Dhaka ০৮:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

জনতার আদালত সম্পাদকের বিরুদ্ধে হয়রানীমূলক মিথ্যা মামলা, সর্বস্তরে প্রতিবাদ

সংবাদদাতা-
  • প্রকাশের সময় : ০৮:৪৩:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জুন ২০২০
  • / ১৮৩৫ জন সংবাদটি পড়েছেন

জনতার আদালত অনলাইন ॥ রাজনীতির নোংরা খেলা এমন পর্যায়ে পৌছেছে যে, শেষ পর্যন্ত পর্যুদস্ত করতে অপহরণ মামলা দায়ের করা হলো দৈনিক জনতার আদালত পত্রিকার সম্পাদক কেন্দ্রীয় কৃষকলীগ নেতা নুরে  আলম সিদ্দিকী হকের বিরুদ্ধে। কালুখালী উপজেলার মৃগী ইউনিয়নের জনৈক বাসিন্দা একটি প্রভাবশালী মহলের মদদে দায়ের করেছেন এ মিথ্যা মামলা। এ মিথ্যা মামলা দায়েরের প্রতিবাদে চারিদিকে উঠেছে প্রতিবাদের ঝড়।

নুরে আলম সিদ্দিকী হক দীর্ঘদিন যাবৎ আওয়ামী রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। মৃগীর ঐতিহ্যবাহী সরদার পরিবারের উত্তরসূরী তিনি। রাজবাড়ী জেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন দীর্ঘদিন ধরে। বাংলাদেশ কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন সফলভাবে। করোনাকালে সবকিছু স্থবির হয়ে পড়ায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। অসহায়কে দিয়েছেন সহায়। সাধারণ মানুষ, কৃষিজীবী, পত্রিকা বিক্রেতাসহ সব শ্রেণির মানুষকে সাধ্যমত সাহায্য করেছেন। রাজবাড়ী-২ আসন এলাকায় তার জনপ্রিয়তা ঈর্ষণীয়। দু দুবার তিনি কালুখালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। জনগণের কাছে নয়, প্রতিবারই হার মানতে হয়েছে প্রভাবশালী মহলের দাপটের কাছে। তার মহানুভবতা, সরলতা, মানুষের প্রতি তার ভালোবাসা তাকে নিয়ে গেছে অন্য এক উচ্চতায়। এসব দেখে সহ্য হচ্ছিলনা প্রভাবশালী ওই মহলটির। তাই নেমেছে নোংরা খেলায়। দিয়েছে অপহরণ মামলা। ইতিপূর্বেও তার বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র হয়েছে। হামলা মামলাও কম হয়নি। সবকিছু উপেক্ষা করে তিনি রয়ে েগেছেন সাধারণ মানুষের পাশে।

মামলার এজাহারে উল্লেখিত তারিখ ও সময়ে নুরে আলম সিদ্দিকী হক ছিলেন ঢাকার বাসায়। অথচ এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ওই সময়ে তিনি কিশোরী অপহরণে উপস্থিত ছিলেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে ওই কিশোরী তার প্রেমিকের সাথে অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমিয়েছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, গত ১৮ জুন তারিখে মৃগী বাজার এলাকা থেকে মৃগী ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ওয়াজেদ আলী মন্ডলকে প্রকাশ্য দিবালোকে অপহরণ করে দুর্বৃত্তরা। সাজানো মামলা দায়ের করা ব্যক্তিরাই ছিলেন অপহরণকান্ডে জড়িত। কৃষকলীগ নেতা নুরে আলম সিদ্দিকী হক বিষয়টি জেনে সাথে সাথে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন। যেকারণে তড়িঘরি করে ছেড়ে দেয়া হয় ওয়াজেদ মন্ডলকে। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওই কুচক্রী মহলটি এই মিথ্যা মামলা দিয়েছে।

এদিকে নুরে আলম সিদ্দিকী হকের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদ করেছে বিভিন্ন জন। বিশিষ্ট সমাজসেবক ফ্রান্স প্রবাসী আশরাফ ইসলাম তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে এ মামলার নিন্দা ও প্রতিবাদের পাশাপাশি চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলেছেন, মামলাটি সত্য প্রমাণ করতে পারলে ৫ লাখ টাকা পুরষ্কার দেবেন।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

