ইউএনও পরিচয়ে ব্যবসায়ীর দুটি দামি মোবাইল সেট নিয়ে চম্পট প্রতারক
- প্রকাশের সময় : ০৬:১৪:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১
- / ১২৫২ জন সংবাদটি পড়েছেন
SSUCv3H4sIAAAAAAAEAJ1W226jMBB9X2n/IeK5kWyML+yvVH0wxiFWASPbpIqq/Psa0mxhJlKlfQKPj+d6ZuzP378Oh6LR0Zniz+FzWeW16/s5pqCT82MW05cvuW1d8sHpPgvJIrutO0VMOs3Rxo0KG6fl5AZkdLJdPr2DPSy/3teHx8a6mU/kraJ42cji3Kyyh+j28t8n7z9vj+B0Z0dz/fYti9pg9RCTG+zWxQNQvFtQJf5ZeLv/3DZJCLa3+p6p17vl4v0j2TBsk5Kt9i6b3SVm0VxTzssC+N3apF1v2x1YipIhJNtjallKhLlYk0u8N0xILSkEAo5sTKuacIhutHnvgp/HvQtCECKRZgM11pQRHHZ03R4naElqiOuCns4glUJUXEFgvA6N7/c4QiXC5QoOdkx7oGIVVoj8y+qQfzlYYyegjhCKAja9j3aeAFBSpPHDNiAtdYnK18zRjTZGoK6qETJZcx5977srwHKK2GOCjmcAq3FmLi7MwHLJFbLc6rGzAaawRAFHa+bgEvSPVMg/nVIm4h7HlEC46E/pQwcLQxGI2GeoT9Ea52VBubH7GWhDAN0npcBWm+DfLSRXWT2pcgfSTKoK8UWHETonBBOoMZcoQD0kYZjSrU4a8ooj36bgm9xKAMgwDeI1JoQjHDdIAIN6rS1WZ4IFuaNUUi4gcNA95oBitRCI0Kc8gWdEF4oLEvXJYqLioZ6Tk/sOzVbBJUM6zbWBXfKs4914eqKRMskVquApXyj7OnPKGKqzi1OvQTRUKTzRV9PginpuefANtJ37Dk/r6exHCKsq1Chx0CFhbJkvU+zmCoYXRY15Zvv+mfknXqZ8Wfzg6fL5ehxcXGv98g74Wuu5dX7zLrh4o/tlbrLNoSk4c+/exzGfzisfHmuT72k/bARj5lb8fh8t/bo4mCtCBZWk5ERIpcpSkeLxvvN5frVxo8MtxSxa2jS8tfJYCdkeq4rJY6Pa05HW1ak1Da/1yprbX1BCkyZnCgAA
জনতার আদালত অনলাইন ॥ বালিয়াকান্দি ইউএনও পরিচয় দিয়ে মোবাইল সেট কেনার কথা বলে দুটি দামি মোবাইল সেট নিয়ে চম্পট দিয়েছে প্রতারক। সোমবার সন্ধ্যায় বালিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কার্যালয়ে ঘটে এ ঘটনা। প্রতারণার শিকার ব্যবসায়ীর নাম মোহম্মদ হাসান। তিনি রাজবাড়ী শহরের বেড়াডাঙ্গার বাসিন্দা। রাজবাড়ী প্রধান সড়কে মুজিব বিল্ডিংয়ের সামনে মা টেলিকম নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে তার। এঘটনায় তিনি রাতেই বালিয়াকান্দি থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
মোহম্মদ হাসান জানান, তার দোকানে মোবাইল সেট বিক্রির পাশাপাশি তারা হোম ডেলিভারিও দিয়ে থাকেন। সোমবার বিকেল ৪টা ৯ মিনিটে ০১৫৬৮৭৭১১৬৮ নম্বর থেকে বালিয়াকান্দি ইউএনও পরিচয়ে তাকে ফোন করে বলা হয়, আমার মোবাইল সেট পানিতে পড়ে নষ্ট হয়ে গেছে। জরুরী ভিত্তিতে আমার দুটি মোবাইল সেট প্রয়োজন। আপনি ভিভো কোম্পানীর দুটো মোবাইল সেট বালিয়াকান্দি নিয়ে আসুন। আমি তার কথায় রাজী হই। কিছুক্ষণ পর একই নম্বর থেকে ফোন করে তাকে বলা হয়, বালিয়াকান্দির বহরপুর বাজার থেকে তার লোক মাইক্রোবাসে ইউএনও অফিসে নিয়ে আসবে। এরপর তিনি ডেলিভারী ম্যান আকাশকে দুটি মোবাইল সেট দিয়ে পাঠান। আকাশ বহরপুর বাজারে যাওয়ার পর সত্যিই মাইক্রোবাস দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন। ওই মাইক্রোবাসে চালকসহ দুজন লোক ছিল। তাদের একজন ইউএনও’র লোক পরিচয় দিয়ে আকাশকে তুলে নেয়। সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে মাইক্রোবাসটি বালিয়াকান্দি ইউএনও অফিসের অনতিদূরে পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে থামিয়ে দুজন ব্যক্তি আকাশকে ইউএনও অফিসের সামনে নিয়ে বসিয়ে বলে, মোবাইল সেট স্যারকে দিয়ে টাকা নিয়ে আসছি। দীর্ঘক্ষণ পরও না আসায় সন্দেহ হয়। নিচে তাকিয়ে দেখেন গাড়িটিও নেই। তখন ইউএনও অফিসে থাকা কর্মকর্তা কর্মচারীদের কাছে সব খুলে বলেন। তারা জানান, ইউএনও সাহেব ঢাকায়। বুঝতে পারেন তাদের সাথে প্রতারণা করা হয়েছে। প্রতারণা করে নিয়ে যাওয়া মোবাইল সেট দুটির দাম অর্ধ লক্ষাধিক টাকা।
এক প্রশ্নের জবাবে হাসান বলেন, আমরা ছোটখাটো ব্যবসা করি। বালিয়াকান্দির ইউএনও নারী না পুরুষ তা আমাদের জানার কথা নয়।
বালিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আম্বিয়া সুলতানা জানান, বিষয়টি তিনি শুনেছেন। তিনি বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করছেন। বালিয়াকান্দি ইউএনও কার্যালয়ে সিসি ক্যামেরা রয়েছে। ঢাকা থেকে ফিরে সিসি ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করে প্রতারকদের শনাক্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইউএনওর নাম করে এ ধরণের প্রতারণা কিছুতেই মেনে নেওয়া যায়না।
বালিয়াকান্দি থানার ওসি তারেকুজ্জামান জানান, বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।