Dhaka ০৬:৪৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাংশায় আওয়ামী লীগ নেতাকে অস্ত্র দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ, সংবাদ সম্মেলনে কান্নার রোল

সংবাদদাতা-
  • প্রকাশের সময় : ০৭:০০:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুন ২০২১
  • / ১৮০৭ জন সংবাদটি পড়েছেন

জনতার আদালত অনলাইন ॥ রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার হাবাসপুর  ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হক বিশ^াসকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে অস্ত্র দিয়ে ফাঁসানো হয়েছে  বলে অভিযোগ করেছে  ইউনিয়ন  আওয়ামী লীগ ও তার পরিবারের সদস্যরা। বুধবার দুপুরে হাবাসপুর ইউনিয়নের চরআফড়া গ্রামে তার নিজ বাড়িতে ইউনিয়ন হাবাসপুর আওয়ামী লীগ  এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। তাদের দাবি আসন্ন  ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন প্রত্যাশী হওয়ায় তার প্রতিপক্ষ  ষড়যন্ত্রমূলকভাবে তাকে ফাঁসিয়েছে। এছাড়া র‌্যাব-১২ এর সদস্যরা তাকে  ২৬ জুন গভীর রাতে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে গেলেও শাহজাদপুর থেকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার দেখিয়েছে। এসময় তার পরিবারের সদস্যরা কান্নায় ভেঙে পড়েন।

সংবাদ সম্মেলনে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মজিবর রহমান ফকীর, সাংস্কৃতিক সম্পাদক আব্দুল মতিন, ৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি সুলতান প্রামানিক, সাধারণ সম্পাদক খবির  সরদার, সমাজকল্যাণ সম্টপাদক কাশেম সরদার, জেলা কৃষকলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক  মোস্তফা মাহমুদ হেনা মুন্সী, ফজলুল হক বিশ^াসের বৃদ্ধা মা জমেলা খাতুন, স্ত্রী লিজা বেগম, দুই শিশু কন্যা মিহা ও পুষ্পা, বোন নিপা, ভাই আবু সালেহসহ স্থানীয় লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

শুরুতেই বক্তব্য দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন ফজলুল হক বিশ^াসের স্ত্রী লিজা বেগম। শুধুই বিলাপের সুরে তিনি  তার স্বামীকে ফিরিয়ে দেওয়ার আকুতি জানান।

ফজলুল হকের ভাই আবু সালেহ বলেন, গত ২৬ জুন গভীর রাতে আমার ভাই ফজলুল হককে র‌্যাব-১২ সদস্যরা তুলে নিয়ে যায়।  যখন তুলে নিয়ে যায় তখন এই এলাকার অনেক লোক দেখেছে। তার পরনে ছিল লুঙ্গি গায়ে একটা হাফ হাতা শার্ট। র‌্যাব তাকে খালি হাতে ধরে হাঁটিয়ে নিয়ে চলে গেছে। এর দুই তিন দিন পর আমরা জানতে পারি সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর থানা এলাকা থেকে অস্ত্রসহ আমার ভাই ফজলুল হককে গ্রেপ্তার করেছে। তিনি প্রধানমন্ত্রী ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে এ মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ন্যায় বিচারের দাবি  জানান। বক্তৃতার শেষে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন। বলেন, আমার ভাইয়ের শোকে আমার বৃদ্ধ বাবা-মা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তার তিনটি শিশু কন্যা নাওয়া খাওয়া ছেড়ে দিয়েছে। স্বামীর চিন্তায় তার স্ত্রী পাগল প্রায়। তার ভাইয়ের একটাই দোষ তিনি চেয়ারম্যান প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন। একারণেই প্রতিপক্ষরা ষড়যন্ত্রমূলকভাবে তাকে ফাঁসিয়ে দিয়েছে। তিনি ফজলুল হক বিশ^াসের মুক্তির দাবি জানান।

ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মজিবর রহমান ফকীর বলেন, ফজলুল হক বিশ^াস  আওয়ামী লীগের জন্য নিবেদিত প্রাণ । এর আগে তিনি ইউপি সদস্য ছিলেন। মানুষের উপকার করেন তিনি। সমাজসেবক হিসেবে এলাকায় তার সুনাম আছে। দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। আগামী ইউপি নির্বাচনে তিনি চেয়ারম্যান প্রার্থী। এটাই তার অপরাধ। তার প্রতিপক্ষরা ঈর্ষান্বিত হয়ে  তাকে ফাঁসিয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। তিনিও ফজলুল হক বিশ^াসের মুক্তি দাবি করেন।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

