Dhaka ০৪:৫৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভবদিয়ায় করোনা বিতর্কে নিহতের ঘটনায় মামলা তুলে নিতে বাদীকে হুমকি

সংবাদদাতা-
  • প্রকাশের সময় : ০৭:৫২:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ জুন ২০২০
  • / ১৪২৮ জন সংবাদটি পড়েছেন

জনতার আদালত অনলাইন ॥ রাজবাড়ী সদর উপজেলার বরাট ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের ভবদিয়ায় মৃত লাবলু মোল্লার স্ত্রী মোছাঃ জাহেদা খাতুনকে মামলা তুলে নিতে হুমকি দেওয়া হয়। যদি মামলা তুলে না নেওয়া হয় তবে তাকে এবং তার ছেলেকে হত্যা করে লাশ গুম করার হুমকি দিয়েছে তাদের প্রতিপক্ষরা। শনিবার রাত ১২ টার দিকে  বাদি জাহেদা খাতুনের নিজ বাড়িতে এ হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। এব্যাপারে তিনি রাজবাড়ী সদর থানায় এজাহার দিয়েছেন।

এজাহারে অভিযোগ করেছেন,   শনিবার রাত ১২টার দিকে কয়েকজন দুর্বৃত্ত জাহেদা খাতুনের বাড়িতেগিয়ে বাড়ির আরো যে শরিক রয়েছে তাদের প্রতি ঘরে কাচা পাটে দিয়ে শিকল ও দারজায় বাঁধে। এর পর জাহেদার ঘরের সামনে এসে তাকে ডাকতে থাকে। জাহেদা তখন ঘুম থেকে হতচকিত ভাবে উঠে পরে এবং বলে আপানারা কারা,তখন বাহির থেকে তারা বলে আমরা কে তা তোর জানার দরকার নাই। তখন বাহিরে থাকা লোকজনদের চিনতে বাড়ান্দার লাইট জ্বালাইলে ঘরের বেড়ার ফাঁক দিয়ে বাহিরে থাকা লোকজনদের চিনতে পারেন জাহেদা।

এসময় জাহেদার স্বামীর হত্যাকারী ১ নং আসামী ভবদিয়ার মঞ্জু ফকিরের ছেলে মোঃ মামুন ফকির বলে,যদি আমাদের বিরুদ্ধে করা মামলা তুলে না নেওয়া হয় তাহলে তোকে অথবা তোর ছেলে জাহিদুলকে খুন করে লাশ গুম করে ফেলব।এসময় জাহেদা বলে,মামলা আদালতে চলছে যা হওয়ার আদালতেই হবে। এ কথা বলা মাত্রই বাহিরে থাকা আসামীরা তাদের হাতে থাকা রামদা দিয়ে বেড়া কোপাতে খাকে এবং রড দিয়ে বাইরাইতে থাকে।

তখন তিনি চিৎকার শুরু করলে তাদের বাড়ির আশ পাশ থেকে আত্মীয় স্বজনেরা উঠে আসে।বাড়ির অন্যান্যদের ঘরে শিকল ও পাটদিয়ে বাঁধার কারনে তার ভাসুর,দেবর ও জা আসতে পারেনি। প্রতিবেশিরা এসে তাদের দরজার শিকল ও বাধন খুলে দিলে ঘর থেকে তারা বেড় হয়ে আসে। প্রতিবেশিরা আসার শব্দ শুনে আসামিরা চলে যায়।তবে আসামিরা যাবার সময় বলে,আজ লোকজনের কারনে কিছু করতে পারলামনা,তবে আমাদের বিরুদ্ধে মামলা তুলে না নিলে তোদের  খুন করে মামলা করার স্বাদ মিটাইয়া দিব বলে যায়।

এ ঘটনা সদর থানাকে জানানো হলে সদর থানা পুলিশ ঘটনা স্থলে যায় এবং সব কিছু শুনে আসে। উল্লেখ্য গত মার্চ মাসের ২১ তারিখ সকালে বরাট ইউনিয়নের ভবদিয়ায় করোনা ভাইরাস নিয়ে বিতর্ক হয় এবং এ বিতর্কে ভবদিয়ার জাহেদা বেগমের স্বামীকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করলে তিনি মারা যান। সেই দিনই রাজবাড়ী সদর থানায় ১৯ জনের নামে এবং অজ্ঞাত আরো বেশ কয়েকজনকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়। সেই মামলায় ১১জনকে আটক করে সদর থানা পুলিশ পরে কোর্ট থেকে ৪ জন বর্তমানে জামিনে রয়েছেন।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা স্বপন কুমার  মজুমদার বলেন, রাতে হুমকির অভিযোগ পেয়ে  জাহেদার বাড়িতে  পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। এবিষয়ে জাহেদা একটি এজাহার সদর থানায় দিয়েছেন।   ঘটনা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

গত মার্চ মাসের ২১ তারিখে করোনা বিতর্কে বরাট ইউনয়নের ২ নং ওয়ার্ডের ভবদিয়ার বাসিন্দা লাবলুকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে হত্যা করে এজাহারে উল্লেখ করা আসামীরা। সেই দিনই সদর থানায় ১৯ জনের নামে ও অজ্ঞাত আরো বেশ কয়েক জনের নামে মামলা করা হয়।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

