বাবলুর সভাপতিত্বে এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা: মোস্তাফিজুর রহমান ইরান প্রমুখ।