Dhaka ০৬:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বালিয়াকান্দিতে গণধর্ষণের শিকার বীমাকর্মী

সংবাদদাতা-
  • প্রকাশের সময় : ০৯:২৮:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০১৯
  • / ১৫৩২ জন সংবাদটি পড়েছেন

জনতার আদালত অনলাইন ॥ রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন দুই সন্তানের জননী এক বীমা কর্মী। এ ঘটনায় ওই বীমা কর্মী বাদী হয়ে সোমবার তিনজনের নাম উল্লেখসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে বালিয়াকান্দি থানায় মামলা করেছেন। মামলার আসামিরা হলো সাদ্দাম, মারুফ ও কামরুল। এদের বাড়ি বালিয়াকান্দি উপজেলার বহরপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে।
মামলায় বাদী অভিযোগ করেন, তিনি একটি ইন্স্যুরেন্স কোম্পানীতে চাকরী করেন। বর্তমানে তার দুই সন্তান নিয়ে চাচার বাড়িতে বসবাস করেন। গত ১৬ নভেম্বর শনিবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে কর্মস্থল থেকে একটি যানবাহনে বালিয়াকান্দি উপজেলার বহরপুর বাজারে নেমে পায়ে হেঁটে চাচার বাড়িতে যাচ্ছিলেন। বাড়ির কাছাকাছি পৌছালে সাদ্দাম, মারুফ, কামরুলসহ ছয়জন তাকে ঘিরে ধরে। সাদ্দাম তাকে জাপটে ধরলে তিনি চিৎকার দেন। এসময় তার মুখে গামছা গুজে দিয়ে তাকে জোরপূর্বক একটি অটোরিক্সায় তুলে দূরবর্তী খোলা মাঠে নিয়ে যায়। খোলামাঠের মাঝখানে একটি স্যালোমেশিনের ঘরে নিয়ে প্রথমে তিনজন তার হাত পা ধরে রাখে সাদ্দাম ধর্ষণ করে। এরপর পর্যায়ক্রমে সব আসামি তাকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণ শেষে তার ভ্যানিটি ব্যাগে থাকা ২০ হাজার টাকাও ছিনিয়ে নিয়ে যায় আসামিরা। পরে আসামিরা ধর্ষণের কথা কাউকে জানালে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে একটি রিক্সায় তুলে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়।
বালিয়াকান্দি থানার ওসি একেএম আজমল হুদা জানান, ধর্ষণের ঘটনায় মামলা হয়েছে। ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য তাকে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মামলাটি গুরুত্বের সাথে তদন্ত করা হচ্ছে।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

বালিয়াকান্দিতে গণধর্ষণের শিকার বীমাকর্মী

প্রকাশের সময় : ০৯:২৮:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০১৯

জনতার আদালত অনলাইন ॥ রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন দুই সন্তানের জননী এক বীমা কর্মী। এ ঘটনায় ওই বীমা কর্মী বাদী হয়ে সোমবার তিনজনের নাম উল্লেখসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে বালিয়াকান্দি থানায় মামলা করেছেন। মামলার আসামিরা হলো সাদ্দাম, মারুফ ও কামরুল। এদের বাড়ি বালিয়াকান্দি উপজেলার বহরপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে।
মামলায় বাদী অভিযোগ করেন, তিনি একটি ইন্স্যুরেন্স কোম্পানীতে চাকরী করেন। বর্তমানে তার দুই সন্তান নিয়ে চাচার বাড়িতে বসবাস করেন। গত ১৬ নভেম্বর শনিবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে কর্মস্থল থেকে একটি যানবাহনে বালিয়াকান্দি উপজেলার বহরপুর বাজারে নেমে পায়ে হেঁটে চাচার বাড়িতে যাচ্ছিলেন। বাড়ির কাছাকাছি পৌছালে সাদ্দাম, মারুফ, কামরুলসহ ছয়জন তাকে ঘিরে ধরে। সাদ্দাম তাকে জাপটে ধরলে তিনি চিৎকার দেন। এসময় তার মুখে গামছা গুজে দিয়ে তাকে জোরপূর্বক একটি অটোরিক্সায় তুলে দূরবর্তী খোলা মাঠে নিয়ে যায়। খোলামাঠের মাঝখানে একটি স্যালোমেশিনের ঘরে নিয়ে প্রথমে তিনজন তার হাত পা ধরে রাখে সাদ্দাম ধর্ষণ করে। এরপর পর্যায়ক্রমে সব আসামি তাকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণ শেষে তার ভ্যানিটি ব্যাগে থাকা ২০ হাজার টাকাও ছিনিয়ে নিয়ে যায় আসামিরা। পরে আসামিরা ধর্ষণের কথা কাউকে জানালে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে একটি রিক্সায় তুলে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়।
বালিয়াকান্দি থানার ওসি একেএম আজমল হুদা জানান, ধর্ষণের ঘটনায় মামলা হয়েছে। ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য তাকে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মামলাটি গুরুত্বের সাথে তদন্ত করা হচ্ছে।