Dhaka ০৩:৪৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভ্যানচালককে পেটানোর অভিযোগ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের বিরুদ্ধে

স্টাফ রিপোর্টার
  • প্রকাশের সময় : ০৬:০২:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / 183

 রাজবাড়ী জেলা জজ আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সুমন হোসেন তার খাস কামড়ায় ডেকে এনে আফজাল খান নামে এক বক্তিকে বেঁধে পিটিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী আফজাল খান শনিবার রাতে রাজবাড়ী সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। বর্তমানে তিনি রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার বাড়ি রাজবাড়ী সদর উপজেলার চন্দনী ইউনিয়নের বাড়াইজুড়ি গ্রামে। পেশায় তিনি একজন ভ্যানচালক। অবশ্য মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সুমন হোসেন।

নির্যাতিত ভ্যানচালক মো. আফজাল খান বলেন, ম্যাজিস্ট্রেট সুমন হোসেনের শ^শুরবাড়ি আমাদের এলাকায়। গত ৩০ জানুয়ারি তিনি (সুমন হোসেন) হাঁটাহাটি করার একটি কুকুর তাকে ধাওয়া করে। পরে ম্যাজিস্ট্রেট সুমন হোসেন স্থানীয়দের কাছে কুকুরটি কার জানতে চান। এক ব্যক্তি কুকুরটি আমার বলে জানায়। এরপর পুলিশ দিয়ে আমাকে ম্যাজিস্ট্রেট সুমন হোসেনের খাস কামড়ায় ডেকে নেন। প্রথমে কুকুরের বিষয়ে জানতে চান আমার কাছে। আমি বলি কুকুরটি আমার না। তখন আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন ম্যাজিস্ট্রট সুমন হোসেন। এক পর্যায়ে দড়ি দিয়ে আমাকে পিঠমোড়া করে বেঁধে চেয়ারেরর উপর হামু দিতে বলেন। হামু দেওয়ার পর রুল দিয়ে আমার পশ্চাৎদেশে অন্ততঃ ৩০টি আঘাত করে।

আফজাল খান জানান, তার সাথে ম্যাজিস্ট্রেট সুমন হোসেনের কোনো বিরোধ নেই। কখনও ছিলনা। তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা মোকর্দমাও নেই। তাকে এমন জায়গায় আঘাত করেছে যে, কাউকে দেখাতেও পারছেন না।

এবিষয়ে রাজবাড়ীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সুমন হোসেন বলেন, কুকুরের বিষয়ে জানতে আফজাল খান নামে ওই ব্যক্তিকে ডেকে আনা হয়েছিল। তাকে কোনো প্রকার মারধর বা গালিগালাজ করা হয়নি। কোনো মহলের ইশারায় আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করতেই এ ধরনের অভিযোগ সে করেছে। কোন মহল সেটা আমি পরে জানাবো।

রাজবাড়ী সদর থানার ওসি মোহাম্মদ মাহমুদুর রহমান জানান, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

ভ্যানচালককে পেটানোর অভিযোগ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের বিরুদ্ধে

প্রকাশের সময় : ০৬:০২:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 রাজবাড়ী জেলা জজ আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সুমন হোসেন তার খাস কামড়ায় ডেকে এনে আফজাল খান নামে এক বক্তিকে বেঁধে পিটিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী আফজাল খান শনিবার রাতে রাজবাড়ী সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। বর্তমানে তিনি রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার বাড়ি রাজবাড়ী সদর উপজেলার চন্দনী ইউনিয়নের বাড়াইজুড়ি গ্রামে। পেশায় তিনি একজন ভ্যানচালক। অবশ্য মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সুমন হোসেন।

নির্যাতিত ভ্যানচালক মো. আফজাল খান বলেন, ম্যাজিস্ট্রেট সুমন হোসেনের শ^শুরবাড়ি আমাদের এলাকায়। গত ৩০ জানুয়ারি তিনি (সুমন হোসেন) হাঁটাহাটি করার একটি কুকুর তাকে ধাওয়া করে। পরে ম্যাজিস্ট্রেট সুমন হোসেন স্থানীয়দের কাছে কুকুরটি কার জানতে চান। এক ব্যক্তি কুকুরটি আমার বলে জানায়। এরপর পুলিশ দিয়ে আমাকে ম্যাজিস্ট্রেট সুমন হোসেনের খাস কামড়ায় ডেকে নেন। প্রথমে কুকুরের বিষয়ে জানতে চান আমার কাছে। আমি বলি কুকুরটি আমার না। তখন আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন ম্যাজিস্ট্রট সুমন হোসেন। এক পর্যায়ে দড়ি দিয়ে আমাকে পিঠমোড়া করে বেঁধে চেয়ারেরর উপর হামু দিতে বলেন। হামু দেওয়ার পর রুল দিয়ে আমার পশ্চাৎদেশে অন্ততঃ ৩০টি আঘাত করে।

আফজাল খান জানান, তার সাথে ম্যাজিস্ট্রেট সুমন হোসেনের কোনো বিরোধ নেই। কখনও ছিলনা। তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা মোকর্দমাও নেই। তাকে এমন জায়গায় আঘাত করেছে যে, কাউকে দেখাতেও পারছেন না।

এবিষয়ে রাজবাড়ীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সুমন হোসেন বলেন, কুকুরের বিষয়ে জানতে আফজাল খান নামে ওই ব্যক্তিকে ডেকে আনা হয়েছিল। তাকে কোনো প্রকার মারধর বা গালিগালাজ করা হয়নি। কোনো মহলের ইশারায় আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করতেই এ ধরনের অভিযোগ সে করেছে। কোন মহল সেটা আমি পরে জানাবো।

রাজবাড়ী সদর থানার ওসি মোহাম্মদ মাহমুদুর রহমান জানান, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।