রাজবাড়ীতে অগ্নিদগ্ধ হয়ে বৃদ্ধার মৃত্যু
- প্রকাশের সময় : ০৭:১৯:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
- / ১১১০ জন সংবাদটি পড়েছেন
রাজবাড়ী সদর উপজেলার শহীদওহাবপুর ইউনিয়নের আহ্লাদিপুর গ্রামে অগ্নিদগ্ধ হয়ে রাবেয়া বেগম বরু (৭৫) নামে এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় তার সহোদর ভাই ইউনুস আলী গুরুতর আহত হয়েছেন। তার শরীরের ৬০ শতাংশ পুড়ে গেছে। বর্তমানে তিনি ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। বুধবার ভোর সাড়ে চারটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত রাবেয়া বেগম একই গ্রামের মৃত মানিক শেখের স্ত্রী।
স্থানীয় সূত্র জানায়, রাবেয়া বেগমের স্বামী মারা যাওয়ার পর তার ছেলে মন্টুকে নিয়ে ভাই ইউনুসের বাড়িতে থাকতেন। দ্ইু বছর আগে ছেলে মন্টু বিয়ে করে অন্যত্র চলে যায়। বুধবার ভোরের দিকে রাবেয়া বেগমের ঘরে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হলে তার ভাই ইউনুস বোনকে বাঁচাতে এগিয়ে যান। এতে তিনিও দগ্ধ হন। খবর পেয়ে রাজবাড়ী ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
শহীদওহাবপুর ইউপি চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ ভুইয়া জানান, পরিবারটি খুবই হতদরিদ্র। রাবেয়া বেগম তার ভাইয়ের বাড়িতে থাকতেন। মাঝে মধ্যে ছেলের কাছেও যেতেন। সোমবার তার ছেলের কাছ থেকে ভাইয়ের বাড়িতে আসেন। অগ্নিকান্ডের ঘটনায় রাবেয়া বেগমের ভাই ইউনুস আলী গুরুতর আহত হয়েছেন। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ থেকে ঢাকায় রেফার্ড করেছে। নিহত রাবেয়া বেগমের দাফন কাফনের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার ওসি আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন বলে জানান তিনি।
রাজবাড়ী ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ সহকারী পরিচালক মো. জাকির হোসেন জানান, ভোর ৪টা ৪০ মিনিটে খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভান। সেখানে বৃদ্ধা রাবেয়া বেগমকে মৃত অবস্থায় পান। তার ভাই ইউনুস আলীকে দগ্ধ অবস্থায় পান। ইউনুস আলীকে দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। অগ্নিকান্ডে দুটি বসত ঘর পুড়ে গেছে। এতে লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে। বাড়িতে কোনো বৈদ্যুতিক সংযোগ ছিলনা। ধারণা করা হচ্ছে চুলা অথবা কুপিবাতি থেকে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হতে পারে।
রাজবাড়ী সদর থানার ওসি ইফতেখারুল আলম প্রধান জানান, এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়েছে। পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিনা ময়নাতদন্তে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। পরিবারটি খুবই গরীব। ভ্যান ভাড়া দেওয়ার সামর্থ্য তাদের নেই। দেখে খুবই কষ্ট লেগেছে। নিহত বৃদ্ধার দাফনের জন্য তিনি কিছু আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন।