Dhaka ১১:৩০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কালুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স উদ্বোধনের ২২ মাস পরও পূর্ণাঙ্গ চালু হয়নি॥ ব্যাহত স্বাস্থ্যসেবা

সংবাদদাতা-
  • প্রকাশের সময় : ০৯:৩৮:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ ডিসেম্বর ২০১৯
  • / ১৫৪৯ জন সংবাদটি পড়েছেন

জনতার আদালত অনলাইন ॥ প্রয়োজনীয় লোকোবল আর যন্ত্রপাতির অভাবে উদ্বোধনের ২২ মাস পরও পূর্ণাঙ্গভাবে চালু হয়নি কালুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি। শুধুমাত্র বহির্বিভাগে রোগী দেখার মধ্যেই চলছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির কার্যক্রম। ফলে প্রায় পৌনে দুই লাখ জনসংখ্যার কালুখালী উপজেলাবাসী স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। দূরবর্তী পাংশা অথবা রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে গিয়ে নিতে হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা। ২০১৮ সালের ৩০ জানুয়ারি তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেছিলেন কালুখালী ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের।
২০০৯ সালের ১৬ নভেম্বর তারিখে পাংশা উপজেলা ভেঙে সাতটি ইউনিয়ন নিয়ে কালুখালী উপজেলা পরিষদ গঠিত হয়। যার আয়তন ১৬৯.৫৮ বর্গকিলোমিটার। ২০১৩ সালের ২ নভেম্বর তারিখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাংশা কলেজ মাঠে জনসভা থেকে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট কালুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভিত্তি প্রস্তুর স্থাপন করেন। প্রায় ১৮ কোটি টাকা ব্যয়ে কালুখালী উপজেলার বোয়ালিয়ায় নির্মাণ করা হয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি। নির্মাণকাজ সম্পন্ন হওয়ার পর ২০১৮ সালের ৩০ জানুয়ারি তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম আনুষ্ঠানিকভাবে কমপ্লেক্সটির শুভ উদ্বোধন করেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে ৫০টি শয্যা ছাড়া চিকিৎসার যন্ত্রপাতি, সরঞ্জাম বা প্রয়োজনীয় লোকবল কিছুই দেয়া হয়নি। ৫০ শয্যার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জন্য যে লোকবল থাকার কথা তা নেই। ৩১ শয্যার লোকবল মঞ্জুরি থাকলেও সেটাতেও রয়েছে শূন্যতা। ২০১০ সালের ৮ ডিসেম্বর তারিখে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির জন্য ১১ জন চিকিৎসক, ছয়জন ফার্মাসিস্ট ও টেকনোলজিস্ট সহ ৩৯ টি পদের জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা বরাবর চিঠি দেন মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন উপ সচিব। এখনও পর্যন্ত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে কোনো টেকনোলজিস্ট নিয়োগ দেয়া হয়নি। নৈশ প্রহরী, আয়াসহ গুরুত্বপূর্ণ পদে কোনো লোক নেই। রোগী ভর্তি করার জন্য প্রয়োজনীয় লোকবল যন্ত্রপাতি না থাকার কারণে বর্তমানে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির কার্যক্রম বহির্বিভাগে রোগী দেখার মধ্যেই সীমাবদ্ধ।
সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে একজন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, জুনিয়র কনসালটেন্ট মেডিসিন একজন, জুনিয়র কনসালটেন্ট গাইনী একজন, জুনিয়র কনসালটেন্ট এনেসথিসিয়া একজন, জুনিয়র কনসালটেন্ট সার্জারী একজন, তিনজন মেডিকেল অফিসার ও একজন সহকারী ডেন্টাল সার্জনের পদ অনুমোদন দেয়া আছে। তবে এসব পদেও বেশিরভাগই শূন্য। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. নুরুল ইসলামের পদোন্নতি হওয়ায় তিনি শীঘ্রই অন্যত্র চলে যাবেন বলে জানা গেছে। এছাড়া মেডিকেল অফিসার শান মোহম্মদ ইরানকে প্রেষণে পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে।
সম্প্রতি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে গিয়ে দেখা যায়, নীচতলায় বহিবির্ভাগে রোগীদের দীর্ঘ লাইন। দ্বিতীয় তলায় একপাশে রোগীদের ওয়ার্ডে শয্যা সাজানো আছে। অপর পাশে অফিস স্টাফদের কক্ষ। তৃতীয় তলায় অপারেশন থিয়েটার ও ওয়ার্ড। অফিস কক্ষে পাওয়া গেল ক্যাশিয়ার আসাদুর রহমানকে। জানালেন, হাসপাতালের জন্য যেসব যন্ত্রপাতি বা ইনস্টুমেন্ট প্রয়োজন তার কিছুই আসেনি। রাতে পাহারা দেয়ার জন্য নৈশ প্রহরী নেই। নেই আয়া ও সুইপার। আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে দুজনকে নিয়োগ দিয়ে কোনোমতে চলছে হাসপাতাল ঝাড়– দেয়ার কাজ। এসব কারণে হাসপাতালটি পূর্ণঙ্গভাবে চালু করা যাচ্ছে না। সকাল থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত বর্হিবিভাগে রোগী দেখা হয়। এরপর সন্ধ্যা পর্যন্ত খোলা থাকে হাসপাতাল। গত বছর হাসপাতালটি পূর্ণাঙ্গভাবে চালু করার জন্য আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু এখনও সাড়া মেলেনি।
উপজেলার হাড়িভাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা আলাউদ্দিন জানান, ঠান্ডা জ্বরে আক্রান্ত তার পাঁচ মাসের মেয়ে আলিজাকে দেখিয়ে বাড়ি ফিরছেন। প্রেসক্রিপশনের সব ওষুধই হাসপাতাল থেকে দিয়েছে। আব্দুল বক্কার নামে একজন জানান, তার স্ত্রী শিল্পীকে দেখাতে এসেছিলেন। জ্বর হয়েছে বেশ কিছুদিন ধরে। সারছে না। হাসাপাতাল থেকে চারটি ওষুধ লিখেছে। এর মধ্যে দুটি ওষুধ দিয়েছে বাকী দুটো বাইরে থেকে কিনতে বলেছে।
মাজবাড়ি এলাকার বাসিন্দা সামসুল আলম হাসু জানান, হাসপাতালটি মহাসড়কের পাশে। মাঝে মাঝে দুর্ঘটনায় লোকজন আহত হয়। হাসপাতালটি পূর্ণাঙ্গভাবে চালু হলে জরুরী রোগীদের এখানে চিকিৎসা দেয়া যেত। এছাড়া উপজেলার অনেক গরীব রোগী আছে যাদের বাইরে গিয়ে চিকিৎসা করানোর সামর্থ্য নেই তারাও চিকিৎসা পেত। অতি দ্রুত হাসপাতালটি চালুর দাবি জানান তিনি।
কালুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. মুহম্মদ আবু জালাল এ প্রসঙ্গে বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি উদ্বোধন হওয়ার পর থেকে আজ অব্দি আউটডোর এবং দুই শিফটে জরুরী বিভাগে রোগী দেখা হয়। প্রতিদিন আড়াইশ থেকে তিনশ জন রোগী সেবা দেয়া হয়ে থাকে। ইনডোর চালু করার জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে। তারা আশ্বস্ত করেছে খুব শীগগীরই ইনডোর চালু হবে। ইনডোর চালু করতে গেলে ল্যাবরেটরি, রক্ত পরীক্ষার যন্ত্রপাতি, প্যাথলজি, এক্সরে মেশিন, ইসিজি মেশিনের বিশেষ প্রয়োজন। এগুলো আনার জন্য চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এছাড়া লোকবলেরও চরম সংকট রয়েছে। যদিও আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে কয়েকজনকে পাওয়া গেছে। যন্ত্রপাতিগুলো চলে এলে ইনডোর চালু করা যেতে পারে।
রাজবাড়ীর সিভিল সার্জন ডা. মুহম্মদ মাহফুজার রহমান জানান, কালুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি পূর্ণাঙ্গভাবে চালু করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। খুব শীগগীরই চালু করার ব্যাপারে আশাবাদী।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

কালুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স উদ্বোধনের ২২ মাস পরও পূর্ণাঙ্গ চালু হয়নি॥ ব্যাহত স্বাস্থ্যসেবা

প্রকাশের সময় : ০৯:৩৮:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ ডিসেম্বর ২০১৯

জনতার আদালত অনলাইন ॥ প্রয়োজনীয় লোকোবল আর যন্ত্রপাতির অভাবে উদ্বোধনের ২২ মাস পরও পূর্ণাঙ্গভাবে চালু হয়নি কালুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি। শুধুমাত্র বহির্বিভাগে রোগী দেখার মধ্যেই চলছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির কার্যক্রম। ফলে প্রায় পৌনে দুই লাখ জনসংখ্যার কালুখালী উপজেলাবাসী স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। দূরবর্তী পাংশা অথবা রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে গিয়ে নিতে হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা। ২০১৮ সালের ৩০ জানুয়ারি তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেছিলেন কালুখালী ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের।
২০০৯ সালের ১৬ নভেম্বর তারিখে পাংশা উপজেলা ভেঙে সাতটি ইউনিয়ন নিয়ে কালুখালী উপজেলা পরিষদ গঠিত হয়। যার আয়তন ১৬৯.৫৮ বর্গকিলোমিটার। ২০১৩ সালের ২ নভেম্বর তারিখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাংশা কলেজ মাঠে জনসভা থেকে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট কালুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভিত্তি প্রস্তুর স্থাপন করেন। প্রায় ১৮ কোটি টাকা ব্যয়ে কালুখালী উপজেলার বোয়ালিয়ায় নির্মাণ করা হয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি। নির্মাণকাজ সম্পন্ন হওয়ার পর ২০১৮ সালের ৩০ জানুয়ারি তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম আনুষ্ঠানিকভাবে কমপ্লেক্সটির শুভ উদ্বোধন করেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে ৫০টি শয্যা ছাড়া চিকিৎসার যন্ত্রপাতি, সরঞ্জাম বা প্রয়োজনীয় লোকবল কিছুই দেয়া হয়নি। ৫০ শয্যার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জন্য যে লোকবল থাকার কথা তা নেই। ৩১ শয্যার লোকবল মঞ্জুরি থাকলেও সেটাতেও রয়েছে শূন্যতা। ২০১০ সালের ৮ ডিসেম্বর তারিখে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির জন্য ১১ জন চিকিৎসক, ছয়জন ফার্মাসিস্ট ও টেকনোলজিস্ট সহ ৩৯ টি পদের জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা বরাবর চিঠি দেন মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন উপ সচিব। এখনও পর্যন্ত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে কোনো টেকনোলজিস্ট নিয়োগ দেয়া হয়নি। নৈশ প্রহরী, আয়াসহ গুরুত্বপূর্ণ পদে কোনো লোক নেই। রোগী ভর্তি করার জন্য প্রয়োজনীয় লোকবল যন্ত্রপাতি না থাকার কারণে বর্তমানে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির কার্যক্রম বহির্বিভাগে রোগী দেখার মধ্যেই সীমাবদ্ধ।
সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে একজন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, জুনিয়র কনসালটেন্ট মেডিসিন একজন, জুনিয়র কনসালটেন্ট গাইনী একজন, জুনিয়র কনসালটেন্ট এনেসথিসিয়া একজন, জুনিয়র কনসালটেন্ট সার্জারী একজন, তিনজন মেডিকেল অফিসার ও একজন সহকারী ডেন্টাল সার্জনের পদ অনুমোদন দেয়া আছে। তবে এসব পদেও বেশিরভাগই শূন্য। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. নুরুল ইসলামের পদোন্নতি হওয়ায় তিনি শীঘ্রই অন্যত্র চলে যাবেন বলে জানা গেছে। এছাড়া মেডিকেল অফিসার শান মোহম্মদ ইরানকে প্রেষণে পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে।
