Dhaka ০৬:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বালিয়াকান্দিতে শিক্ষার্থীদের উপ-বৃত্তি প্রদানে বিকাশ এজেন্টের প্রতারণা

সংবাদদাতা-
  • প্রকাশের সময় : ০৮:৫২:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুন ২০২১
  • / ১১৮৯ জন সংবাদটি পড়েছেন

জনতার আদালত অনলাইন ॥ রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে এক বিকাশ এজেন্টের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের উপ-বৃত্তি প্রদানে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত বিকাশ এজেন্ট টাকা ফেরত দিয়ে রক্ষা পেয়েছে।

অভিযুক্ত বিকাশ এজেন্টের নাম, জাহাঙ্গীর আলম জিকু ওরফে জিকু ডাক্তার। সে উপজেলার বহরপুর ইউনিয়নের নতুনচর স্কুলের সামনে ঔষধ, মুদিদোকান, পেট্রোল ও বিকাশ এজেন্টের ব্যবসায়ী।

ভুক্তভোগীদের সাথে কথা বলে জানাগেছে, উপজেলার বহরপুর ইউনিয়নের নতুনচর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থী জুথি। তার সরকারী উপ-বৃত্তির টাকা মোবাইলে আসে। বিকাশ এজেন্ট জাহাঙ্গীর আলম জিকু ১৮শত টাকা ক্যাশ আউট করলেও তাকে ৯শত টাকা প্রদান করে। শিক্ষার্থী রাসেলের ১৩শত ৫০ টাকা ক্যাশ আউট করে ৮৭৫ টাকা দিয়েছে। জাকিরের ছেলের ৫৪ শত টাকা ক্যাশ আউট করে ১৮শত টাকা দিয়েছে। মোহাম্মদের ছেলে আলিফের ১৮শত টাকা ক্যাশ আউট করে ৯শত টাকা দিয়েছে। এ এজেন্টের নিকট থেকে যারাই টাকা উত্তোলন করেছে সে সকল শিক্ষার্থীর টাকা অর্ধেক প্রদান করে বাকী টাকা হাতিয়ে নেয়। বিষয়টি জানাজানি হলে টাকা ফেরত দিয়ে রক্ষা পায়।

স্থানীয় নতুনচর গ্রামের কয়েকজন বলেন, সে এলাকায় চিকিৎসার পাশাপাশি ঔষধ বিক্রি, তৈল, প্রেট্রোল, মুদিসামগ্রী বিক্রি করে আসছে। বিকাশ এজেন্ট থাকায় স্থানীয় শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা তার কাছ থেকেই টাকা উত্তোলন করে। এ সুযোগে ১৮শত টাকা ক্যাশ আউট করে ৯শত টাকা করে প্রদান করেছে। এখন যারা টের পেয়ে তার কাছে আসছে তাদেরকে ফেরত দিচ্ছে।

অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর আলম ওরফে জিকু ডাক্তারের সাথে কথা বলতে তার বাড়ীতে গেলে সে পরিচয় গোপন করে ঘরের মধ্যে চলে যায়। পরে তার দোকানে আসলে দেখা যায় ঔষধ, পেট্রোলসহ মুদিখানার সকল মালামাল এক দোকানেই বিক্রি করছে। পরে সে মোবাইল ফোনে টাকা ফেরতের কথা স্বীকার করেন।

নতুনচর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খলিলুর রহমান বলেন, ২০২০ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর এবং ২০২১ সালের জানুয়ারী থেকে জুন মাস পর্যন্ত ১৮ শত টাকা করে প্রতি শিক্ষার্থীদের অনুকুলে উপ-বৃত্তি প্রদান করা হয়। এ টাকা আসার পর ১৮শত টাকা করে ক্যাশ আউট করে ৯শত টাকা করে অভিভাবকদের হাতে তুলে দেয়। বৃহস্পতিবারও দু,জনকে টাকা ফেরত দিয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার আম্বিয়া সুলতানা বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

