Dhaka ১২:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নাম তার ‘কালা পাহাড়’

সংবাদদাতা-
  • প্রকাশের সময় : ০৮:০৭:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জুলাই ২০২০
  • / ১৩১৩ জন সংবাদটি পড়েছেন

 

জনতার আদালত অনলাইন ॥ সকলের নজর এখন কালা পাহাড়ের দিকে। মিচমিচে কালো রংয়ের ছয় ফুট উচ্চতা ও ১৭ শ কেজি ওজনের ষাড়টি কত দামে বিক্রি হয় তা নিয়ে যেন আগ্রহের শেষ নেই এলাকাবাসীর। রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার ইলিশকোল গ্রামের বাসিন্দা খামারী কাছেদ আলী খানের কালো রংয়ের ষাড় গরুটির নাম কালা পাহাড়। ষাড়টির বয়স মাত্র পাঁচ বছর।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনই ষাড়টি দেখতে আাসছে শত শত মানুষ। আগ্রহী অনেকে দরদামও করছেন। অনেকে খুশী হয়ে ষাড়টির প্রশংসাও করেন।

কাছেদ আলী খান জানান, ২০১৫ সালে তার খামারের একটি গাভীর গর্ভে জন্ম নেয় শংকর প্রজাতির একটি বাছুর। গায়ের রং কালো। গাভীটির দুধ খুবই তরল। যেকারণে ওই দুধ কেউ কিনতে চাইতো না। প্রতিদিন ২৫ লিটার দুধ দিতো গাভিটি। এতো দুধ ফেলে তো দেয়া যায়না। তাই বাছুরটিকে খাওয়াতেন। মায়ের দুধ পান করতে করতে স্বাস্থ্যবান হয়ে ওঠে গাভিটি। দেখতে পাহাড়ের মত ও গায়ের রং কালো হওয়ায় তিনি  শখ করে নাম রাখেন কালা পাহাড়। তিনি আরও জানান, জন্মের পর প্রথম ১৪ মাসে ষাড়টি প্রায় চার টন দুধ পান করেছে। এতো পরিমাণ দুধ খাওয়ানোর কারণে তার খাবার চাহিদাও যায় বেড়ে। যেকারণে দুধ ছাড়ার পর তাকে প্রাকৃতিক খাবার খাওয়ানো হয়। কাছেদ আলী খান দাবি করেন, বাছুরটি বড় হওয়ার পর থেকে প্রতিদিন এক হাজার টাকা মূল্যের খাবার খাওয়ানো হতো। ন্যায্য দাম পেলে এবার কোরবানীর ঈদে কালা পাহাড় নামক ষাড়টিকে তিনি  বিক্রি করতে চান। গত কোরবানীর ঈদে ষাড়টির দাম উঠেছিল ১১ লাখ টাকা। কিন্তু আরও বেশি দাম পাওয়ার আশায় তিনি বিক্রি করেননি। কেউ কিনতে আগ্রহী হলে দরদাম ঠিক পেলে তিনি নিজে ষাড়টিকে ক্রেতার বাড়িতে পৌছে দেবেন বলে জানান তিনি।

বালিয়াকান্দি উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা প্রশান্ত রায় জানান, দেশিয় খাবার খাইয়ে খামারী গরুটিকে বড় করেছেন। কিছুদিন আগে আখ সেন্টারে নিয়ে গরুটির ওজন দেয়া হয়। ওই সময় গরুটির ওজন ছিল ১৭শ কেজি। এর উচ্চতা ছয় ফুট। এটি শুধু বালিয়াকন্দি নয়, রাজবাড়ী জেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় গরু। সাধারণতঃ সৌখিন লোকজন কোরবানীর ঈদে  এরকম গরু কিনে থাকে।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

নাম তার ‘কালা পাহাড়’

প্রকাশের সময় : ০৮:০৭:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জুলাই ২০২০

 

জনতার আদালত অনলাইন ॥ সকলের নজর এখন কালা পাহাড়ের দিকে। মিচমিচে কালো রংয়ের ছয় ফুট উচ্চতা ও ১৭ শ কেজি ওজনের ষাড়টি কত দামে বিক্রি হয় তা নিয়ে যেন আগ্রহের শেষ নেই এলাকাবাসীর। রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার ইলিশকোল গ্রামের বাসিন্দা খামারী কাছেদ আলী খানের কালো রংয়ের ষাড় গরুটির নাম কালা পাহাড়। ষাড়টির বয়স মাত্র পাঁচ বছর।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনই ষাড়টি দেখতে আাসছে শত শত মানুষ। আগ্রহী অনেকে দরদামও করছেন। অনেকে খুশী হয়ে ষাড়টির প্রশংসাও করেন।

কাছেদ আলী খান জানান, ২০১৫ সালে তার খামারের একটি গাভীর গর্ভে জন্ম নেয় শংকর প্রজাতির একটি বাছুর। গায়ের রং কালো। গাভীটির দুধ খুবই তরল। যেকারণে ওই দুধ কেউ কিনতে চাইতো না। প্রতিদিন ২৫ লিটার দুধ দিতো গাভিটি। এতো দুধ ফেলে তো দেয়া যায়না। তাই বাছুরটিকে খাওয়াতেন। মায়ের দুধ পান করতে করতে স্বাস্থ্যবান হয়ে ওঠে গাভিটি। দেখতে পাহাড়ের মত ও গায়ের রং কালো হওয়ায় তিনি  শখ করে নাম রাখেন কালা পাহাড়। তিনি আরও জানান, জন্মের পর প্রথম ১৪ মাসে ষাড়টি প্রায় চার টন দুধ পান করেছে। এতো পরিমাণ দুধ খাওয়ানোর কারণে তার খাবার চাহিদাও যায় বেড়ে। যেকারণে দুধ ছাড়ার পর তাকে প্রাকৃতিক খাবার খাওয়ানো হয়। কাছেদ আলী খান দাবি করেন, বাছুরটি বড় হওয়ার পর থেকে প্রতিদিন এক হাজার টাকা মূল্যের খাবার খাওয়ানো হতো। ন্যায্য দাম পেলে এবার কোরবানীর ঈদে কালা পাহাড় নামক ষাড়টিকে তিনি  বিক্রি করতে চান। গত কোরবানীর ঈদে ষাড়টির দাম উঠেছিল ১১ লাখ টাকা। কিন্তু আরও বেশি দাম পাওয়ার আশায় তিনি বিক্রি করেননি। কেউ কিনতে আগ্রহী হলে দরদাম ঠিক পেলে তিনি নিজে ষাড়টিকে ক্রেতার বাড়িতে পৌছে দেবেন বলে জানান তিনি।

বালিয়াকান্দি উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা প্রশান্ত রায় জানান, দেশিয় খাবার খাইয়ে খামারী গরুটিকে বড় করেছেন। কিছুদিন আগে আখ সেন্টারে নিয়ে গরুটির ওজন দেয়া হয়। ওই সময় গরুটির ওজন ছিল ১৭শ কেজি। এর উচ্চতা ছয় ফুট। এটি শুধু বালিয়াকন্দি নয়, রাজবাড়ী জেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় গরু। সাধারণতঃ সৌখিন লোকজন কোরবানীর ঈদে  এরকম গরু কিনে থাকে।