Dhaka ০৮:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিদেশ পাঠানোর নামে প্রতারণার অভিযোগ

দুবাইতে মানবেতর জীবনযাপন করছেন আক্কাছ

স্টাফ রিপোর্টার
  • প্রকাশের সময় : ০৮:৪৫:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জুন ২০২৪
  • / ১০৬৯ জন সংবাদটি পড়েছেন

 

রাজবাড়ী সদর উপজেলার দাদশী ইউনিয়নের সিংগা গ্রামের আক্কাছ আলীকে ইরাক পাঠানোর কথা বলে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুইজনের বিরুদ্ধে মানব পাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলা হয়েছে। ভুক্তভোগী আক্কাছের মা আকলিমা বেগম বাদী হয়ে সোমবার মামলাটি দায়ের করেন। মামলার আসামিরা হলেন একই উপজেলার বরাট ইউনিয়নের হাউলি গ্রামের ইরাক প্রবাসী আইয়ুব সেখের স্ত্রী লাইলী বেগম এবং একই গ্রামের গেজন সরদারের ছেলে আফছার সরদার। ভুক্তভোগী আক্কাছ দুবাইতে কাজ না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

আকলিমা বেগম জানান, তাদের পাশের গ্রামেই বাড়ি লাইলী বেগমের। তারা দূর সম্পর্কের আত্মীয় হন। লাইলীদের বাড়িতে নিয়মিতই আসা যাওয়া ছিল তার। তার ছেলে আক্কাছ আলী দীর্ঘদিন ধরে বেকার থাকায় লাইলী তাকে ভালো বেতনে ইরাক পাঠানোর প্রস্তাব দেয়। এজন্য ছয় লাখ টাকা লাগবে বলে জানায়। যেহেতু লাইলীর স্বামী ইরাক থাকেন, এজন্য তার কথা আশ^স্ত হয়ে ছেলেকে বিদেশ পাঠাতে রাজী হন। এরপর বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে এবং আত্মীয় স্বজনের কাছ থেকে ধার দেনা করে ২০২৩ সালের ১০ অক্টোবর তারিখে লাইলীকে ছয় লাখ টাকা দেন। ওই সময় আফসারও উপস্থিত ছিল। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি তারিখে লাইলী ও আফসার তার ছেলে আক্কাছকে ইরাকে পাঠানোর কথা বলে ঢাকা বিমান বন্দরে নিয়ে যায়। কিন্তু তাকে ইরাকে না পাঠিয়ে দুবইতে পাঠানো হয়। সেখানে সে কাজ না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। সম্প্রতি তার কাছে আরও পাঁচ লাখ টাকা দাবি করেছে তারা। ছেলের জীবনের কথা ভেবে ৩১ মে তারিখে লাইলীর কথা মত ট্রানজেকশন আইডিতে দুই দফায় ৪০ হাজার টাকা পাঠান। বর্তমানে তারা আক্কাছের জীবন নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন রয়েছেন। ঋণের টাকা কীভাবে শোধ করবেন সে চিন্তায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।

এবিষয়ে অভিযুক্ত লাইলী বেগমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ছয় লাখ টাকা নয়। তিনি ৪ লাখ ৭০ হাজার টাকা নিয়েছেন। প্রথমে ইরাকে পাঠানোর কথা ছিল। কিন্তু ইরাকের ভিসা ও বিমান বন্ধ থাকায় পাঠাতে পারেননি। যেকারণে দুবাই পাঠিয়েছেন। সেখানে আক্কাছকে থাকা খাওয়ার টাকা তিনি দিয়েছেন। আক্কাছকে কিছুদিনের মধ্যে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। তারপর সবাই বসে যে সিদ্ধান্ত দেয় তা তিনি মেনে নেবেন বলে জানান লাইলী বেগম।

বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যড. মাহবুব রহমান জানান, আদালতের বিচারক সাব্বির ফয়েজ মামলাটি তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

বিদেশ পাঠানোর নামে প্রতারণার অভিযোগ

দুবাইতে মানবেতর জীবনযাপন করছেন আক্কাছ

প্রকাশের সময় : ০৮:৪৫:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জুন ২০২৪

 

রাজবাড়ী সদর উপজেলার দাদশী ইউনিয়নের সিংগা গ্রামের আক্কাছ আলীকে ইরাক পাঠানোর কথা বলে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুইজনের বিরুদ্ধে মানব পাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলা হয়েছে। ভুক্তভোগী আক্কাছের মা আকলিমা বেগম বাদী হয়ে সোমবার মামলাটি দায়ের করেন। মামলার আসামিরা হলেন একই উপজেলার বরাট ইউনিয়নের হাউলি গ্রামের ইরাক প্রবাসী আইয়ুব সেখের স্ত্রী লাইলী বেগম এবং একই গ্রামের গেজন সরদারের ছেলে আফছার সরদার। ভুক্তভোগী আক্কাছ দুবাইতে কাজ না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

আকলিমা বেগম জানান, তাদের পাশের গ্রামেই বাড়ি লাইলী বেগমের। তারা দূর সম্পর্কের আত্মীয় হন। লাইলীদের বাড়িতে নিয়মিতই আসা যাওয়া ছিল তার। তার ছেলে আক্কাছ আলী দীর্ঘদিন ধরে বেকার থাকায় লাইলী তাকে ভালো বেতনে ইরাক পাঠানোর প্রস্তাব দেয়। এজন্য ছয় লাখ টাকা লাগবে বলে জানায়। যেহেতু লাইলীর স্বামী ইরাক থাকেন, এজন্য তার কথা আশ^স্ত হয়ে ছেলেকে বিদেশ পাঠাতে রাজী হন। এরপর বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে এবং আত্মীয় স্বজনের কাছ থেকে ধার দেনা করে ২০২৩ সালের ১০ অক্টোবর তারিখে লাইলীকে ছয় লাখ টাকা দেন। ওই সময় আফসারও উপস্থিত ছিল। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি তারিখে লাইলী ও আফসার তার ছেলে আক্কাছকে ইরাকে পাঠানোর কথা বলে ঢাকা বিমান বন্দরে নিয়ে যায়। কিন্তু তাকে ইরাকে না পাঠিয়ে দুবইতে পাঠানো হয়। সেখানে সে কাজ না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। সম্প্রতি তার কাছে আরও পাঁচ লাখ টাকা দাবি করেছে তারা। ছেলের জীবনের কথা ভেবে ৩১ মে তারিখে লাইলীর কথা মত ট্রানজেকশন আইডিতে দুই দফায় ৪০ হাজার টাকা পাঠান। বর্তমানে তারা আক্কাছের জীবন নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন রয়েছেন। ঋণের টাকা কীভাবে শোধ করবেন সে চিন্তায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।

এবিষয়ে অভিযুক্ত লাইলী বেগমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ছয় লাখ টাকা নয়। তিনি ৪ লাখ ৭০ হাজার টাকা নিয়েছেন। প্রথমে ইরাকে পাঠানোর কথা ছিল। কিন্তু ইরাকের ভিসা ও বিমান বন্ধ থাকায় পাঠাতে পারেননি। যেকারণে দুবাই পাঠিয়েছেন। সেখানে আক্কাছকে থাকা খাওয়ার টাকা তিনি দিয়েছেন। আক্কাছকে কিছুদিনের মধ্যে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। তারপর সবাই বসে যে সিদ্ধান্ত দেয় তা তিনি মেনে নেবেন বলে জানান লাইলী বেগম।

বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যড. মাহবুব রহমান জানান, আদালতের বিচারক সাব্বির ফয়েজ মামলাটি তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন।