Dhaka ০৫:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগে ২ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা

স্টাফ রিপোর্টার
  • প্রকাশের সময় : ০৮:৪৫:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ মার্চ ২০২৪
  • / ১০৪০ জন সংবাদটি পড়েছেন

ভুল চিকিৎসায় জুবায়দা মীরা নামে এক প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনায় দুই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে রাজবাড়ীর আদালতে মামলা হয়েছে। মৃত জুবায়দা মীরার বাবা জলিল মোল্লা বাদী হয়ে গত মঙ্গলবার রাজবাড়ীর ১ নং আমলী আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। মৃত জুবায়দা মীরা রাজবাড়ী সদর উপজেলার মূলঘর ইউনিয়নের সাব্বির মোল্লার স্ত্রী। অভিযুক্ত দুই চিকিৎসক হলেন ডা. শারমীন আক্তার সুমি ও ডা. সিরাজুম মুনিরা প্রত্যাশা।

ডা. শারমিন আক্তার সুমি ও ডা. সিরাজুম মুনিরা রাজবাড়ী আদর্শ ক্লিনিকে প্রাইভেট রোগী দেখেন।

মামলায় বাদী অভিযোগ করেন, ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর তারিখে রাজবাড়ী শহরের আদর্শ ক্লিনিকে তার মেয়ে জুবায়দা মীরার সিজার করেন ডা. শারমীন আক্তার সুমী। তার সহযোগী ছিলেন ডা. সিরাজুম মুনিরা প্রত্যাশা। সিজারের পর ধীরে ধীরে তার মেয়ের অবস্থার অবনতি হতে থাকে। আশঙ্কাজনক পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় তার মেয়েকে ঢাকায় রেফার্ড করেন। তারা তাৎক্ষণিক মীরাকে ঢাকায় নিয়ে যান। দীর্ঘ এক মাস ৯ দিন পর ৯ ফেব্রæয়ারি তারিখে চিকিৎসাধীন অবস্থায়  তার মেয়ের মৃত্যু হয়।

জুবায়দা মীরার স্বামী সাব্বির মোল্লা জানান, তার স্ত্রী সম্পূর্ণ সুস্থ ছিল। সিজার করার পরই তার অবস্থার অবনতি হয়। ঢাকার হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকরা পরীক্ষা নিরীক্ষা করে জানিয়েছেন, সিজার করতে গিয়ে কিডনিতে খোঁচা লাগায় তার স্ত্রীর কিডনী ড্যামেজ হয়েছে। এরপর তার স্ত্রীকে আইসিইউতে রাখতে হয় ও কিডনি ডায়ালসিস করতে হয়। প্রায় ৪০ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মীরা মারা যায়। চিকিৎসকের ভুলে তার স্ত্রী মারা গেছে। তার দুই ছেলে এতিম হয়ছে। তিনি আরও জানান, তার স্ত্রীর চিকিৎসা করাতে গিয়ে প্রায় ২০ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। তারা খুবই দরিদ্র মানুষ। জমিজমা বিক্রি করে স্ত্রীর চিকিৎসা করিয়েছেন। তার ছোট সন্তানের বয়স দুই মাস ২০ দিন। প্রতি সপ্তাহে তার দুধ কিনতে খরচ হয় সাড়ে ১২শ টাকা। তারা খুবই দুরাবস্থার মধ্যে আছেন। তার স্ত্রীর মৃত্যুর সঠিক তদন্ত ও বিচার চান।

বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যড. হাবিবুর রহমান বাচ্চু জানান, মামলাটি আমলে নিয়ে ১ নং আমলী আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুমন হোসেন তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন।

এবিষয়ে কথা বলার জন্য অভিযুক্ত চিকিৎসক ডা. শারমীন আক্তার সুমীর মোবাইল ফোনে একাধি[কবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। এসএমএস পাঠালেও সাড়া পাওয়া যায়নি।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগে ২ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশের সময় : ০৮:৪৫:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ মার্চ ২০২৪

ভুল চিকিৎসায় জুবায়দা মীরা নামে এক প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনায় দুই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে রাজবাড়ীর আদালতে মামলা হয়েছে। মৃত জুবায়দা মীরার বাবা জলিল মোল্লা বাদী হয়ে গত মঙ্গলবার রাজবাড়ীর ১ নং আমলী আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। মৃত জুবায়দা মীরা রাজবাড়ী সদর উপজেলার মূলঘর ইউনিয়নের সাব্বির মোল্লার স্ত্রী। অভিযুক্ত দুই চিকিৎসক হলেন ডা. শারমীন আক্তার সুমি ও ডা. সিরাজুম মুনিরা প্রত্যাশা।

ডা. শারমিন আক্তার সুমি ও ডা. সিরাজুম মুনিরা রাজবাড়ী আদর্শ ক্লিনিকে প্রাইভেট রোগী দেখেন।

মামলায় বাদী অভিযোগ করেন, ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর তারিখে রাজবাড়ী শহরের আদর্শ ক্লিনিকে তার মেয়ে জুবায়দা মীরার সিজার করেন ডা. শারমীন আক্তার সুমী। তার সহযোগী ছিলেন ডা. সিরাজুম মুনিরা প্রত্যাশা। সিজারের পর ধীরে ধীরে তার মেয়ের অবস্থার অবনতি হতে থাকে। আশঙ্কাজনক পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় তার মেয়েকে ঢাকায় রেফার্ড করেন। তারা তাৎক্ষণিক মীরাকে ঢাকায় নিয়ে যান। দীর্ঘ এক মাস ৯ দিন পর ৯ ফেব্রæয়ারি তারিখে চিকিৎসাধীন অবস্থায়  তার মেয়ের মৃত্যু হয়।

জুবায়দা মীরার স্বামী সাব্বির মোল্লা জানান, তার স্ত্রী সম্পূর্ণ সুস্থ ছিল। সিজার করার পরই তার অবস্থার অবনতি হয়। ঢাকার হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকরা পরীক্ষা নিরীক্ষা করে জানিয়েছেন, সিজার করতে গিয়ে কিডনিতে খোঁচা লাগায় তার স্ত্রীর কিডনী ড্যামেজ হয়েছে। এরপর তার স্ত্রীকে আইসিইউতে রাখতে হয় ও কিডনি ডায়ালসিস করতে হয়। প্রায় ৪০ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মীরা মারা যায়। চিকিৎসকের ভুলে তার স্ত্রী মারা গেছে। তার দুই ছেলে এতিম হয়ছে। তিনি আরও জানান, তার স্ত্রীর চিকিৎসা করাতে গিয়ে প্রায় ২০ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। তারা খুবই দরিদ্র মানুষ। জমিজমা বিক্রি করে স্ত্রীর চিকিৎসা করিয়েছেন। তার ছোট সন্তানের বয়স দুই মাস ২০ দিন। প্রতি সপ্তাহে তার দুধ কিনতে খরচ হয় সাড়ে ১২শ টাকা। তারা খুবই দুরাবস্থার মধ্যে আছেন। তার স্ত্রীর মৃত্যুর সঠিক তদন্ত ও বিচার চান।

বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যড. হাবিবুর রহমান বাচ্চু জানান, মামলাটি আমলে নিয়ে ১ নং আমলী আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুমন হোসেন তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন।

এবিষয়ে কথা বলার জন্য অভিযুক্ত চিকিৎসক ডা. শারমীন আক্তার সুমীর মোবাইল ফোনে একাধি[কবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। এসএমএস পাঠালেও সাড়া পাওয়া যায়নি।