ভবদিয়ায় করোনা বিতর্কে নিহতের ঘটনায় মামলা তুলে নিতে বাদীকে হুমকি

প্রকাশের সময় : ০৭:৫২:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ জুন ২০২০

জনতার আদালত অনলাইন ॥ রাজবাড়ী সদর উপজেলার বরাট ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের ভবদিয়ায় মৃত লাবলু মোল্লার স্ত্রী মোছাঃ জাহেদা খাতুনকে মামলা তুলে নিতে হুমকি দেওয়া হয়। যদি মামলা তুলে না নেওয়া হয় তবে তাকে এবং তার ছেলেকে হত্যা করে লাশ গুম করার হুমকি দিয়েছে তাদের প্রতিপক্ষরা। শনিবার রাত ১২ টার দিকে  বাদি জাহেদা খাতুনের নিজ বাড়িতে এ হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। এব্যাপারে তিনি রাজবাড়ী সদর থানায় এজাহার দিয়েছেন।

এজাহারে অভিযোগ করেছেন,   শনিবার রাত ১২টার দিকে কয়েকজন দুর্বৃত্ত জাহেদা খাতুনের বাড়িতেগিয়ে বাড়ির আরো যে শরিক রয়েছে তাদের প্রতি ঘরে কাচা পাটে দিয়ে শিকল ও দারজায় বাঁধে। এর পর জাহেদার ঘরের সামনে এসে তাকে ডাকতে থাকে। জাহেদা তখন ঘুম থেকে হতচকিত ভাবে উঠে পরে এবং বলে আপানারা কারা,তখন বাহির থেকে তারা বলে আমরা কে তা তোর জানার দরকার নাই। তখন বাহিরে থাকা লোকজনদের চিনতে বাড়ান্দার লাইট জ্বালাইলে ঘরের বেড়ার ফাঁক দিয়ে বাহিরে থাকা লোকজনদের চিনতে পারেন জাহেদা।

এসময় জাহেদার স্বামীর হত্যাকারী ১ নং আসামী ভবদিয়ার মঞ্জু ফকিরের ছেলে মোঃ মামুন ফকির বলে,যদি আমাদের বিরুদ্ধে করা মামলা তুলে না নেওয়া হয় তাহলে তোকে অথবা তোর ছেলে জাহিদুলকে খুন করে লাশ গুম করে ফেলব।এসময় জাহেদা বলে,মামলা আদালতে চলছে যা হওয়ার আদালতেই হবে। এ কথা বলা মাত্রই বাহিরে থাকা আসামীরা তাদের হাতে থাকা রামদা দিয়ে বেড়া কোপাতে খাকে এবং রড দিয়ে বাইরাইতে থাকে।

তখন তিনি চিৎকার শুরু করলে তাদের বাড়ির আশ পাশ থেকে আত্মীয় স্বজনেরা উঠে আসে।বাড়ির অন্যান্যদের ঘরে শিকল ও পাটদিয়ে বাঁধার কারনে তার ভাসুর,দেবর ও জা আসতে পারেনি। প্রতিবেশিরা এসে তাদের দরজার শিকল ও বাধন খুলে দিলে ঘর থেকে তারা বেড় হয়ে আসে। প্রতিবেশিরা আসার শব্দ শুনে আসামিরা চলে যায়।তবে আসামিরা যাবার সময় বলে,আজ লোকজনের কারনে কিছু করতে পারলামনা,তবে আমাদের বিরুদ্ধে মামলা তুলে না নিলে তোদের  খুন করে মামলা করার স্বাদ মিটাইয়া দিব বলে যায়।

এ ঘটনা সদর থানাকে জানানো হলে সদর থানা পুলিশ ঘটনা স্থলে যায় এবং সব কিছু শুনে আসে। উল্লেখ্য গত মার্চ মাসের ২১ তারিখ সকালে বরাট ইউনিয়নের ভবদিয়ায় করোনা ভাইরাস নিয়ে বিতর্ক হয় এবং এ বিতর্কে ভবদিয়ার জাহেদা বেগমের স্বামীকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করলে তিনি মারা যান। সেই দিনই রাজবাড়ী সদর থানায় ১৯ জনের নামে এবং অজ্ঞাত আরো বেশ কয়েকজনকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়। সেই মামলায় ১১জনকে আটক করে সদর থানা পুলিশ পরে কোর্ট থেকে ৪ জন বর্তমানে জামিনে রয়েছেন।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা স্বপন কুমার  মজুমদার বলেন, রাতে হুমকির অভিযোগ পেয়ে  জাহেদার বাড়িতে  পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। এবিষয়ে জাহেদা একটি এজাহার সদর থানায় দিয়েছেন।   ঘটনা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

গত মার্চ মাসের ২১ তারিখে করোনা বিতর্কে বরাট ইউনয়নের ২ নং ওয়ার্ডের ভবদিয়ার বাসিন্দা লাবলুকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে হত্যা করে এজাহারে উল্লেখ করা আসামীরা। সেই দিনই সদর থানায় ১৯ জনের নামে ও অজ্ঞাত আরো বেশ কয়েক জনের নামে মামলা করা হয়।