Dhaka ০৬:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শাশুড়ি হত্যার দায়ে পুত্রবধূ ও পরকীয়া প্রেমিকের যাবজ্জীবন কারাদন্ড

স্টাফ রিপোর্টার
  • প্রকাশের সময় : ০৭:০৯:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪
  • / ১০৩৭ জন সংবাদটি পড়েছেন

রাজবাড়ীতে হাজেরা বেগম নামে এক নারীকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে তার পুত্রবধূ স্বপ্না আক্তার ও পরকীয়া প্রেমিক সোহেল মিয়াকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড, ৫০  হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজবাড়ী জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোসাম্মৎ জাকিয়া পারভীন এ রায় দেন। নিহত হাজেরা বেগম রাজবাড়ী সদর উপজেলার আলীপুর ইউনিয়নের বারবাকপুর গ্রামের তমিজ উদ্দিনের স্ত্রী। দন্ডপ্রাপ্ত স্বপ্না বেগম একই গ্রামের হাফিজুর রহমানের স্ত্রী এবং সোহেল মিয়া একই ইউনিয়নের কোমরপাড়া গ্রামের হোসেন মিয়ার ছেলে।

আদালত ও মামলা সূত্রে জানা যায়, স্বপ্না বেগমের স্বামী হাফিজুর জীবীকার তাগিদে বিদেশে ছিলেন। ২০১৮ সালের ১৬ আগস্ট রাতে হাজেরা বেগম তার পুত্রবধূ স্বপ্না আক্তার এবং স্বপ্নার তিন বছরের ছেলে সনিকে নিয়ে তাদের নিজ শোবার ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। গভীর রাতে স্বপ্নার চিৎকারে তার পরিবারের সদস্যরা এগিয়ে ্এসে দেখেন হাজেরা বেগমের গলাকাটা নিথর দেহ রক্তাক্ত অবস্থায় খাটে পড়ে আছে। এ ঘটনায় হাজেরা বেগমের স্বামী তমিজ উদ্দিন পরদিন ১৭ আগস্ট তারিখে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে রাজবাড়ী সদর থানায় মামলা করেন। পুলিশ তদন্ত করে জানতে পারে স্বপ্না আক্তার ও সোহেল মিয়ার সাথে পরকীয়া সম্পর্ক রয়েছে। শাশুড়ি হাজেরা বেগম তাদের প্রেমের পথে বাধা ছিল। এই বাধা দূর করতেই হাজেরা বেগমকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

মামলায় মোট তিনজন অভিযুক্ত ছিল। অপর অভিযুক্ত কবির শেখের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রাজবাড়ী আদালতের পিপি অ্যড. উজীর আলী জানান, রায়ে তিনি সন্তুষ্ট।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

শাশুড়ি হত্যার দায়ে পুত্রবধূ ও পরকীয়া প্রেমিকের যাবজ্জীবন কারাদন্ড

প্রকাশের সময় : ০৭:০৯:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

রাজবাড়ীতে হাজেরা বেগম নামে এক নারীকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে তার পুত্রবধূ স্বপ্না আক্তার ও পরকীয়া প্রেমিক সোহেল মিয়াকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড, ৫০  হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজবাড়ী জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোসাম্মৎ জাকিয়া পারভীন এ রায় দেন। নিহত হাজেরা বেগম রাজবাড়ী সদর উপজেলার আলীপুর ইউনিয়নের বারবাকপুর গ্রামের তমিজ উদ্দিনের স্ত্রী। দন্ডপ্রাপ্ত স্বপ্না বেগম একই গ্রামের হাফিজুর রহমানের স্ত্রী এবং সোহেল মিয়া একই ইউনিয়নের কোমরপাড়া গ্রামের হোসেন মিয়ার ছেলে।

আদালত ও মামলা সূত্রে জানা যায়, স্বপ্না বেগমের স্বামী হাফিজুর জীবীকার তাগিদে বিদেশে ছিলেন। ২০১৮ সালের ১৬ আগস্ট রাতে হাজেরা বেগম তার পুত্রবধূ স্বপ্না আক্তার এবং স্বপ্নার তিন বছরের ছেলে সনিকে নিয়ে তাদের নিজ শোবার ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। গভীর রাতে স্বপ্নার চিৎকারে তার পরিবারের সদস্যরা এগিয়ে ্এসে দেখেন হাজেরা বেগমের গলাকাটা নিথর দেহ রক্তাক্ত অবস্থায় খাটে পড়ে আছে। এ ঘটনায় হাজেরা বেগমের স্বামী তমিজ উদ্দিন পরদিন ১৭ আগস্ট তারিখে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে রাজবাড়ী সদর থানায় মামলা করেন। পুলিশ তদন্ত করে জানতে পারে স্বপ্না আক্তার ও সোহেল মিয়ার সাথে পরকীয়া সম্পর্ক রয়েছে। শাশুড়ি হাজেরা বেগম তাদের প্রেমের পথে বাধা ছিল। এই বাধা দূর করতেই হাজেরা বেগমকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

মামলায় মোট তিনজন অভিযুক্ত ছিল। অপর অভিযুক্ত কবির শেখের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রাজবাড়ী আদালতের পিপি অ্যড. উজীর আলী জানান, রায়ে তিনি সন্তুষ্ট।