Dhaka ১০:২৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পরীক্ষিত ত্যাগী কর্মীদের বাদ দিয়ে বিএনপি-জামাত থেকে অনুপ্রবেশকারীদের দিয়ে বালিয়াকান্দি উপজেলা আ’লীগ কমিটি গঠন হয়েছে॥ সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ

সংবাদদাতা-
  • প্রকাশের সময় : ০৪:৩৯:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • / ১২৮৬ জন সংবাদটি পড়েছেন

জনতার আদালত অনলাইন ॥ রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলা আওয়ামীলীগের কমিটি ভেঙ্গে তৃণমুলের নির্যাতিত নেতাকর্মীদের দিয়ে গঠনের দাবীতে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে উপজেলা আওয়ামীলীগের তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।

সোমবার বিকাল ৪টায় বালিয়াকান্দি উপজেলা রিপোর্টার্স ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে  আলমগীর বিশ্বাস অভিযোগ করে বলেন, আমি সাবেক সভাপতি, বালিয়াকান্দি উপজেলা ছাত্রলীগ, সাবেক জিএস, বালিয়াকান্দি কলেজ ছাত্র-ছাত্রী সংসদ, সভাপতি, শেখ রাসেল স্মৃতি সংসদ, সভাপতি, বালিয়াকান্দি উপজেলা কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ও গোরস্থান কমিটি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক, উপজেলা ছাত্রলীগ। আমার পিতা মরহুম নুরুল আমিন বিশ্বাস ২০১৩ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ৩৮ বছর যাবৎ বালিয়াকান্দি উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হিসেবে অত্যন্ত সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করাসহ বালিয়াকান্দি সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসেবে দীর্ঘ ২৭ বছর দায়িত্ব পালন করেন। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগকে সুসংগঠিত করতে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত নিরলস ভাবে কাজ করে গেছেন। আমার মাতা খোদেজা বেগম, বালিয়াকান্দি উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভানেত্রী ও পরপর ২ বার বিপুল ভোটে নির্বাচিত উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। আমার পিতা নুরুল আমিন বিশ্বাসকে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রদান করেও রাজবাড়ী-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ জিল্লুল হাকিম তার বিরোধিতা করে পরাজিত করেন। ১৯৭১ সালের পর থেকেই বাংলাদেশ আওয়ামীলীগকে শক্তিশালী করতে নিজের সমস্ত অর্থ দলের জন্য দু,হাত ভরে খরচ করেছেন আমার পিতা। আমি উপজেলা আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিলে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দিতা করার পর থেকেই আমাকে ও আমার পরিবারের কোন সদস্যকে আওয়ামীলীগের কমিটিতে কোন প্রকার সদস্য হিসেবেও অর্ন্তভুক্ত করা হয়নি। বরং দিনের পর দিন আমার ও পরিবারকে ধ্বংস করতে নানা ধরণের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করে আসছে।

তিনি আরো অভিযোগ করে বলেন, সম্প্রতি বালিয়াকান্দি উপজেলা আওয়ামীলীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। ওই কমিটিতে নৌকা প্রতিকের বিরোধিতাকারী , বিএনপি, জামায়াত থেকে অনুপ্রবেশকারী ও এমপির অনুসারীরাই শুধু স্থান পেয়েছে। তৃনমুল আওয়ামীলীগের ত্যাগী নেতাকর্মী ও আমার পরিবারের কোন সদস্যকেই প্রাথমিক সদস্য হিসেবেও রাখা হয়নি। বিগত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে রাজবাড়ী-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ জিল্লুল হাকিমের চাচাতো ভাই এহসানুল হাকিম সাধন বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দিতা করেন। বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকার বিরোধিতাকারীদের দল থেকে বহিস্কার করা হলেও উপজেলা নির্বাচনে নৌকা প্রতিকের বিরোধিতাকারী এহসানুল হাকিম সাধন চাচাতো ভাই হওয়ার সুবাদে তাকে উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক হিসেবে কমিটিতে রাখা হয়েছে।

 উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, সাবেক সভাপতি, উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি, আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক, সাবেক ভিপি ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ হারুন অর রশিদ মানিক, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও জঙ্গল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নৃপেন্দ্রনাথ বিশ্বাস, নারুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও নারুয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুস সালাম মাষ্টার, জামালপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ইউনুছ আলী সরদার, জামালপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি গিয়াস উদ্দিন মিয়া, নারুয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও সাবেক ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক মন্ডল, বীরমুক্তিযোদ্ধা লিয়াকত আলী খান, জামালপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুল বিন খালেক, বহরপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ খলিলুর রহমান খান, নবাবপুরের এম.এ কুদ্দুস, আলমগীর মোল্যা, হাসানুর রহমান কবির, শাহনৈওয়াজ, ফরিদ মোল্যাসহ অসংখ্য তৃনমুল আওয়ামীলীগের ত্যাগী নেতাকর্মীরা দলের সদস্য পদও পাননি। তাদেরকে বাদ দিয়েই ইচ্ছামতো কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিএনপি থেকে অনুপ্রবেশকারী বহরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম, ইসলামপুরের আহম্মদ আলী মাষ্টার, তৌহিদুল ইসলাম, বহরপুরের আবুল কালাম আজাদ, হাজী মকবুল হোসেন, জঙ্গলের অরবিন্দু বিশ্বাস, বালিয়াকান্দির মোফাজ্জেল হোসেন মিঠু, নারুয়ার সিরাজুল ইসলাম খান, জামালপুরের আলীনুর, তালেব আলী, আঃ রব, কিউ আর মহব্বত, বহরপুরের আরব আলী, বাবুসহ বিএনপির নেতাকর্মীদেরকে দলে টেনে পদ দিয়েছেন।

এমনকি বাংলাদেশ যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা শেখ মনির আস্থাভাজন ও কমিটির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক এবং দৈনিক বাংলারবানীর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা ফকির আব্দুর রাজ্জাকের ছোট ভাই আবুল কালাম ফকিরকে বাদ দিতে একটুও কারপন্য করেননি।

তিনি বলেন, রাজবাড়ী-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ জিল্লুল হাকিম, ছেলে আশিক মাহমুদ মিতুল হাকিমের অনুসারী ছাড়া কাউকেই কোন পদে রাখা হয়নি। এটি মনে হচ্ছে হাকিমলীগের কমিটির। এখানে কোন নির্যাতিত তৃনমুল আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের স্থান নেই।

তিনি আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আপনি ঘোষণা করেছেন তৃনমুল আওয়ামীলীগের পরিক্ষিত নেতাকর্মীদের নিয়ে কমিটি গঠনের। কিন্তু আজ বালিয়াকান্দিতে নির্যাতিত, তৃনমুল আওয়ামীলীগের কোন স্থান নেই। আমরা আপনার সদয় দৃষ্ঠি আকর্ষন করছি। বিষয়টি দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ পুর্বক কমিটি বাতিলের দাবী জানানোসহ তৃনমুল আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের দিয়ে কমিটি গঠনের দাবী জানাচ্ছি।

 সাংবাদিক সম্মেলনে অন্যান্যর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও জঙ্গল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নৃপেন্দ্রনাথ বিশ্বাস, সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাসানুজ্জামান বিশ্বাস, সাবেক সদস্য মোঃ সিদ্দিকুল্লা মিয়া, কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোঃ বাবুল আক্তার, বালিয়াকান্দি উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আহম্মেদ পারভেজসহ শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

এবিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হান্নান বলেন, অনেক আগেই বালিয়াকান্দি গার্লস স্কুলে সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি করা হয়েছিল। করোনার কারণে কোনো মিটিং করা হয়নি। যারা কমিটি থেকে বাদ পড়েছে তারা এসব ভিত্তিহীন অভিযোগ করছে। কমিটিতে জামাতের কেউ নেই। তবে বিএনপি থেকে আসা দুই একজনকে রাখা হয়েছে। কমিটি  গঠন প্রক্রিয়া সম্পর্কে বলেন, জিল্লুল হাকিমের পরামর্শ নিয়ে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করা হয়েছে। গত ১২ সেপ্টেম্বর নতুন কমিটির পরিচিতি সভা করা হয়েছিল বলে জানান তিনি।

রাজবাড়ী-২ আসনের সংসদ সদস্য জিল্লুল হাকিম বলেন, কমিটি করেছে উপজেলা আওয়ামী লীগ। সম্মেলন করেই তারা কমিটি করেছে। ১২ সেপ্টেম্বর তারা প্রথম মিটিং করেছে। যারা কমিটির বিরুদ্ধে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে এরা বিভিন্ন সময়ে দলীয় নির্দেশনা অমান্য করে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছে বারবার। দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে তারা অভিযুক্ত। আর কমিটিতো আমি করিনি। এখানে জেলা কমিটি শুধু অনুমোদন দেয়। বিএনপি থেকে আগতদের মধ্যে রেজাউলকে কমিটিতে রাখা হয়েছে। সে এর আগের কমিটিতেও ছিল। এছাড়া একাধিকবার নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান সে। আর যারা কমিটিতে স্থান পেয়েছেন তারা অনেক সিনিয়র। তারা আমার ছেলের অনুসারী হতে পারেন না। যারা দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিল তাদের কমিটিতে থাকার সুযোগ নেই।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

