Dhaka ০১:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মাটি বালি রং দিয়ে তৈরি হতো নকল সার ।। পাংশায় কারখানা সিলগালা

সংবাদদাতা-
  • প্রকাশের সময় : ০৮:৩৯:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ মার্চ ২০২২
  • / ১২৪১ জন সংবাদটি পড়েছেন

জনতার আদালত অনলাইন   মাটি, বালি, ইটের  গুড়ার সাথে  রং মিশিয়ে তৈরি করা হতো বিভিন্ন ধরনের সার। এমন একটি সার কারখানার খোঁজ পেয়ে পাংশা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নুজহাত তাসনিম আওন শনিবার অভিযান চালান। কিন্তু  কাউকে  পাননি সেখানে। পরে কারখানাটি সীলগালা করে দেন। ঘটনাটি ঘটেছে রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার পাট্টা ইউনিয়নের পুইজোর বাজারে।

পাংশা  উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নুজহাত তাসনিম আওন জানান, পুইজোর বাজারে নকল সার কারখানার সন্ধান পেয়ে অভিযান চালানো হয়। কিন্তু সেখানে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। হতে পারে তাদের অভিযানের সংবাদ পেয়ে কারখানার সঙ্গে যুক্তরা সটকে পড়েছেন। এসময় স্থানীয়রা কেউ কারখানা মালিকের নাম জানাতে চায়নি। তবে, কারখানার মালিকের নাম কামরুল বলে  জানা গেছে। কারখানার তিনটি গুদামে ইটের গুড়া, মাটির গুড়া, বিভিন্ন রং, নকল মোড়ক, মোড়ক বানানোর মেশিন পাওয়া গেছে। এই কারখানার কোনো অনুমোদনও ছিল না। কারখানার মালিক নকল সার তৈরি করে কৃষকদের কাছে বিক্রি করতো। কারখানার তিনটি গুদাম  সীলগালা করে স্থানীয় ইউপি মেম্বার  জাকির হোসেনের জিম্মায় রাখা হয়েছে। কারখানা মালিকের সন্ধান চলছে।

অভিযানকালে পাংশা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রতন কুমার ঘোষ, পাংশা থানার এসআই আমজাদ হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে স্থানীয় সূত্রে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কামরুল হাসান নামে এক ব্যক্তি মাস চারেক আগে বাজারের কয়েকটি ঘর  ভাড়া নিয়ে সার কারখানা দেন। নকল সার তৈরি করে সে কৃষকদের সাথে প্রতারণা করতো। তার বাড়ি বালিয়াকান্দি উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নে।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

মাটি বালি রং দিয়ে তৈরি হতো নকল সার ।। পাংশায় কারখানা সিলগালা

প্রকাশের সময় : ০৮:৩৯:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ মার্চ ২০২২

জনতার আদালত অনলাইন   মাটি, বালি, ইটের  গুড়ার সাথে  রং মিশিয়ে তৈরি করা হতো বিভিন্ন ধরনের সার। এমন একটি সার কারখানার খোঁজ পেয়ে পাংশা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নুজহাত তাসনিম আওন শনিবার অভিযান চালান। কিন্তু  কাউকে  পাননি সেখানে। পরে কারখানাটি সীলগালা করে দেন। ঘটনাটি ঘটেছে রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার পাট্টা ইউনিয়নের পুইজোর বাজারে।

পাংশা  উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নুজহাত তাসনিম আওন জানান, পুইজোর বাজারে নকল সার কারখানার সন্ধান পেয়ে অভিযান চালানো হয়। কিন্তু সেখানে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। হতে পারে তাদের অভিযানের সংবাদ পেয়ে কারখানার সঙ্গে যুক্তরা সটকে পড়েছেন। এসময় স্থানীয়রা কেউ কারখানা মালিকের নাম জানাতে চায়নি। তবে, কারখানার মালিকের নাম কামরুল বলে  জানা গেছে। কারখানার তিনটি গুদামে ইটের গুড়া, মাটির গুড়া, বিভিন্ন রং, নকল মোড়ক, মোড়ক বানানোর মেশিন পাওয়া গেছে। এই কারখানার কোনো অনুমোদনও ছিল না। কারখানার মালিক নকল সার তৈরি করে কৃষকদের কাছে বিক্রি করতো। কারখানার তিনটি গুদাম  সীলগালা করে স্থানীয় ইউপি মেম্বার  জাকির হোসেনের জিম্মায় রাখা হয়েছে। কারখানা মালিকের সন্ধান চলছে।

অভিযানকালে পাংশা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রতন কুমার ঘোষ, পাংশা থানার এসআই আমজাদ হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে স্থানীয় সূত্রে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কামরুল হাসান নামে এক ব্যক্তি মাস চারেক আগে বাজারের কয়েকটি ঘর  ভাড়া নিয়ে সার কারখানা দেন। নকল সার তৈরি করে সে কৃষকদের সাথে প্রতারণা করতো। তার বাড়ি বালিয়াকান্দি উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নে।