গৃহবধূ বিউটি হত্যাকারীর গ্রেপ্তার দাবিতে মহিলা পরিষদের স্মারকলিপি
- প্রকাশের সময় : ০৮:৩১:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৩
- / ১১২২ জন সংবাদটি পড়েছেন
দুই শিশু সন্তানের সামনে বিউটি বেমকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনায় দায়ী আব্দুল লতিফ কাজীকে গ্রেপ্তার দাবিতে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ রাজবাড়ী জেলা শাখা।
রোববার সংগঠনের সভাপতি ডা. পূর্ণিমা রানী দত্ত, সাধারণ সম্পাদক ক্রিস্টিয়া মারিও রেখা দাস ও লিগ্যাল এইড সম্পাদক মেহেনাজ পরভীন সাক্ষরিত স্মারকলিপিতে ঘটনার সুষ্ঠু বিচার ও অপরাধীর শাস্তি দাবি করা হয়।
প্রসঙ্গত, বুধবার দিবাগত রাত পৌনে দুইটার দিকে রাজবাড়ী সদর উপজেলার বানিবহ ইউনিয়নের বার্থা গ্রামে লতিফ তার স্ত্রী বিউটিকে কুপিয়ে হত্যা করে। ১২ বছর আগে একই গ্রামের বিল্লাল মোল্লার মেয়ে বিউটি বেগমের সাথে বিয়ে হয় লতিফ কাজীর। তাদের সংসারে রয়েছে ১০ বছরের মেয়ে মীম ও চার বছর বয়সী ছেলে মুসা। বেশ কয়েক বছর ধরে সাংসারিক নানা বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ চলছিলো। বুধবার রাতের খাবার খেয়ে বিউটি তার সন্তানদের নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত ১২টার দিকে লতিফ বাসায় ফেরেন। এসময় দুজনের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। এক পর্যায়ে লতিফ চাপাতি দিয়ে তার স্ত্রীকে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে। বিউটির আর্ত চিৎকারে মেয়ে মীমের ঘুম ভেঙে যায়। সে এসে তার বাবাকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। চাপাতির আঘাতে তার একটি আঙুল জখম হয়। কিন্তু ক্ষান্ত হয়নি লতিফ। আবারও কোপাতে থাকে তার স্ত্রীকে। একপর্যায়ে লতিফ সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
পুলিশ জানিয়েছে, খবর পেয়ে পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থলে পৌছে রক্তাক্ত অবস্থায় বিউটি বেগমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে নিহতের মেয়ে মীমের সাথে পুলিশ কথা বলেছে। মীম জানিয়েছে, তার বাবা মাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। পুলিশ ঘটনাস্থলের পাশে একটি ক্ষেত থেকে হত্যায় ব্যবহৃত রক্তমাখা চাপাতি উদ্ধার করেছে। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত লতিফ কাজীকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।