জনতার আদালত সম্পাদকের বিরুদ্ধে হয়রানীমূলক মিথ্যা মামলা, সর্বস্তরে প্রতিবাদ

প্রকাশের সময় : ০৮:৪৩:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জুন ২০২০

জনতার আদালত অনলাইন ॥ রাজনীতির নোংরা খেলা এমন পর্যায়ে পৌছেছে যে, শেষ পর্যন্ত পর্যুদস্ত করতে অপহরণ মামলা দায়ের করা হলো দৈনিক জনতার আদালত পত্রিকার সম্পাদক কেন্দ্রীয় কৃষকলীগ নেতা নুরে  আলম সিদ্দিকী হকের বিরুদ্ধে। কালুখালী উপজেলার মৃগী ইউনিয়নের জনৈক বাসিন্দা একটি প্রভাবশালী মহলের মদদে দায়ের করেছেন এ মিথ্যা মামলা। এ মিথ্যা মামলা দায়েরের প্রতিবাদে চারিদিকে উঠেছে প্রতিবাদের ঝড়।

নুরে আলম সিদ্দিকী হক দীর্ঘদিন যাবৎ আওয়ামী রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। মৃগীর ঐতিহ্যবাহী সরদার পরিবারের উত্তরসূরী তিনি। রাজবাড়ী জেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন দীর্ঘদিন ধরে। বাংলাদেশ কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন সফলভাবে। করোনাকালে সবকিছু স্থবির হয়ে পড়ায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। অসহায়কে দিয়েছেন সহায়। সাধারণ মানুষ, কৃষিজীবী, পত্রিকা বিক্রেতাসহ সব শ্রেণির মানুষকে সাধ্যমত সাহায্য করেছেন। রাজবাড়ী-২ আসন এলাকায় তার জনপ্রিয়তা ঈর্ষণীয়। দু দুবার তিনি কালুখালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। জনগণের কাছে নয়, প্রতিবারই হার মানতে হয়েছে প্রভাবশালী মহলের দাপটের কাছে। তার মহানুভবতা, সরলতা, মানুষের প্রতি তার ভালোবাসা তাকে নিয়ে গেছে অন্য এক উচ্চতায়। এসব দেখে সহ্য হচ্ছিলনা প্রভাবশালী ওই মহলটির। তাই নেমেছে নোংরা খেলায়। দিয়েছে অপহরণ মামলা। ইতিপূর্বেও তার বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র হয়েছে। হামলা মামলাও কম হয়নি। সবকিছু উপেক্ষা করে তিনি রয়ে েগেছেন সাধারণ মানুষের পাশে।

মামলার এজাহারে উল্লেখিত তারিখ ও সময়ে নুরে আলম সিদ্দিকী হক ছিলেন ঢাকার বাসায়। অথচ এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ওই সময়ে তিনি কিশোরী অপহরণে উপস্থিত ছিলেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে ওই কিশোরী তার প্রেমিকের সাথে অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমিয়েছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, গত ১৮ জুন তারিখে মৃগী বাজার এলাকা থেকে মৃগী ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ওয়াজেদ আলী মন্ডলকে প্রকাশ্য দিবালোকে অপহরণ করে দুর্বৃত্তরা। সাজানো মামলা দায়ের করা ব্যক্তিরাই ছিলেন অপহরণকান্ডে জড়িত। কৃষকলীগ নেতা নুরে আলম সিদ্দিকী হক বিষয়টি জেনে সাথে সাথে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন। যেকারণে তড়িঘরি করে ছেড়ে দেয়া হয় ওয়াজেদ মন্ডলকে। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওই কুচক্রী মহলটি এই মিথ্যা মামলা দিয়েছে।

এদিকে নুরে আলম সিদ্দিকী হকের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদ করেছে বিভিন্ন জন। বিশিষ্ট সমাজসেবক ফ্রান্স প্রবাসী আশরাফ ইসলাম তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে এ মামলার নিন্দা ও প্রতিবাদের পাশাপাশি চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলেছেন, মামলাটি সত্য প্রমাণ করতে পারলে ৫ লাখ টাকা পুরষ্কার দেবেন।