Dhaka ১১:৪৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সাজসাজ রব

১৯ বছর রাজবাড়ী জেলা যুবলীগের সম্মেলন শনিবার

স্টাফ রিপোর্টার
  • প্রকাশের সময় : ০৯:০৩:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ মার্চ ২০২৩
  • / ১১৩৮ জন সংবাদটি পড়েছেন

  ২০০৪ সালে গঠিত হয়েছিল রাজবাড়ী জেলা যুবলীগের আহŸায়ক কমিটি। এরপর কেটে গেছে ১৯ বছর। কমিটির অনেকেই নিষ্ক্রিয় হয়েছেন। কেউ চলে গেছেন রাজবাড়ীর বাইরে। দীর্ঘ ১৯ বছর পর জেলা যুবলীগের সম্মেলনের তারিখ ঘোষণায় নেতাকর্মীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে চাঞ্চল্য। তারা অনেকেই উজ্জীবীত। নতুন কমিটি গঠনের মধ্য দিয়ে সাংগঠনিক স্থবিরতা দূর হবে বলে মনে করছেন তারা। ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা সভাপতি সাধারণ সম্পাদক পদ পেতে চালাচ্ছেন জোর লবিং। যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের ছবি সম্বলিত ব্যানার ফেস্টুন দিয়ে তারা দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা চালাচ্ছেন। যুবলীগ নেতৃবৃন্দ বলছেন, ত্যাগী পরীক্ষিত ও পরিচ্ছন্ন ইমেজের নেতৃত্ব চাইছেন তারা। আগামীকাল ৪ মার্চ রাজবাড়ী রেলওয়ে ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে জেলা যুবলীগের সম্মেলন।

রাজবাড়ী জেলা যুবলীগ সূত্র জানায়, রাজবাড়ী জেলা যুবলীগের সর্বশেষ সম্মেলন হয় ১৯৯৬ সালে। এরপর ২০০৪ সালে ওই কমিটি ভেঙে দিয়ে জহুরুল ইসলামকে আহŸায়ক এবং আবুল হোসেন ও শাহ মো. জাহাঙ্গীর জলিলকে যুগ্ম আহŸায়ক করে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট আহŸায়ক কমিটি গঠন করা হয়। এরপর আর হয়নি কোনো কমিটি। বর্তমান কমিটির আহŸায়ক জহুরুল ইসলাম ব্যবসায়ীক কাজে ঢাকায় রয়েছেন দীর্ঘদিন। যুগ্ম আহŸায়ক শাহ. মো. জাহাঙ্গীর জলিল জেলা আওয়ামী লীগের নতুন কমিটিতে সাংস্কৃতিক সম্পাদকের পদ পেয়েছেন। এ কমিটির অনেকেই এখন নিষ্ক্রিয়। নতুন করে সম্মেলনের তারিখ ঘোষণার পর যুবলীগের নেতৃত্ব পেতে অনেকটাই চাঙ্গা নেতাকর্মীরা। যাদের মধ্যে ছাত্রলীগের সাবেক নেতার সংখ্যাই বেশি। সভাপতি পদে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান শরীফ, সাবেক ছাত্রলীগের সভাপতি আসাদুজ্জামান শামীম, রাজবাড়ী সরকারি কলেজের সাবেক জিএস আশরাফুল ইসলাম আশা, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা হরিপদ সরকার রানা এবং আল মাসুদ। সাধারণ সম্পাদক পদে সদর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শওকত হাসান, যুবলীগ নেতা রামিম হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জাকারিয়া মাসুদ রাজীব, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম এরশাদ এর নাম শোনা যাচ্ছে।

সভাপতি প্রার্থী আসাদুজ্জামান শামীম বলেন, ২০০০ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত দুই টার্মে তিনি জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে ভ‚মিকা রেখেছেন। ছাত্রলীগ থেকে বিদায় নেওয়ার পর যুবলীগ করবেন ভেবে রেখেছেন। কিন্তু আজ কাল করে সম্মেলন না হওয়ায় তারা যুবলীগে যেতে পারেননি। প্রায় ২৬ বছর জেলা যুবলীগের সম্মেলন হচ্ছে। মাঝখানে ২০০৪ সালে তিন মাস মেয়াদের আহŸায়ক কমিটি গঠিত হয়েছিল। এখন পর্যন্ত ওই কমিটিই চলছে। ৪ মার্চ সম্মেলনকে সামনে রেখে তারা এখন অনেক উজ্জীবীত। তাদের দীর্ঘদিনের আশা পূরণ হতে চলেছে। তিনি নিজে সভাপতি প্রার্থী। আগামী নির্বাচনে রাজবাড়ীর দুটি আসনে আওয়ামী লীগের বিজয়ে যারা বলিষ্ঠ ভ‚মিকা রাখতে পারবে তাদেরকে যেন নেতৃত্ব দেওয়া হয়।

সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী শওকত হাসান বলেন, দলের দুর্দিনে যারা হাল ধরেছিল। তাদের যেন মূল্যায়ন করা হয়। বিশেষ করে সভাপতি সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীর ক্ষেত্রে ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের মনোনীত করার দাবি জানান।

জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহŸায়ক শাহ মো. জাহাঙ্গীর জলিল বলেন, দীর্ঘদিন পর জেলা যুবলীগের সম্মেলন হবে- এটা খুবই আনন্দের। এতদিন আহŸায়ক কমিটি থাকার কারণে জেলা যুবলীগের কর্মকান্ডে গতিশীলতা ছিলনা। নতুন  কমিটি গঠনের মধ্য দিয়ে আবার যুবলীগে প্রাণ ফিরে পাবে। নতুন কমিটিতে যেন ত্যাগী, পরীক্ষিত কর্মীদের অন্তভর্‚ক্ত করা হয়। যারা দুর্দিনে রাজপথে ভূমিকা রেখেছেন।

জেলা যুবলীগের অপর যুগ্ম আহŸায়ক আবুল হোসেন বলেন, সম্মেলন সফল করতে আটটি উপ-কমিটি গঠন করা হয়েছে। গত ১৯ ফেব্রæয়ারি তারিখে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব রাজবাড়ী এসে সম্মেলন প্রস্তুতি সভা করে গেছেন। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীরা কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের কাছে জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন। তারা যাচাই বাছাই ও চুলচেরা বিশ্লেষণ করে সম্মেলনে নতুন কমিটি ঘোষণা করবেন। এখন পর্যন্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে ১৫ জনের অধিক জীবনবৃত্তান্ত দিয়েছেন বলে জানান তিনি।

রাজবাড়ী জেলা যুবলীগের আহŸায়ক জহুরুল ইসলাম বলেন, সম্মেলন সফল করতে তারা আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তরুণ এবং নবীন মিলে যারা আগামীতে ভালো নেতৃত্ব দিতে পারবে। লেজুড়বৃত্তির বাইরে গিয়ে একটা শক্ত নেতৃত্ব তৈরি হবে যাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকবেনা এমন নেতৃত্বই তিনি আশা করছেন। আমরা যুবলীগ করেছি। আমাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই। আগামীতেও এমন নেতৃত্ব আশা করছি।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

সাজসাজ রব

১৯ বছর রাজবাড়ী জেলা যুবলীগের সম্মেলন শনিবার

প্রকাশের সময় : ০৯:০৩:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ মার্চ ২০২৩

  ২০০৪ সালে গঠিত হয়েছিল রাজবাড়ী জেলা যুবলীগের আহŸায়ক কমিটি। এরপর কেটে গেছে ১৯ বছর। কমিটির অনেকেই নিষ্ক্রিয় হয়েছেন। কেউ চলে গেছেন রাজবাড়ীর বাইরে। দীর্ঘ ১৯ বছর পর জেলা যুবলীগের সম্মেলনের তারিখ ঘোষণায় নেতাকর্মীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে চাঞ্চল্য। তারা অনেকেই উজ্জীবীত। নতুন কমিটি গঠনের মধ্য দিয়ে সাংগঠনিক স্থবিরতা দূর হবে বলে মনে করছেন তারা। ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা সভাপতি সাধারণ সম্পাদক পদ পেতে চালাচ্ছেন জোর লবিং। যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের ছবি সম্বলিত ব্যানার ফেস্টুন দিয়ে তারা দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা চালাচ্ছেন। যুবলীগ নেতৃবৃন্দ বলছেন, ত্যাগী পরীক্ষিত ও পরিচ্ছন্ন ইমেজের নেতৃত্ব চাইছেন তারা। আগামীকাল ৪ মার্চ রাজবাড়ী রেলওয়ে ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে জেলা যুবলীগের সম্মেলন।