পরীক্ষিত ত্যাগী কর্মীদের বাদ দিয়ে বিএনপি-জামাত থেকে অনুপ্রবেশকারীদের দিয়ে বালিয়াকান্দি উপজেলা আ’লীগ কমিটি গঠন হয়েছে॥ সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ

প্রকাশের সময় : ০৪:৩৯:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১

জনতার আদালত অনলাইন ॥ রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলা আওয়ামীলীগের কমিটি ভেঙ্গে তৃণমুলের নির্যাতিত নেতাকর্মীদের দিয়ে গঠনের দাবীতে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে উপজেলা আওয়ামীলীগের তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।

সোমবার বিকাল ৪টায় বালিয়াকান্দি উপজেলা রিপোর্টার্স ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে  আলমগীর বিশ্বাস অভিযোগ করে বলেন, আমি সাবেক সভাপতি, বালিয়াকান্দি উপজেলা ছাত্রলীগ, সাবেক জিএস, বালিয়াকান্দি কলেজ ছাত্র-ছাত্রী সংসদ, সভাপতি, শেখ রাসেল স্মৃতি সংসদ, সভাপতি, বালিয়াকান্দি উপজেলা কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ও গোরস্থান কমিটি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক, উপজেলা ছাত্রলীগ। আমার পিতা মরহুম নুরুল আমিন বিশ্বাস ২০১৩ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ৩৮ বছর যাবৎ বালিয়াকান্দি উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হিসেবে অত্যন্ত সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করাসহ বালিয়াকান্দি সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসেবে দীর্ঘ ২৭ বছর দায়িত্ব পালন করেন। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগকে সুসংগঠিত করতে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত নিরলস ভাবে কাজ করে গেছেন। আমার মাতা খোদেজা বেগম, বালিয়াকান্দি উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভানেত্রী ও পরপর ২ বার বিপুল ভোটে নির্বাচিত উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। আমার পিতা নুরুল আমিন বিশ্বাসকে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রদান করেও রাজবাড়ী-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ জিল্লুল হাকিম তার বিরোধিতা করে পরাজিত করেন। ১৯৭১ সালের পর থেকেই বাংলাদেশ আওয়ামীলীগকে শক্তিশালী করতে নিজের সমস্ত অর্থ দলের জন্য দু,হাত ভরে খরচ করেছেন আমার পিতা। আমি উপজেলা আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিলে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দিতা করার পর থেকেই আমাকে ও আমার পরিবারের কোন সদস্যকে আওয়ামীলীগের কমিটিতে কোন প্রকার সদস্য হিসেবেও অর্ন্তভুক্ত করা হয়নি। বরং দিনের পর দিন আমার ও পরিবারকে ধ্বংস করতে নানা ধরণের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করে আসছে।

তিনি আরো অভিযোগ করে বলেন, সম্প্রতি বালিয়াকান্দি উপজেলা আওয়ামীলীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। ওই কমিটিতে নৌকা প্রতিকের বিরোধিতাকারী , বিএনপি, জামায়াত থেকে অনুপ্রবেশকারী ও এমপির অনুসারীরাই শুধু স্থান পেয়েছে। তৃনমুল আওয়ামীলীগের ত্যাগী নেতাকর্মী ও আমার পরিবারের কোন সদস্যকেই প্রাথমিক সদস্য হিসেবেও রাখা হয়নি। বিগত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে রাজবাড়ী-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ জিল্লুল হাকিমের চাচাতো ভাই এহসানুল হাকিম সাধন বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দিতা করেন। বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকার বিরোধিতাকারীদের দল থেকে বহিস্কার করা হলেও উপজেলা নির্বাচনে নৌকা প্রতিকের বিরোধিতাকারী এহসানুল হাকিম সাধন চাচাতো ভাই হওয়ার সুবাদে তাকে উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক হিসেবে কমিটিতে রাখা হয়েছে।

 উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, সাবেক সভাপতি, উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি, আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক, সাবেক ভিপি ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ হারুন অর রশিদ মানিক, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও জঙ্গল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নৃপেন্দ্রনাথ বিশ্বাস, নারুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও নারুয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুস সালাম মাষ্টার, জামালপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ইউনুছ আলী সরদার, জামালপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি গিয়াস উদ্দিন মিয়া, নারুয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও সাবেক ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক মন্ডল, বীরমুক্তিযোদ্ধা লিয়াকত আলী খান, জামালপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুল বিন খালেক, বহরপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ খলিলুর রহমান খান, নবাবপুরের এম.এ কুদ্দুস, আলমগীর মোল্যা, হাসানুর রহমান কবির, শাহনৈওয়াজ, ফরিদ মোল্যাসহ অসংখ্য তৃনমুল আওয়ামীলীগের ত্যাগী নেতাকর্মীরা দলের সদস্য পদও পাননি। তাদেরকে বাদ দিয়েই ইচ্ছামতো কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিএনপি থেকে অনুপ্রবেশকারী বহরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম, ইসলামপুরের আহম্মদ আলী মাষ্টার, তৌহিদুল ইসলাম, বহরপুরের আবুল কালাম আজাদ, হাজী মকবুল হোসেন, জঙ্গলের অরবিন্দু বিশ্বাস, বালিয়াকান্দির মোফাজ্জেল হোসেন মিঠু, নারুয়ার সিরাজুল ইসলাম খান, জামালপুরের আলীনুর, তালেব আলী, আঃ রব, কিউ আর মহব্বত, বহরপুরের আরব আলী, বাবুসহ বিএনপির নেতাকর্মীদেরকে দলে টেনে পদ দিয়েছেন।

এমনকি বাংলাদেশ যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা শেখ মনির আস্থাভাজন ও কমিটির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক এবং দৈনিক বাংলারবানীর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা ফকির আব্দুর রাজ্জাকের ছোট ভাই আবুল কালাম ফকিরকে বাদ দিতে একটুও কারপন্য করেননি।

তিনি বলেন, রাজবাড়ী-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ জিল্লুল হাকিম, ছেলে আশিক মাহমুদ মিতুল হাকিমের অনুসারী ছাড়া কাউকেই কোন পদে রাখা হয়নি। এটি মনে হচ্ছে হাকিমলীগের কমিটির। এখানে কোন নির্যাতিত তৃনমুল আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের স্থান নেই।

তিনি আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আপনি ঘোষণা করেছেন তৃনমুল আওয়ামীলীগের পরিক্ষিত নেতাকর্মীদের নিয়ে কমিটি গঠনের। কিন্তু আজ বালিয়াকান্দিতে নির্যাতিত, তৃনমুল আওয়ামীলীগের কোন স্থান নেই। আমরা আপনার সদয় দৃষ্ঠি আকর্ষন করছি। বিষয়টি দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ পুর্বক কমিটি বাতিলের দাবী জানানোসহ তৃনমুল আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের দিয়ে কমিটি গঠনের দাবী জানাচ্ছি।

 সাংবাদিক সম্মেলনে অন্যান্যর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও জঙ্গল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নৃপেন্দ্রনাথ বিশ্বাস, সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাসানুজ্জামান বিশ্বাস, সাবেক সদস্য মোঃ সিদ্দিকুল্লা মিয়া, কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোঃ বাবুল আক্তার, বালিয়াকান্দি উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আহম্মেদ পারভেজসহ শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

এবিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হান্নান বলেন, অনেক আগেই বালিয়াকান্দি গার্লস স্কুলে সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি করা হয়েছিল। করোনার কারণে কোনো মিটিং করা হয়নি। যারা কমিটি থেকে বাদ পড়েছে তারা এসব ভিত্তিহীন অভিযোগ করছে। কমিটিতে জামাতের কেউ নেই। তবে বিএনপি থেকে আসা দুই একজনকে রাখা হয়েছে। কমিটি  গঠন প্রক্রিয়া সম্পর্কে বলেন, জিল্লুল হাকিমের পরামর্শ নিয়ে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করা হয়েছে। গত ১২ সেপ্টেম্বর নতুন কমিটির পরিচিতি সভা করা হয়েছিল বলে জানান তিনি।

রাজবাড়ী-২ আসনের সংসদ সদস্য জিল্লুল হাকিম বলেন, কমিটি করেছে উপজেলা আওয়ামী লীগ। সম্মেলন করেই তারা কমিটি করেছে। ১২ সেপ্টেম্বর তারা প্রথম মিটিং করেছে। যারা কমিটির বিরুদ্ধে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে এরা বিভিন্ন সময়ে দলীয় নির্দেশনা অমান্য করে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছে বারবার। দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে তারা অভিযুক্ত। আর কমিটিতো আমি করিনি। এখানে জেলা কমিটি শুধু অনুমোদন দেয়। বিএনপি থেকে আগতদের মধ্যে রেজাউলকে কমিটিতে রাখা হয়েছে। সে এর আগের কমিটিতেও ছিল। এছাড়া একাধিকবার নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান সে। আর যারা কমিটিতে স্থান পেয়েছেন তারা অনেক সিনিয়র। তারা আমার ছেলের অনুসারী হতে পারেন না। যারা দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিল তাদের কমিটিতে থাকার সুযোগ নেই।