Dhaka ০৫:৩২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাংশায় গৃহবধূকে দাহ্য পদার্থ নিক্ষেপ, স্বামী-স্ত্রী গ্রেপ্তার

সংবাদদাতা-
  • প্রকাশের সময় : ০৭:১৫:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ অগাস্ট ২০২০
  • / ১৪২৪ জন সংবাদটি পড়েছেন

জনতার আদালত অনলাইন॥ পারিবারিক বিরোধের জের ধরে রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার সরিষা ইউনিয়নের বেজপাড়া গ্রামে সাহারা খাতুন নামে এক গৃহবধূকে দাহ্য পদার্থ নিক্ষেপ করে তার শরীর ঝলসে দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। বর্র্তমানে তিনি ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় গৃহবধূর স্বামী শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পাংশা থানায় তার আপন ভাই ভাবীসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। মামলার আসামিরা হলো শফিকুল ইসলামের বড় ভাই বাবুল শেখ, ভাবী অরুণা খান, ভাতিজা রনি ও মারুফ। পুলিশ মঙ্গলবার রাতেই অভিযান চালিয়ে বাবুল শেখ ও তার স্ত্রী অরুণাকে গ্রেপ্তার করেছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পাংশা থানার এসআই হুমায়ুন রেজা জানান, শফিকুল ইসলাম ও  সাহারা খাতুন দুজনেই ঢাকায় গার্মেন্টে চাকরী করতো। সেখানে পরিচয়ের সূত্রে তাদের বিয়ে হয়। কিন্তু পরিবারের লোকেরা এ বিয়ে মেনে নেয়নি। এনিয়ে পারিবারিক কলহ বিবাদ চলছিলো। এরই জের ধরে গত ২০ আগস্ট গৃহবধূ সাহারা খাতুনকে দাহ্য পদার্থ  নিক্ষেপ করা হয় বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া মামলার চার নম্বর আসামির সাথে টাকা পয়সা লেনদেন নিয়ে  ঝামেলা চলছিল। পুলিশ গুরুত্ব সহকারে মামলাটির তদন্ত করছে। এখন পর্র্যন্ত দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

পাংশায় গৃহবধূকে দাহ্য পদার্থ নিক্ষেপ, স্বামী-স্ত্রী গ্রেপ্তার

প্রকাশের সময় : ০৭:১৫:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ অগাস্ট ২০২০

জনতার আদালত অনলাইন॥ পারিবারিক বিরোধের জের ধরে রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার সরিষা ইউনিয়নের বেজপাড়া গ্রামে সাহারা খাতুন নামে এক গৃহবধূকে দাহ্য পদার্থ নিক্ষেপ করে তার শরীর ঝলসে দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। বর্র্তমানে তিনি ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় গৃহবধূর স্বামী শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পাংশা থানায় তার আপন ভাই ভাবীসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। মামলার আসামিরা হলো শফিকুল ইসলামের বড় ভাই বাবুল শেখ, ভাবী অরুণা খান, ভাতিজা রনি ও মারুফ। পুলিশ মঙ্গলবার রাতেই অভিযান চালিয়ে বাবুল শেখ ও তার স্ত্রী অরুণাকে গ্রেপ্তার করেছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পাংশা থানার এসআই হুমায়ুন রেজা জানান, শফিকুল ইসলাম ও  সাহারা খাতুন দুজনেই ঢাকায় গার্মেন্টে চাকরী করতো। সেখানে পরিচয়ের সূত্রে তাদের বিয়ে হয়। কিন্তু পরিবারের লোকেরা এ বিয়ে মেনে নেয়নি। এনিয়ে পারিবারিক কলহ বিবাদ চলছিলো। এরই জের ধরে গত ২০ আগস্ট গৃহবধূ সাহারা খাতুনকে দাহ্য পদার্থ  নিক্ষেপ করা হয় বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া মামলার চার নম্বর আসামির সাথে টাকা পয়সা লেনদেন নিয়ে  ঝামেলা চলছিল। পুলিশ গুরুত্ব সহকারে মামলাটির তদন্ত করছে। এখন পর্র্যন্ত দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।