ইউপি নির্ব াচন: জঙ্গলে নৌকার বিরোধীতাকারীকে মনোনয়ন দেওয়ার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন
- প্রকাশের সময় : ০৭:২১:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ অক্টোবর ২০২১
- / ১৪৯৬ জন সংবাদটি পড়েছেন
জনতার আদালত অনলাইন ॥ রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার জঙ্গল ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের বিরোধীতাকারী কল্লোল বসুকে মনোনয়ন দেওয়ার অভিযোগ এনে প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান নৃপেন্দ্রনাথ বিশ^াস। বৃহস্পতিবার দুপুরে জঙ্গল ইউনিয়ন পরিষদের সম্মেলন কক্ষে এক জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব অভিযোগ করেন। নৌকার মনোনীত প্রার্থী কল্লোল বসু জঙ্গল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি।
নৃপেন্দ্র নাথ বিশ^াস বলেন, তিনি পরপর দুইবার জঙ্গল ইউপির নির্বাচিত চেয়ারম্যান। এবার যাকে নৌকার প্রার্থী করা হয়েছে, তার পরিবার সব সময় আওয়ামী লীগের বিরোধীতা করেছে। মনোনীত ব্যক্তি কল্লোল বসুর এলাকায় কোনো জন সম্পৃক্ততা নেই। তিনি থাকেন বালিয়াকান্দি শহরের। বিগত উপজেলা নির্বাচনেও কল্লোল বসু আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সাধন হাকিমের পক্ষ নিয়ে নির্বাচন করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, এখানে প্রকৃত ত্যাগীদের মূল্যায়ন করা হয়নি। এই প্রার্থী পরিবর্তন করে আওয়ামী লীগের ত্যাগী ও পরীক্ষিত এবং জনগণ যাকে চায় তাকেই যেন মনোনয়ন দেওয়া হয়।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি সাধারণ জনগণ নিয়ে কাজ করি। জনগণ যেভাবে চাইবে আমি সেভাবে জনগণের পাশে থাকব।
সম্মেলনে অন্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন ইউপি সদস্য অভিমন্যু মন্ডল, অনিতা সরকার, নীলিমা চৌধুরী, ১নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি প্রদীপ্ত কুমার বিশ্বাস, মন্টু লাল সরকার, জয়দেব বিশ্বাস, কামরুল আলম, মনমতো বাড়ৈ, সুকদেব বিশ্বাস প্রমুখ।
আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী কল্লোল বসুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি বা আমার পরিবার কখনই নৌকার বিরোধীতা করিনি। তিনি জানান, তার বাবা ৩০ বছর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। জঙ্গল ইউনিয়নের চেয়ারম্যানও ছিলেন। বিগত ইউপি নির্বাচনে তার বাবাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। তিনি সেটা মেনে নিয়েই নৌকার পক্ষে নির্বাচন করেছেন। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলনে আমি সভাপতি হয়েছি। নৃপেন্দ্রনাথ বিশ^াসকে ১ নং সদস্য করে সম্মানিত করেছি। উপজেলা নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার বিষয়ে বলেন, আমি সারা মাস তিনি নৌকার পক্ষে কাজ করেছেন। ভোটের কয়েকদিন আগে বিদ্রোহী প্রার্থী সাধন হাকিম তাকে জোর করে জঙ্গল বাজারে নির্বাচনী সভায় নিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে কোনো বক্তব্য দেননি বলে দাবি করেন তিনি।