Dhaka ০৮:৪৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ওসির উদ্যোগে অশীতিপর বাবা-মাকে ভরণপোষণ দিতে রাজী ছেলে

সংবাদদাতা-
  • প্রকাশের সময় : ০৬:৫৩:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২০
  • / ১২৫৫ জন সংবাদটি পড়েছেন

জনতার আদালত অনলাইন ॥ রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি থানার ওসি তারেকুজ্জামানের উদ্যোগে অশীতিপর বৃদ্ধ বাবা-মাকে ভরণপোষণ দিতে রাজী হয়েছে ছেলে রিপন মন্ডল।

জানা গেছে, বালিয়াকান্দি উপজেলার বহরপুর ইউনিয়নের পাটুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা কিয়ামুদ্দিন মন্ডল ও তার স্ত্রী শাহিদা বেগম শুক্রবার বালিয়াকান্দি থানার ওসির কক্ষে যান। ওসি তাদেরকে সাদরে গ্রহণ করে তাদের অভিযোগ অনুযোগ সম্পর্কে জানতে চান।  ওই সময় শাহিদা বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার একমাত্র ছেলে রিপন মন্ডল আমাদের ভরণপোষণ দেয়না। খুবই কষ্টে দিনতিপাত করছি। অভিযোগ শুনে ওসি তারেকুজ্জামান তাদের  ঠিকানা লিখে রেখে বাড়ি পাঠিয়ে দেন। পরে রিপন মন্ডলকে খুঁজে বের করে তাকে থানায় ডেকে এনে বাবা-মাকে ভরণপোষণ দেওয়ার অঙ্গীকার করিয়ে বাড়ি পাঠান। এখানেই তিনি থেমে থাকেননি। রাত ১০টার দিকে ওসি তারেকুজ্জামান ফলমূল কিনে ওই বৃদ্ধ দম্পতির বাড়ি গিয়ে সবার সাথে আহারও করেন। সেসময় ওই বাড়িতে এক আনন্দঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।

বৃদ্ধা শাহিদা বেগম সৃষ্টিকর্তার কাছে ওসি তারেকুজ্জামানানের জন্য শুকরিয়া আদায় করে বলেন, এমন সন্তান যেন বাংলার ঘরে ঘরে জন্ম নেয়।

রিপন মন্ডল বলেন, আমি আমার ভুল বুঝতে পেরেছি। এখন থেকে আমার বাবা-মাকে আর কষ্ট করতে হবেনা।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মুরাদ বিশ্বাস বলেন, থানার ওসির ফোন পেয়ে রিপনকে ডেকে থানায় সাথে করে নিয়ে আসি। সহজেই রিপন তার ভুল স্বীকার করে। সে ভবিষ্যতে এ ধরনের কোন কাজ করবে না বলে অঙ্গীকার করে।

বালিয়াকান্দি থানার ওসি তারেকুজ্জামান বলেন, ওই বৃদ্ধ আগে রিক্সা ভ্যান চালাতেন। এখন কোনো কাজ করতে পারেন না। সবিস্তারে বিষয়টি জেনে আমি শুধু একজন মায়ের পাশে দাঁড়িয়েছি। এতে সহজেই ওই পরিবারে শান্তি ফিরে এসেছে।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

ওসির উদ্যোগে অশীতিপর বাবা-মাকে ভরণপোষণ দিতে রাজী ছেলে

প্রকাশের সময় : ০৬:৫৩:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২০

জনতার আদালত অনলাইন ॥ রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি থানার ওসি তারেকুজ্জামানের উদ্যোগে অশীতিপর বৃদ্ধ বাবা-মাকে ভরণপোষণ দিতে রাজী হয়েছে ছেলে রিপন মন্ডল।

জানা গেছে, বালিয়াকান্দি উপজেলার বহরপুর ইউনিয়নের পাটুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা কিয়ামুদ্দিন মন্ডল ও তার স্ত্রী শাহিদা বেগম শুক্রবার বালিয়াকান্দি থানার ওসির কক্ষে যান। ওসি তাদেরকে সাদরে গ্রহণ করে তাদের অভিযোগ অনুযোগ সম্পর্কে জানতে চান।  ওই সময় শাহিদা বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার একমাত্র ছেলে রিপন মন্ডল আমাদের ভরণপোষণ দেয়না। খুবই কষ্টে দিনতিপাত করছি। অভিযোগ শুনে ওসি তারেকুজ্জামান তাদের  ঠিকানা লিখে রেখে বাড়ি পাঠিয়ে দেন। পরে রিপন মন্ডলকে খুঁজে বের করে তাকে থানায় ডেকে এনে বাবা-মাকে ভরণপোষণ দেওয়ার অঙ্গীকার করিয়ে বাড়ি পাঠান। এখানেই তিনি থেমে থাকেননি। রাত ১০টার দিকে ওসি তারেকুজ্জামান ফলমূল কিনে ওই বৃদ্ধ দম্পতির বাড়ি গিয়ে সবার সাথে আহারও করেন। সেসময় ওই বাড়িতে এক আনন্দঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।

বৃদ্ধা শাহিদা বেগম সৃষ্টিকর্তার কাছে ওসি তারেকুজ্জামানানের জন্য শুকরিয়া আদায় করে বলেন, এমন সন্তান যেন বাংলার ঘরে ঘরে জন্ম নেয়।

রিপন মন্ডল বলেন, আমি আমার ভুল বুঝতে পেরেছি। এখন থেকে আমার বাবা-মাকে আর কষ্ট করতে হবেনা।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মুরাদ বিশ্বাস বলেন, থানার ওসির ফোন পেয়ে রিপনকে ডেকে থানায় সাথে করে নিয়ে আসি। সহজেই রিপন তার ভুল স্বীকার করে। সে ভবিষ্যতে এ ধরনের কোন কাজ করবে না বলে অঙ্গীকার করে।

বালিয়াকান্দি থানার ওসি তারেকুজ্জামান বলেন, ওই বৃদ্ধ আগে রিক্সা ভ্যান চালাতেন। এখন কোনো কাজ করতে পারেন না। সবিস্তারে বিষয়টি জেনে আমি শুধু একজন মায়ের পাশে দাঁড়িয়েছি। এতে সহজেই ওই পরিবারে শান্তি ফিরে এসেছে।