Dhaka ০৯:৪১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
রাজবাড়ীতে প্রচন্ড দাবদাহ

বৃষ্টির জন্য বিশেষ প্রার্থনা

স্টাফ রিপোর্টার
  • প্রকাশের সময় : ০৮:৫৫:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪
  • / ১০৯৩ জন সংবাদটি পড়েছেন

প্রচন্ড দাবদাহে রাজবাড়ীতে জীবনযাত্রা স্থবির হওয়ার উপক্রম হয়েছে। কোথাও নেই স্বস্তি। জেলার তাপমাত্রা দিনে ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রী সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে। খেটে খাওয়া দিনমজুর মানুষদের কাজ করাই কষ্টকর হয়ে উঠছে। অথচ দেখা নেই বৃষ্টির। একটু বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করছে মানুষ। মঙ্গলবারও জেলার বিভিন্ন স্থানে ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছে মুসল্লিরা।

মঙ্গলবার সকালে পাংশা উপজেলার হাবাসপুর ইউনিয়নের কাচারীপাড়া স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে ইসতিসকার নামাজ আদায় করে সৃষ্টিকর্তার কাছে ফরিয়াদ করেন মুসল্লিরা। নামাজে নানা বয়সী মানুষ অংশ নেন। নামাজে ইমামতি করেন কাচারীপাড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ মাওলানা সিফাত উল্লাহ। তিনি মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে নামাজের নিয়মকানুন বলেন। এরপর দুই রাকাত নামাজ আদায় করেন সবাই। নামাজ শেষে খুতবা পাঠ করার পর দুই হাত তুলে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করে আল্লাহর কাছে মোনাজাত করেন তারা।

স্থানীয় কয়েকজন মুসল্লি জানান, গরমে খুবই খারাপ অবস্থা। দীর্ঘদিন অনাবৃষ্টির কারণে মানুষ, পশুপাখি, গাছপালাসহ সবাই কষ্টে আছে। টিউবওয়েলে পানি উঠছে না। খরায় মাঠের ফসলাদি নষ্ট হচ্ছে। কয়েক দিন ধরে তাপমাত্রা ক্রমাগত বাড়ছেই। এ জন্য আমরা মহান আল্লাহর দরবারে প্রশান্তির বৃষ্টি চেয়েছি। যেকোনো বিপদ থেকে রক্ষা পেতে আমরা সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ করি।

পাংশা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব ও শাহজুই কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আবু মুসা আশয়ারী  বলেন, অনাবৃষ্টি ও অতি তাপপ্রবাহের কারণে জনজীবনে দুর্ভোগ নেমে এসেছে। এ অবস্থায় আল্লাহর সাহায্য ছাড়া আমরা নিরূপায়। তাই এই দাবদাহ থেকে মুক্তি পেতে বৃষ্টি লাভের আশায় রসূল (সা.) এর সুন্নত মেনে আমরা ইসতিসকার নামাজ আদায় করে থাকি। নামাজ শেষে আমরা মহান আল্লাহ পাকের দরবারে মাফ চেয়ে কান্নাকাটি করেছি।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

রাজবাড়ীতে প্রচন্ড দাবদাহ

বৃষ্টির জন্য বিশেষ প্রার্থনা

প্রকাশের সময় : ০৮:৫৫:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪

প্রচন্ড দাবদাহে রাজবাড়ীতে জীবনযাত্রা স্থবির হওয়ার উপক্রম হয়েছে। কোথাও নেই স্বস্তি। জেলার তাপমাত্রা দিনে ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রী সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে। খেটে খাওয়া দিনমজুর মানুষদের কাজ করাই কষ্টকর হয়ে উঠছে। অথচ দেখা নেই বৃষ্টির। একটু বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করছে মানুষ। মঙ্গলবারও জেলার বিভিন্ন স্থানে ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছে মুসল্লিরা।

মঙ্গলবার সকালে পাংশা উপজেলার হাবাসপুর ইউনিয়নের কাচারীপাড়া স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে ইসতিসকার নামাজ আদায় করে সৃষ্টিকর্তার কাছে ফরিয়াদ করেন মুসল্লিরা। নামাজে নানা বয়সী মানুষ অংশ নেন। নামাজে ইমামতি করেন কাচারীপাড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ মাওলানা সিফাত উল্লাহ। তিনি মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে নামাজের নিয়মকানুন বলেন। এরপর দুই রাকাত নামাজ আদায় করেন সবাই। নামাজ শেষে খুতবা পাঠ করার পর দুই হাত তুলে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করে আল্লাহর কাছে মোনাজাত করেন তারা।

স্থানীয় কয়েকজন মুসল্লি জানান, গরমে খুবই খারাপ অবস্থা। দীর্ঘদিন অনাবৃষ্টির কারণে মানুষ, পশুপাখি, গাছপালাসহ সবাই কষ্টে আছে। টিউবওয়েলে পানি উঠছে না। খরায় মাঠের ফসলাদি নষ্ট হচ্ছে। কয়েক দিন ধরে তাপমাত্রা ক্রমাগত বাড়ছেই। এ জন্য আমরা মহান আল্লাহর দরবারে প্রশান্তির বৃষ্টি চেয়েছি। যেকোনো বিপদ থেকে রক্ষা পেতে আমরা সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ করি।

পাংশা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব ও শাহজুই কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আবু মুসা আশয়ারী  বলেন, অনাবৃষ্টি ও অতি তাপপ্রবাহের কারণে জনজীবনে দুর্ভোগ নেমে এসেছে। এ অবস্থায় আল্লাহর সাহায্য ছাড়া আমরা নিরূপায়। তাই এই দাবদাহ থেকে মুক্তি পেতে বৃষ্টি লাভের আশায় রসূল (সা.) এর সুন্নত মেনে আমরা ইসতিসকার নামাজ আদায় করে থাকি। নামাজ শেষে আমরা মহান আল্লাহ পাকের দরবারে মাফ চেয়ে কান্নাকাটি করেছি।