Dhaka ০১:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের চাঁদাবাজি মামলায় পাংশা পৌর কাউন্সিলর ও যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

সংবাদদাতা-
  • প্রকাশের সময় : ০৮:১৮:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ এপ্রিল ২০২২
  • / ১৫৯৯ জন সংবাদটি পড়েছেন

জনতার আদালত অনলাইন ॥ রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক জালাল উদ্দিন বিশ^াসের দায়ের করা চাঁদাবাজি মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন উপজেলা যুবলীগের বহিষ্কৃত আহ্বায়ক ফজলুল হক ফরহাদ ও পাংশা পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তাজুল ইসলাম। গত মঙ্গলবার রাতে পুলিশ তাদেরকে গ্রেপ্তার করে। তাদের বাড়ি পাংশা পৌর শহরের নারায়নপুর এলাকায়। গত মঙ্গলবার পাংশা থানায় মামলাটি দায়ের করা করা হয়। মামলার এজাহারে আরও পাঁজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তারা হলো রুবেল, হৃদয় ঠাকুর, গৌতম কুমার, জিদান ও মুন্নু। এদের সবার বাড়ি পাংশা পৌর এলাকায়।

মামলায় বাদী উল্লেখ করেন,  পাংশার কলেজ মোড় এলাকায় তিনি জেলা পরিষদ থেকে জমি লিজ নিয়ে দোকান ঘর নির্মাণ করছিলেন। গত ১০ মার্চ তারিখে তাজুল ও ফরহাদ  সেখানে গিয়ে তার কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। তিনি তখন তাদের ২০ হাজার টাকা চাঁদা দেন। পরবর্তীতে চাঁদার বাকী টাকার জন্য তার উপর চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। গত ১১ এপ্রিল ফরহাদ ও তাজুলের নেতৃত্বে কয়েকজন পাংশা উপজেলা পরিষদে তার কার্যালয়ে গিয়ে আবারও চাঁদার টাকা দাবি করে। তিনি কোনো চাঁদা দিতে পারবেন না জানালে তার মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে হুমকি দিয়ে চলে যায়। ১২ এপ্রিল মঙ্গলবার তারা আবার উপজেলা পরিষদে গিয়ে তাকে না পেয়ে জানালার কাঁচ ভাংচুর করে চলে যায়।

পাংশা থানার ওসি (তদন্ত) উত্তম কুমার ঘোষ জানান, মামলা দায়েরের পর পুলিশ রাতে অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত দুই আসামি ফরহাদ ও তাজুলকে গ্রেপ্তার করে। তাদেরকে বুধবার রাজবাড়ীর আদালতে চালান করা হয়েছে। বাকী আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

প্রসঙ্গত, ফজলুল হক ফরহাদ বিগত পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের চাঁদাবাজি মামলায় পাংশা পৌর কাউন্সিলর ও যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

প্রকাশের সময় : ০৮:১৮:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ এপ্রিল ২০২২

জনতার আদালত অনলাইন ॥ রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক জালাল উদ্দিন বিশ^াসের দায়ের করা চাঁদাবাজি মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন উপজেলা যুবলীগের বহিষ্কৃত আহ্বায়ক ফজলুল হক ফরহাদ ও পাংশা পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তাজুল ইসলাম। গত মঙ্গলবার রাতে পুলিশ তাদেরকে গ্রেপ্তার করে। তাদের বাড়ি পাংশা পৌর শহরের নারায়নপুর এলাকায়। গত মঙ্গলবার পাংশা থানায় মামলাটি দায়ের করা করা হয়। মামলার এজাহারে আরও পাঁজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তারা হলো রুবেল, হৃদয় ঠাকুর, গৌতম কুমার, জিদান ও মুন্নু। এদের সবার বাড়ি পাংশা পৌর এলাকায়।

মামলায় বাদী উল্লেখ করেন,  পাংশার কলেজ মোড় এলাকায় তিনি জেলা পরিষদ থেকে জমি লিজ নিয়ে দোকান ঘর নির্মাণ করছিলেন। গত ১০ মার্চ তারিখে তাজুল ও ফরহাদ  সেখানে গিয়ে তার কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। তিনি তখন তাদের ২০ হাজার টাকা চাঁদা দেন। পরবর্তীতে চাঁদার বাকী টাকার জন্য তার উপর চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। গত ১১ এপ্রিল ফরহাদ ও তাজুলের নেতৃত্বে কয়েকজন পাংশা উপজেলা পরিষদে তার কার্যালয়ে গিয়ে আবারও চাঁদার টাকা দাবি করে। তিনি কোনো চাঁদা দিতে পারবেন না জানালে তার মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে হুমকি দিয়ে চলে যায়। ১২ এপ্রিল মঙ্গলবার তারা আবার উপজেলা পরিষদে গিয়ে তাকে না পেয়ে জানালার কাঁচ ভাংচুর করে চলে যায়।

পাংশা থানার ওসি (তদন্ত) উত্তম কুমার ঘোষ জানান, মামলা দায়েরের পর পুলিশ রাতে অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত দুই আসামি ফরহাদ ও তাজুলকে গ্রেপ্তার করে। তাদেরকে বুধবার রাজবাড়ীর আদালতে চালান করা হয়েছে। বাকী আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

প্রসঙ্গত, ফজলুল হক ফরহাদ বিগত পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।