স্বামীর গোপনাঙ্গ কর্তন, নির্মম প্রতিশোধের শিকার স্ত্রী

- প্রকাশের সময় : ১১:৪৭:৫৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫
- / 80
পরকীয়ার জেরে স্ত্রীর কাছে গোপনাঙ্গ হারিয়ে প্রতিশোধ নিতে সাভারের আশুলিয়ায় বসবাসকারী পোশাক শ্রমিক স্ত্রী জাকিয়া ডান হাত কেটে দ্বিখণ্ডিত করেছেন ভুক্তভোগী স্বামী ফিরোজ মিয়া। এ সময় স্ত্রীর চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে ফিরোজ মিয়াকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। পরে জাকিয়ার বাবা জামিল বাদী হয়ে মামলা দায়ের করলে পুলিশ ফিরোজকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠায়।
গত সোমবার (২৭ জানুয়ারি) আশুলিয়ার ধামসোনা ইউনিয়নের গাজীরচট এলাকার সেলিম মিয়ার বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
বর্তমানে ফিরোজ জেলহাজতে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন আশুলিয়া থানার ওসি নূর আলম সিদ্দিকী।
আহত পোশাক শ্রমিক স্ত্রী জাকিয়া বেগম (২৮) বর্তমানে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তিনি টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার জিগাতলা গ্রামের জামিলের মেয়ে। অন্যদিকে গ্রেপ্তারকৃত গ্রেপ্তার ফিরোজ মিয়া (২৮) টাঙ্গাইল জেলার ভূঞাপুর উপজেলার রাউৎবাড়ী গ্রামের মৃত শাহজাহান আলীর ছেলে।
ভুক্তভোগীর পরিবার ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ১৬ এপ্রিল রাতে বিয়ে পরকীয়ায় জড়িত থাকার সন্দেহে জাকিয়া বেগম ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্বামী ফিরোজের গোপনাঙ্গ কেটে ফেলেন। পরে ভুক্তভোগী ফিরোজের মা ফরিদা বেগম বাদী হয়ে জাকিয়ার বিরুদ্ধে ভূঞাপুর থানায় একটি মামলা করলে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠায়।
এর কিছুদিন পর জাকিয়া জামিনে ছাড়া পেয়ে আশুলিয়ায় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি নেন। স্ত্রীর চাকরির সংবাদ পেয়ে ফিরোজ জাকিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করেন এবং পুনরায় আশুলিয়া গাজীরচট এলাকার সেলিম মিয়ার বাসায় ঘর ভাড়া নিয়ে সংসার করে আসছিলেন।
এরপর সুযোগ বুঝে গত সোমবার রাতে জাকিয়ার ডান হাত কেটে দ্বিখণ্ড করেন এবং তার বাম হাতেও আঘাত করেন। এ সময় জাকিয়ার চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে ফিরোজকে আটক করে পুলিশকে সোপর্দ করেন। ফিরোজ ও জাকিয়ার সংসারে একটি পুত্র সন্তান রয়েছে।
আশুলিয়া থানার ওসি নূর আলম সিদ্দিকী বলেন, ‘স্থানীয়দের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে জনতার হাতে আটক হওয়া জাকিয়ার স্বামী ফিরোজকে থানায় আনা হয়। পরে জাকিয়ার বাবা ফিরোজের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করলে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে আদালতে পাঠানো হয়। বর্তমানে তিনি জেলহাজতে রয়েছেন।’