Dhaka ০৭:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বালিয়াকান্দি শেখ রাসেল স্টেডিয়ামে পেঁয়াজের হাট ॥ ছক করা ঘটে ৭ ফুট দূরত্বে কৃষকরা

সংবাদদাতা-
  • প্রকাশের সময় : ০৭:১১:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ এপ্রিল ২০২০
  • / ১৪৮৮ জন সংবাদটি পড়েছেন

জনতার আদালত অনলাইন ॥ চলছে পেয়াঁজের মৌসুম। রয়েছে করোনা সংক্রমণের ভয়। উৎপাদিত পেঁয়াজ বিক্রি করতে না পারলে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবে কৃষক। সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলা প্রশাসন উপজেলার শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে কৃষকদের পেঁয়াজ বেচাকেনার সুযোগ করে দিয়েছে। এতে করে আড়তদাররাও যেমন পেঁয়াজ কিনতে পারছে, তেমনি কৃষকরাও বিক্রি করতে পারছে তাদের উৎপাদিত পেঁয়াজ।
বালিয়াকান্দি উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, করোনা সংক্রমণের কারণে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে এটা অনেকেই মেনে চলছিলনা। বালিয়াকান্দি উপজেলা প্রশাসন উদ্যোগি হয়ে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে হাট বসানোর উদ্যোগ গ্রহণ করে। কৃষকদের দাঁড়ানোর জন্য আট ফুট বাই দশ ফুট ঘর করে দাগ টেনে দেয়া হয়েছে। এক ঘর থেকে আরেক ঘরের দূরত্ব সাত ফুট। মোট একশ পাঁচজন কৃষক একসাথে তাদের উৎপাদিত পণ্য নিয়ে দাঁড়াতে পারবে। এছাড়্ া২৫ জন আড়তদারের জন্য মাঠের তিন দিকে দাগ টেনে ২৫টি ঘর করা হয়েছে। যেগুলোর আয়তন লম্বা ৩০ ফুট চওড়া ৩০ ফুট। বালিয়াকান্দি ইউনিয়ন হাটবাজার ব্যবস্থাপনা কমিটি, উপজেলা প্রকৌশল অফিস, বালিয়াকান্দি সদর ইউনিয়ন পরিষদ, বালিয়াকান্দি উপজেলা স্কাউটস ও বালিয়াকান্দি বাজার বণিক সমিতি এতে সহযোগিতা করছে।
বালিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম হেদায়েতুল ইসলাম এ প্রসঙ্গে বলেন, বালিয়াকান্দি উপজেলার প্রধান উৎপাদিত কৃষি পণ্য পেঁয়াজ। উপজেলার ১৬ হাজার হেক্টর কৃষিজমির মধ্যে ১০ হাজার হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ উৎপাদন হয় এক লক্ষ ২০ হাজার মে.টন। যা ক্রয় বিক্রয়ের স্থান উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজার। কিন্তু হাট বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঁেপয়াজ চাষীরা কাঁচাবাজারে স্বল্প জায়গায় চাপাচাপি করে তাদের উৎপাদিত পেয়াজ বিক্রয় করছিল। কারণ এ পেঁয়াজ বিক্রি করে সার বীজ কিনে তারা অন্য কৃষি শস্য বপন করবে। এমতাবস্থায় কৃষকের উৎপাদিত পেঁয়াজ বিক্রি জরুরী। একই সাথে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। সার্বিক বিষয় বিবেচনা করেই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। স্টেডিয়ামের প্যাভেলিয়ানে করা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। পর্যায়ক্রমে উপজেলার সবগুলো হাট এভাবে করার পরিকল্পনা রয়েছে।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

বালিয়াকান্দি শেখ রাসেল স্টেডিয়ামে পেঁয়াজের হাট ॥ ছক করা ঘটে ৭ ফুট দূরত্বে কৃষকরা

প্রকাশের সময় : ০৭:১১:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ এপ্রিল ২০২০

জনতার আদালত অনলাইন ॥ চলছে পেয়াঁজের মৌসুম। রয়েছে করোনা সংক্রমণের ভয়। উৎপাদিত পেঁয়াজ বিক্রি করতে না পারলে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবে কৃষক। সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলা প্রশাসন উপজেলার শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে কৃষকদের পেঁয়াজ বেচাকেনার সুযোগ করে দিয়েছে। এতে করে আড়তদাররাও যেমন পেঁয়াজ কিনতে পারছে, তেমনি কৃষকরাও বিক্রি করতে পারছে তাদের উৎপাদিত পেঁয়াজ।
বালিয়াকান্দি উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, করোনা সংক্রমণের কারণে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে এটা অনেকেই মেনে চলছিলনা। বালিয়াকান্দি উপজেলা প্রশাসন উদ্যোগি হয়ে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে হাট বসানোর উদ্যোগ গ্রহণ করে। কৃষকদের দাঁড়ানোর জন্য আট ফুট বাই দশ ফুট ঘর করে দাগ টেনে দেয়া হয়েছে। এক ঘর থেকে আরেক ঘরের দূরত্ব সাত ফুট। মোট একশ পাঁচজন কৃষক একসাথে তাদের উৎপাদিত পণ্য নিয়ে দাঁড়াতে পারবে। এছাড়্ া২৫ জন আড়তদারের জন্য মাঠের তিন দিকে দাগ টেনে ২৫টি ঘর করা হয়েছে। যেগুলোর আয়তন লম্বা ৩০ ফুট চওড়া ৩০ ফুট। বালিয়াকান্দি ইউনিয়ন হাটবাজার ব্যবস্থাপনা কমিটি, উপজেলা প্রকৌশল অফিস, বালিয়াকান্দি সদর ইউনিয়ন পরিষদ, বালিয়াকান্দি উপজেলা স্কাউটস ও বালিয়াকান্দি বাজার বণিক সমিতি এতে সহযোগিতা করছে।
বালিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম হেদায়েতুল ইসলাম এ প্রসঙ্গে বলেন, বালিয়াকান্দি উপজেলার প্রধান উৎপাদিত কৃষি পণ্য পেঁয়াজ। উপজেলার ১৬ হাজার হেক্টর কৃষিজমির মধ্যে ১০ হাজার হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ উৎপাদন হয় এক লক্ষ ২০ হাজার মে.টন। যা ক্রয় বিক্রয়ের স্থান উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজার। কিন্তু হাট বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঁেপয়াজ চাষীরা কাঁচাবাজারে স্বল্প জায়গায় চাপাচাপি করে তাদের উৎপাদিত পেয়াজ বিক্রয় করছিল। কারণ এ পেঁয়াজ বিক্রি করে সার বীজ কিনে তারা অন্য কৃষি শস্য বপন করবে। এমতাবস্থায় কৃষকের উৎপাদিত পেঁয়াজ বিক্রি জরুরী। একই সাথে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। সার্বিক বিষয় বিবেচনা করেই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। স্টেডিয়ামের প্যাভেলিয়ানে করা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। পর্যায়ক্রমে উপজেলার সবগুলো হাট এভাবে করার পরিকল্পনা রয়েছে।