Dhaka ০৭:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগে বালিয়াকান্দির রামদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকের কারাদন্ড॥ কারণ দর্শাওসহ ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি

সংবাদদাতা-
  • প্রকাশের সময় : ০৯:০৮:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২০
  • / ১৭৫৯ জন সংবাদটি পড়েছেন

জনতার আদালত অনলাইন ॥ অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত থাকার অভিযোগে ভ্রাম্যমাণ আদালতের দন্ডপ্রাপ্ত রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার রামদিয়া বিএমবিসি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আহম্মদ আলীর(৪০) বিরুদ্ধে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন ও তাকে কারণ দর্শাণোর নোটিশ দেয়া হয়েছে।
শনিবার সকালে বিদ্যালয়ের সভাকক্ষে ম্যানেজিং কমিটির এক জরুরী সভায় এসব সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ। সভায় প্রধান শিক্ষক আব্দুল আলিম, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য লিয়াকত আলী রজব, নজরুল ইসলাম, কামরুজ্জামান রতন, রহিম মন্ডল, ওয়াজেদ আলী, আতিয়ার রহমান, রমজান আলী, শেফালী বেগম, অর্চনা রানী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটিতে রয়েছেন প্রধান শিক্ষক আব্দুল আলিম, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য কামরুজ্জামান রতন ও লিয়াকত আলী রজব।
অভিযুক্ত শিক্ষক আহম্মেদ আালী স্থানীয় ইসলামপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি বলে জানা গেছে। তার বাড়ি একই ইউনিয়নের বারমল্লিকা গ্রামে।
জানা গেছে, গত ১৬ জানুয়ারি তারিখে ফরিদপুর সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট শাহ্ মো. সজিব ফরিদপুর শহরের হোটেল নিউ গার্ডেন সিটিতে অভিযান চালিয়ে রামদিয়া বিএমবিসি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক আহম্মদ আলীকে আটক করেন। পরে তার বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট আইন ২০০৯ এর ধারা ৭ (১) মোতাবেক অভিযোগ গঠন করা হয়। সে অশ্লীল ও অসামাজিক কার্যকলাপের দোষ স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় দন্ডবিধি ১৮৬০ এর ২৯৪ (ক) ধারা এবং মোবাইল কোর্ট আইন ২০০৯ এর ৭(২) ও ৮(১) ধারায় আহম্মদ আলীকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন। তিন দিন কারাগারে থাকার পর ফরিদপুর আদালত থেকে তিনি জামিনে মুক্তি পান।
রামদিয়া বিএমবিসি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল আলিম জানান, সম্প্রতি ঘটনাটি জানার পর তিনি সভাপতির সাথে আলাপ করে ম্যানেজিং কমিটির জরুরী সভা আহ্বান করেন। সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক অভিযুক্ত শিক্ষককে সাত দিনের মধ্যে কারণ দর্শাণোর ব্যাখ্যা দিতে হবে। উপযুক্ত ব্যাখ্যা দিতে না পারলে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়া বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ঘটনাটি যেদিনের সেদিন ছিল বৃহস্পতিবার। ওইদিন তিনি স্কুল থেকে যাওয়ার পর তিনদিন অনুপস্থিত ছিলেন। অনুপস্থিত থাকার কারণে তাকে কারণ দর্শাণোর নোটিশ দেয়া হয়। কিন্তু নোটিশের জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় তিন দিনের বেতন কেটে নেয়া হয়।
রামদিয়া বিএমবিসি উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিকদের জানান, ম্যানেজিং কমিটির সভায় তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করাসহ ওই শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
অভিযুক্ত শিক্ষক আহম্মদ আলীর মোবাইল ফোনে কল দেয়া হলে বলেন, আমি রানিংয়ে আছি। পরে কথা বলবো।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগে বালিয়াকান্দির রামদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকের কারাদন্ড॥ কারণ দর্শাওসহ ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি

প্রকাশের সময় : ০৯:০৮:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২০

জনতার আদালত অনলাইন ॥ অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত থাকার অভিযোগে ভ্রাম্যমাণ আদালতের দন্ডপ্রাপ্ত রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার রামদিয়া বিএমবিসি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আহম্মদ আলীর(৪০) বিরুদ্ধে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন ও তাকে কারণ দর্শাণোর নোটিশ দেয়া হয়েছে।
শনিবার সকালে বিদ্যালয়ের সভাকক্ষে ম্যানেজিং কমিটির এক জরুরী সভায় এসব সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ। সভায় প্রধান শিক্ষক আব্দুল আলিম, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য লিয়াকত আলী রজব, নজরুল ইসলাম, কামরুজ্জামান রতন, রহিম মন্ডল, ওয়াজেদ আলী, আতিয়ার রহমান, রমজান আলী, শেফালী বেগম, অর্চনা রানী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটিতে রয়েছেন প্রধান শিক্ষক আব্দুল আলিম, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য কামরুজ্জামান রতন ও লিয়াকত আলী রজব।
অভিযুক্ত শিক্ষক আহম্মেদ আালী স্থানীয় ইসলামপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি বলে জানা গেছে। তার বাড়ি একই ইউনিয়নের বারমল্লিকা গ্রামে।
জানা গেছে, গত ১৬ জানুয়ারি তারিখে ফরিদপুর সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট শাহ্ মো. সজিব ফরিদপুর শহরের হোটেল নিউ গার্ডেন সিটিতে অভিযান চালিয়ে রামদিয়া বিএমবিসি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক আহম্মদ আলীকে আটক করেন। পরে তার বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট আইন ২০০৯ এর ধারা ৭ (১) মোতাবেক অভিযোগ গঠন করা হয়। সে অশ্লীল ও অসামাজিক কার্যকলাপের দোষ স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় দন্ডবিধি ১৮৬০ এর ২৯৪ (ক) ধারা এবং মোবাইল কোর্ট আইন ২০০৯ এর ৭(২) ও ৮(১) ধারায় আহম্মদ আলীকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন। তিন দিন কারাগারে থাকার পর ফরিদপুর আদালত থেকে তিনি জামিনে মুক্তি পান।
রামদিয়া বিএমবিসি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল আলিম জানান, সম্প্রতি ঘটনাটি জানার পর তিনি সভাপতির সাথে আলাপ করে ম্যানেজিং কমিটির জরুরী সভা আহ্বান করেন। সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক অভিযুক্ত শিক্ষককে সাত দিনের মধ্যে কারণ দর্শাণোর ব্যাখ্যা দিতে হবে। উপযুক্ত ব্যাখ্যা দিতে না পারলে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়া বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ঘটনাটি যেদিনের সেদিন ছিল বৃহস্পতিবার। ওইদিন তিনি স্কুল থেকে যাওয়ার পর তিনদিন অনুপস্থিত ছিলেন। অনুপস্থিত থাকার কারণে তাকে কারণ দর্শাণোর নোটিশ দেয়া হয়। কিন্তু নোটিশের জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় তিন দিনের বেতন কেটে নেয়া হয়।
রামদিয়া বিএমবিসি উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিকদের জানান, ম্যানেজিং কমিটির সভায় তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করাসহ ওই শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
অভিযুক্ত শিক্ষক আহম্মদ আলীর মোবাইল ফোনে কল দেয়া হলে বলেন, আমি রানিংয়ে আছি। পরে কথা বলবো।