৭টি বিয়ের তথ্য পেয়েছে পুলিশ
বিয়ে আর প্রতারণাই তার পেশা
- প্রকাশের সময় : ০৮:৫০:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩
- / ১১০৮ জন সংবাদটি পড়েছেন
বিয়ে আর প্রতারণাই যেন আবুল কালাম আজাদ ওরফে ইমন ওরফে বুলবুলের পেশা। এপর্যন্ত সাতটি বিয়ের তথ্য আছে পুলিশের কাছে। চাকরি দেওয়ার নাম করে মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে কোটি টাকারও বেশি। অবশেষে ধরা পড়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে। শনিবার রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার জিএম আবুল কালাম আজাদ এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান এসব তথ্য। গ্রেপ্তার ইমনের বাড়ি চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুরহুদা উপজেলায়।
রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার জিএম আবুল কালাম আজাদ জানান, গত ১৮ সেপ্টেম্বর তারিখে পাংশা থানায় আসামি আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে একটি নারী নির্যাতন ও মানব পাচার মামলা হয়। বিয়ের পর আবুল কালাম একটি মেয়েকে পাচারের চেষ্টা করছিল। সে অনেকগুলি বিয়ে করেছে। এখন পর্যন্ত সাতটি বিয়ের তথ্য পাওয়া গেছে। মেহেরপুর, ঝিনাইদহ ও চুয়াডাঙ্গা জেলায় দুটি করে এবং রাজবাড়ীর পাংশায় একটি। সর্বশেষ সে পাংশা উপজেলা এলাকায় আয়েশা নামে এক মেয়েকে বিয়ে করেছে। মেয়ের পরিবারের কাছে পরিচয় দিয়েছিল সে স্বাস্থ্য বিভাগে চাকরি করে। ওই সময় স্থানীয় কিছু মানুষকেও সে ম্যানেজ করে। স্বাস্থ্য বিভাগে চাকরী দেওয়ার নাম করে সে পাংশা এলাকার সাতজনের কাছ থেকে মোট ১৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। আবুল কালামের বিষয়ে আরও কিছু তথ্য জানা গেছে, ২০১৬ সালে স্বাস্থ্য বিভাগে চাকরী দেওয়ার কথা বলে ২০ জনের কাছ থেকে মোট ১ কোটি ১৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। তাদের মধ্যে কয়েকজনকে আউটসোর্সিংয়ে চাকরি দিয়েছিল। করোনার সময় সবার চাকরি চলে গেলে ভুক্তভোগীরা টাকার দাবিতে তার বাড়ি যায়। সে টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রæতি দিয়েছিল। এরপর সে পরিকল্পনা করে বিভিন্ন জায়গায় বিয়ে করে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা আয় করে সেসব শোধ করবে। এপর্যন্ত সে প্রতারণার মাধ্যমে ১ কোটি ৬৩ লাখ টাকা হাতিয়েছে। তার নামে দেশের বিভিন্ন থানায় চারটি মামলা রয়েছে। দুটির গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে আরও জানানো হয়, পাংশা থানায় মামলা দায়েরের পর পুলিশ তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছিল। ইতিমধ্যে শুক্রবার রাতে নাটোর র্যাব ক্যাম্পের সদস্যরা তাকে গ্রেপ্তার করে পাংশা থানায় হস্তান্তর করে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে অন্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজাউল করিম, পাংশা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার সুমন কুমার সাহা প্রমুখ।