বালিয়াকান্দিতে শিক্ষার্থীদের উপ-বৃত্তি প্রদানে বিকাশ এজেন্টের প্রতারণা

প্রকাশের সময় : ০৮:৫২:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুন ২০২১

জনতার আদালত অনলাইন ॥ রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে এক বিকাশ এজেন্টের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের উপ-বৃত্তি প্রদানে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত বিকাশ এজেন্ট টাকা ফেরত দিয়ে রক্ষা পেয়েছে।

অভিযুক্ত বিকাশ এজেন্টের নাম, জাহাঙ্গীর আলম জিকু ওরফে জিকু ডাক্তার। সে উপজেলার বহরপুর ইউনিয়নের নতুনচর স্কুলের সামনে ঔষধ, মুদিদোকান, পেট্রোল ও বিকাশ এজেন্টের ব্যবসায়ী।

ভুক্তভোগীদের সাথে কথা বলে জানাগেছে, উপজেলার বহরপুর ইউনিয়নের নতুনচর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থী জুথি। তার সরকারী উপ-বৃত্তির টাকা মোবাইলে আসে। বিকাশ এজেন্ট জাহাঙ্গীর আলম জিকু ১৮শত টাকা ক্যাশ আউট করলেও তাকে ৯শত টাকা প্রদান করে। শিক্ষার্থী রাসেলের ১৩শত ৫০ টাকা ক্যাশ আউট করে ৮৭৫ টাকা দিয়েছে। জাকিরের ছেলের ৫৪ শত টাকা ক্যাশ আউট করে ১৮শত টাকা দিয়েছে। মোহাম্মদের ছেলে আলিফের ১৮শত টাকা ক্যাশ আউট করে ৯শত টাকা দিয়েছে। এ এজেন্টের নিকট থেকে যারাই টাকা উত্তোলন করেছে সে সকল শিক্ষার্থীর টাকা অর্ধেক প্রদান করে বাকী টাকা হাতিয়ে নেয়। বিষয়টি জানাজানি হলে টাকা ফেরত দিয়ে রক্ষা পায়।

স্থানীয় নতুনচর গ্রামের কয়েকজন বলেন, সে এলাকায় চিকিৎসার পাশাপাশি ঔষধ বিক্রি, তৈল, প্রেট্রোল, মুদিসামগ্রী বিক্রি করে আসছে। বিকাশ এজেন্ট থাকায় স্থানীয় শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা তার কাছ থেকেই টাকা উত্তোলন করে। এ সুযোগে ১৮শত টাকা ক্যাশ আউট করে ৯শত টাকা করে প্রদান করেছে। এখন যারা টের পেয়ে তার কাছে আসছে তাদেরকে ফেরত দিচ্ছে।

অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর আলম ওরফে জিকু ডাক্তারের সাথে কথা বলতে তার বাড়ীতে গেলে সে পরিচয় গোপন করে ঘরের মধ্যে চলে যায়। পরে তার দোকানে আসলে দেখা যায় ঔষধ, পেট্রোলসহ মুদিখানার সকল মালামাল এক দোকানেই বিক্রি করছে। পরে সে মোবাইল ফোনে টাকা ফেরতের কথা স্বীকার করেন।

নতুনচর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খলিলুর রহমান বলেন, ২০২০ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর এবং ২০২১ সালের জানুয়ারী থেকে জুন মাস পর্যন্ত ১৮ শত টাকা করে প্রতি শিক্ষার্থীদের অনুকুলে উপ-বৃত্তি প্রদান করা হয়। এ টাকা আসার পর ১৮শত টাকা করে ক্যাশ আউট করে ৯শত টাকা করে অভিভাবকদের হাতে তুলে দেয়। বৃহস্পতিবারও দু,জনকে টাকা ফেরত দিয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার আম্বিয়া সুলতানা বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।