Dhaka ০৮:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রেমের টানে ইউক্রেনের ছেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়

ডেস্ক নিউজ
  • প্রকাশের সময় : ১২:২০:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / 22

প্রেমের টানে ইউক্রেনের যুবক ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরের এক মেয়েকে বিয়ে করেছেন। বিষয়টি এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। ইউক্রেনের ওই নাগরিক এন্ড্রি প্রকিপ ইসলাম ধর্ম গ্রহণের পর তার নাম রাখা হয়েছে মোহাম্মদ।

গত ১৯ ডিসেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালতে হলফনামার মাধ্যমে ধর্ম পরিবর্তন করেন। পরে জেলার বিজয়নগর উপজেলার ভারত সীমান্ত ঘেঁষা পূর্ব কালাছড়া গ্রামের মৃত কামাল মিয়ার বড় মেয়ে বৃষ্টি আক্তারকে বিয়ে করেন। বৃষ্টি নাম পরিবর্তন করে স্বামীর নামের সঙ্গে মিলিয়ে রেখেছেন বৃষ্টি প্রকিপ। পাঁচ বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে বৃষ্টি সবার বড়। পড়াশোনা করেছেন এসএসসি পর্যন্ত। টুকটাক ইংরেজি জানেন।

বৃষ্টি প্রকিপ বলেন, ফেসবুকের মাধ্যমে এন্ড্রি প্রকিপের সঙ্গে তার পরিচয়। টানা দুই বছরের প্রেম। বাধা হয়নি হাজার কিলোমিটার পথ। বাধা হয়নি ধর্ম। এন্ড্রি নিজে থেকেই বিয়ে এবং ধর্ম পরিবর্তন করার প্রস্তাব দেন। ওকে আমি বিশ্বাস করি।

এন্ড্রি প্রকিপ ওরফে মোহাম্মদ বলেন, বৃষ্টিকে বিয়ে করতে পেরে আমি আনন্দিত।

বৃষ্টির দাদি জোহরা বেগম বলেন, আমরা খুশি। নাতিন জামাই অনেক সুন্দর। দুই মনের মিলন হওয়ায় হাজার মাইলের দূরত্ব পেরিয়ে এখানে এসেছে।

বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. ফরহাদ আলী বলেন, নব দম্পতিকে দেখতে দূরদূরান্ত থেকে অনেকেই ছুটে আসছেন। এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

প্রেমের টানে ইউক্রেনের ছেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়

প্রকাশের সময় : ১২:২০:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪

প্রেমের টানে ইউক্রেনের যুবক ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরের এক মেয়েকে বিয়ে করেছেন। বিষয়টি এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। ইউক্রেনের ওই নাগরিক এন্ড্রি প্রকিপ ইসলাম ধর্ম গ্রহণের পর তার নাম রাখা হয়েছে মোহাম্মদ।

গত ১৯ ডিসেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালতে হলফনামার মাধ্যমে ধর্ম পরিবর্তন করেন। পরে জেলার বিজয়নগর উপজেলার ভারত সীমান্ত ঘেঁষা পূর্ব কালাছড়া গ্রামের মৃত কামাল মিয়ার বড় মেয়ে বৃষ্টি আক্তারকে বিয়ে করেন। বৃষ্টি নাম পরিবর্তন করে স্বামীর নামের সঙ্গে মিলিয়ে রেখেছেন বৃষ্টি প্রকিপ। পাঁচ বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে বৃষ্টি সবার বড়। পড়াশোনা করেছেন এসএসসি পর্যন্ত। টুকটাক ইংরেজি জানেন।

বৃষ্টি প্রকিপ বলেন, ফেসবুকের মাধ্যমে এন্ড্রি প্রকিপের সঙ্গে তার পরিচয়। টানা দুই বছরের প্রেম। বাধা হয়নি হাজার কিলোমিটার পথ। বাধা হয়নি ধর্ম। এন্ড্রি নিজে থেকেই বিয়ে এবং ধর্ম পরিবর্তন করার প্রস্তাব দেন। ওকে আমি বিশ্বাস করি।

এন্ড্রি প্রকিপ ওরফে মোহাম্মদ বলেন, বৃষ্টিকে বিয়ে করতে পেরে আমি আনন্দিত।

বৃষ্টির দাদি জোহরা বেগম বলেন, আমরা খুশি। নাতিন জামাই অনেক সুন্দর। দুই মনের মিলন হওয়ায় হাজার মাইলের দূরত্ব পেরিয়ে এখানে এসেছে।

বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. ফরহাদ আলী বলেন, নব দম্পতিকে দেখতে দূরদূরান্ত থেকে অনেকেই ছুটে আসছেন। এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।