পাংশায় আওয়ামী লীগ নেতাকে অস্ত্র দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ, সংবাদ সম্মেলনে কান্নার রোল

প্রকাশের সময় : ০৭:০০:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুন ২০২১

জনতার আদালত অনলাইন ॥ রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার হাবাসপুর  ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হক বিশ^াসকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে অস্ত্র দিয়ে ফাঁসানো হয়েছে  বলে অভিযোগ করেছে  ইউনিয়ন  আওয়ামী লীগ ও তার পরিবারের সদস্যরা। বুধবার দুপুরে হাবাসপুর ইউনিয়নের চরআফড়া গ্রামে তার নিজ বাড়িতে ইউনিয়ন হাবাসপুর আওয়ামী লীগ  এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। তাদের দাবি আসন্ন  ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন প্রত্যাশী হওয়ায় তার প্রতিপক্ষ  ষড়যন্ত্রমূলকভাবে তাকে ফাঁসিয়েছে। এছাড়া র‌্যাব-১২ এর সদস্যরা তাকে  ২৬ জুন গভীর রাতে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে গেলেও শাহজাদপুর থেকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার দেখিয়েছে। এসময় তার পরিবারের সদস্যরা কান্নায় ভেঙে পড়েন।

সংবাদ সম্মেলনে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মজিবর রহমান ফকীর, সাংস্কৃতিক সম্পাদক আব্দুল মতিন, ৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি সুলতান প্রামানিক, সাধারণ সম্পাদক খবির  সরদার, সমাজকল্যাণ সম্টপাদক কাশেম সরদার, জেলা কৃষকলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক  মোস্তফা মাহমুদ হেনা মুন্সী, ফজলুল হক বিশ^াসের বৃদ্ধা মা জমেলা খাতুন, স্ত্রী লিজা বেগম, দুই শিশু কন্যা মিহা ও পুষ্পা, বোন নিপা, ভাই আবু সালেহসহ স্থানীয় লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

শুরুতেই বক্তব্য দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন ফজলুল হক বিশ^াসের স্ত্রী লিজা বেগম। শুধুই বিলাপের সুরে তিনি  তার স্বামীকে ফিরিয়ে দেওয়ার আকুতি জানান।

ফজলুল হকের ভাই আবু সালেহ বলেন, গত ২৬ জুন গভীর রাতে আমার ভাই ফজলুল হককে র‌্যাব-১২ সদস্যরা তুলে নিয়ে যায়।  যখন তুলে নিয়ে যায় তখন এই এলাকার অনেক লোক দেখেছে। তার পরনে ছিল লুঙ্গি গায়ে একটা হাফ হাতা শার্ট। র‌্যাব তাকে খালি হাতে ধরে হাঁটিয়ে নিয়ে চলে গেছে। এর দুই তিন দিন পর আমরা জানতে পারি সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর থানা এলাকা থেকে অস্ত্রসহ আমার ভাই ফজলুল হককে গ্রেপ্তার করেছে। তিনি প্রধানমন্ত্রী ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে এ মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ন্যায় বিচারের দাবি  জানান। বক্তৃতার শেষে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন। বলেন, আমার ভাইয়ের শোকে আমার বৃদ্ধ বাবা-মা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তার তিনটি শিশু কন্যা নাওয়া খাওয়া ছেড়ে দিয়েছে। স্বামীর চিন্তায় তার স্ত্রী পাগল প্রায়। তার ভাইয়ের একটাই দোষ তিনি চেয়ারম্যান প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন। একারণেই প্রতিপক্ষরা ষড়যন্ত্রমূলকভাবে তাকে ফাঁসিয়ে দিয়েছে। তিনি ফজলুল হক বিশ^াসের মুক্তির দাবি জানান।

ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মজিবর রহমান ফকীর বলেন, ফজলুল হক বিশ^াস  আওয়ামী লীগের জন্য নিবেদিত প্রাণ । এর আগে তিনি ইউপি সদস্য ছিলেন। মানুষের উপকার করেন তিনি। সমাজসেবক হিসেবে এলাকায় তার সুনাম আছে। দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। আগামী ইউপি নির্বাচনে তিনি চেয়ারম্যান প্রার্থী। এটাই তার অপরাধ। তার প্রতিপক্ষরা ঈর্ষান্বিত হয়ে  তাকে ফাঁসিয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। তিনিও ফজলুল হক বিশ^াসের মুক্তি দাবি করেন।