রাজবাড়ী জেলা যুবলীগ সূত্র জানায়, রাজবাড়ী জেলা যুবলীগের সর্বশেষ সম্মেলন হয় ১৯৯৬ সালে। এরপর ২০০৪ সালে ওই কমিটি ভেঙে দিয়ে জহুরুল ইসলামকে আহŸায়ক এবং আবুল হোসেন ও শাহ মো. জাহাঙ্গীর জলিলকে যুগ্ম আহŸায়ক করে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট আহŸায়ক কমিটি গঠন করা হয়। এরপর আর হয়নি কোনো কমিটি। বর্তমান কমিটির আহŸায়ক জহুরুল ইসলাম ব্যবসায়ীক কাজে ঢাকায় রয়েছেন দীর্ঘদিন। যুগ্ম আহŸায়ক শাহ. মো. জাহাঙ্গীর জলিল জেলা আওয়ামী লীগের নতুন কমিটিতে সাংস্কৃতিক সম্পাদকের পদ পেয়েছেন। এ কমিটির অনেকেই এখন নিষ্ক্রিয়। নতুন করে সম্মেলনের তারিখ ঘোষণার পর যুবলীগের নেতৃত্ব পেতে অনেকটাই চাঙ্গা নেতাকর্মীরা। যাদের মধ্যে ছাত্রলীগের সাবেক নেতার সংখ্যাই বেশি। সভাপতি পদে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান শরীফ, সাবেক ছাত্রলীগের সভাপতি আসাদুজ্জামান শামীম, রাজবাড়ী সরকারি কলেজের সাবেক জিএস আশরাফুল ইসলাম আশা, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা হরিপদ সরকার রানা এবং আল মাসুদ। সাধারণ সম্পাদক পদে সদর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শওকত হাসান, যুবলীগ নেতা রামিম হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জাকারিয়া মাসুদ রাজীব, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম এরশাদ এর নাম শোনা যাচ্ছে।

সভাপতি প্রার্থী আসাদুজ্জামান শামীম বলেন, ২০০০ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত দুই টার্মে তিনি জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে ভ‚মিকা রেখেছেন। ছাত্রলীগ থেকে বিদায় নেওয়ার পর যুবলীগ করবেন ভেবে রেখেছেন। কিন্তু আজ কাল করে সম্মেলন না হওয়ায় তারা যুবলীগে যেতে পারেননি। প্রায় ২৬ বছর জেলা যুবলীগের সম্মেলন হচ্ছে। মাঝখানে ২০০৪ সালে তিন মাস মেয়াদের আহŸায়ক কমিটি গঠিত হয়েছিল। এখন পর্যন্ত ওই কমিটিই চলছে। ৪ মার্চ সম্মেলনকে সামনে রেখে তারা এখন অনেক উজ্জীবীত। তাদের দীর্ঘদিনের আশা পূরণ হতে চলেছে। তিনি নিজে সভাপতি প্রার্থী। আগামী নির্বাচনে রাজবাড়ীর দুটি আসনে আওয়ামী লীগের বিজয়ে যারা বলিষ্ঠ ভ‚মিকা রাখতে পারবে তাদেরকে যেন নেতৃত্ব দেওয়া হয়।

সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী শওকত হাসান বলেন, দলের দুর্দিনে যারা হাল ধরেছিল। তাদের যেন মূল্যায়ন করা হয়। বিশেষ করে সভাপতি সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীর ক্ষেত্রে ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের মনোনীত করার দাবি জানান।

জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহŸায়ক শাহ মো. জাহাঙ্গীর জলিল বলেন, দীর্ঘদিন পর জেলা যুবলীগের সম্মেলন হবে- এটা খুবই আনন্দের। এতদিন আহŸায়ক কমিটি থাকার কারণে জেলা যুবলীগের কর্মকান্ডে গতিশীলতা ছিলনা। নতুন  কমিটি গঠনের মধ্য দিয়ে আবার যুবলীগে প্রাণ ফিরে পাবে। নতুন কমিটিতে যেন ত্যাগী, পরীক্ষিত কর্মীদের অন্তভর্‚ক্ত করা হয়। যারা দুর্দিনে রাজপথে ভূমিকা রেখেছেন।

জেলা যুবলীগের অপর যুগ্ম আহŸায়ক আবুল হোসেন বলেন, সম্মেলন সফল করতে আটটি উপ-কমিটি গঠন করা হয়েছে। গত ১৯ ফেব্রæয়ারি তারিখে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব রাজবাড়ী এসে সম্মেলন প্রস্তুতি সভা করে গেছেন। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীরা কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের কাছে জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন। তারা যাচাই বাছাই ও চুলচেরা বিশ্লেষণ করে সম্মেলনে নতুন কমিটি ঘোষণা করবেন। এখন পর্যন্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে ১৫ জনের অধিক জীবনবৃত্তান্ত দিয়েছেন বলে জানান তিনি।

রাজবাড়ী জেলা যুবলীগের আহŸায়ক জহুরুল ইসলাম বলেন, সম্মেলন সফল করতে তারা আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তরুণ এবং নবীন মিলে যারা আগামীতে ভালো নেতৃত্ব দিতে পারবে। লেজুড়বৃত্তির বাইরে গিয়ে একটা শক্ত নেতৃত্ব তৈরি হবে যাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকবেনা এমন নেতৃত্বই তিনি আশা করছেন। আমরা যুবলীগ করেছি। আমাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই। আগামীতেও এমন নেতৃত্ব আশা করছি।