সম্প্রতি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে গিয়ে দেখা যায়, নীচতলায় বহিবির্ভাগে রোগীদের দীর্ঘ লাইন। দ্বিতীয় তলায় একপাশে রোগীদের ওয়ার্ডে শয্যা সাজানো আছে। অপর পাশে অফিস স্টাফদের কক্ষ। তৃতীয় তলায় অপারেশন থিয়েটার ও ওয়ার্ড। অফিস কক্ষে পাওয়া গেল ক্যাশিয়ার আসাদুর রহমানকে। জানালেন, হাসপাতালের জন্য যেসব যন্ত্রপাতি বা ইনস্টুমেন্ট প্রয়োজন তার কিছুই আসেনি। রাতে পাহারা দেয়ার জন্য নৈশ প্রহরী নেই। নেই আয়া ও সুইপার। আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে দুজনকে নিয়োগ দিয়ে কোনোমতে চলছে হাসপাতাল ঝাড়– দেয়ার কাজ। এসব কারণে হাসপাতালটি পূর্ণঙ্গভাবে চালু করা যাচ্ছে না। সকাল থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত বর্হিবিভাগে রোগী দেখা হয়। এরপর সন্ধ্যা পর্যন্ত খোলা থাকে হাসপাতাল। গত বছর হাসপাতালটি পূর্ণাঙ্গভাবে চালু করার জন্য আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু এখনও সাড়া মেলেনি।
উপজেলার হাড়িভাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা আলাউদ্দিন জানান, ঠান্ডা জ্বরে আক্রান্ত তার পাঁচ মাসের মেয়ে আলিজাকে দেখিয়ে বাড়ি ফিরছেন। প্রেসক্রিপশনের সব ওষুধই হাসপাতাল থেকে দিয়েছে। আব্দুল বক্কার নামে একজন জানান, তার স্ত্রী শিল্পীকে দেখাতে এসেছিলেন। জ্বর হয়েছে বেশ কিছুদিন ধরে। সারছে না। হাসাপাতাল থেকে চারটি ওষুধ লিখেছে। এর মধ্যে দুটি ওষুধ দিয়েছে বাকী দুটো বাইরে থেকে কিনতে বলেছে।
মাজবাড়ি এলাকার বাসিন্দা সামসুল আলম হাসু জানান, হাসপাতালটি মহাসড়কের পাশে। মাঝে মাঝে দুর্ঘটনায় লোকজন আহত হয়। হাসপাতালটি পূর্ণাঙ্গভাবে চালু হলে জরুরী রোগীদের এখানে চিকিৎসা দেয়া যেত। এছাড়া উপজেলার অনেক গরীব রোগী আছে যাদের বাইরে গিয়ে চিকিৎসা করানোর সামর্থ্য নেই তারাও চিকিৎসা পেত। অতি দ্রুত হাসপাতালটি চালুর দাবি জানান তিনি।
কালুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. মুহম্মদ আবু জালাল এ প্রসঙ্গে বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি উদ্বোধন হওয়ার পর থেকে আজ অব্দি আউটডোর এবং দুই শিফটে জরুরী বিভাগে রোগী দেখা হয়। প্রতিদিন আড়াইশ থেকে তিনশ জন রোগী সেবা দেয়া হয়ে থাকে। ইনডোর চালু করার জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে। তারা আশ্বস্ত করেছে খুব শীগগীরই ইনডোর চালু হবে। ইনডোর চালু করতে গেলে ল্যাবরেটরি, রক্ত পরীক্ষার যন্ত্রপাতি, প্যাথলজি, এক্সরে মেশিন, ইসিজি মেশিনের বিশেষ প্রয়োজন। এগুলো আনার জন্য চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এছাড়া লোকবলেরও চরম সংকট রয়েছে। যদিও আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে কয়েকজনকে পাওয়া গেছে। যন্ত্রপাতিগুলো চলে এলে ইনডোর চালু করা যেতে পারে।
রাজবাড়ীর সিভিল সার্জন ডা. মুহম্মদ মাহফুজার রহমান জানান, কালুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি পূর্ণাঙ্গভাবে চালু করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। খুব শীগগীরই চালু করার ব্যাপারে আশাবাদী।