Dhaka ০৭:৩৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চালকের বিরুদ্ধে গাছ কাটার অভিযোগ

সংবাদদাতা-
  • প্রকাশের সময় : ০৯:৪৭:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ অগাস্ট ২০১৯
  • / ১৭৪০ জন সংবাদটি পড়েছেন


জনতার আদালত অনলাইন ॥ রাতের আঁধারে হাসপাতাল কম্পাউন্ডের ভেতর থেকে এম্বুলেন্স চালক মো. নাসির উদ্দিন ৫টি বড় আকারের মেহগনি ও শিশু গাছ কেটেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার দিনগত রাতে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।
জানা যায়, গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এম্বুলেন্স চালক মো. নাছির উদ্দিনের নেতৃত্বে কয়েকজন গাছ কাটা শ্রমিক গত শনিবার সন্ধ্যা থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত কমপ্লেক্সের ভেতরে থাকা বড় আকারের দুইটি মেহগনি ও তিনটি শিশু গাছ কেটে ফেলেন। এ ক্ষেত্রে তিনি সরকারী গাছ কাটার কোন নিয়ম কানুন মানা তো দুরে থাকা কর্তৃপক্ষের সাথেও কোন প্রকার আলোচনা করেননি বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ সৃষ্টি হলে তারা বিষয়টি জানাজানি করেন। সরেজমিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, গাছগুলো কেটে বিভিন্ন সাইজে খন্ড খন্ড করে ফেলে রাখা হয়েছে। তবে এ কাজের সাথে জড়িত কাউকে সেখানে দেখা যায়নি।
এ সময় কথা হয় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আসিফ মাহমুদের সাথে। তিনি জানান, সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় তিনি ঢাকায় ছিলেন। এই মাত্র আসলেন। হাসপাতালে এসে বিষয়টি জানতে পেরেছেন। হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতা অভিযান চলছে। পরিচ্ছন্নতার জন্য দু’একটি মরা গাছ কাটার প্রয়োজন হলে সেটা কাটার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু মরে যাওয়া গাছের সাথে জীবন্ত গাছ কাটা হয়েছে এটা খুবই দুঃখজনক। তাও আবার রাতের আঁধারে। এ কাজটি কেন করলেন এম্বুলেন্স চালক নাসির, তাকে এ ব্যাপারে কৈফিয়ত চাওয়া হবে।
এ প্রসঙ্গে গোয়ালন্দ উপজেলা বন কর্মকর্তা মীর সাইদুর রহমান জানান, সরকারী মরা গাছ কাটারও একটা নিয়ম আছে। উপজেলার মাসিক সমন্বয় সভায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি তুলবেন। এরপর জেলা প্রশাসক মহোদয়ের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হবে। প্রস্তাব পাশ হলে নিলাম বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে মরা গাছ কাটার পক্রিয়া সম্পন্ন করার কথা। আর জীবন্ত গাছ হলে মন্ত্রণালয়ের অনুমতি প্রয়োজন হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গাছ কাটার ব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না। এ ধরনের কোন প্রস্তাবও সমন্বয় সভায় আলোচনা হয়নি।
অভিযুক্ত এম্বুলেন্স চালক মো. নাসির উদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার স্যারের সাথে আলাপ করেন। স্যারের নির্দেশ মতই গাছ কাটা হয়েছে। আমি শুধু স্যারের নির্দেশ পালন করেছি।’

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চালকের বিরুদ্ধে গাছ কাটার অভিযোগ

প্রকাশের সময় : ০৯:৪৭:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ অগাস্ট ২০১৯


জনতার আদালত অনলাইন ॥ রাতের আঁধারে হাসপাতাল কম্পাউন্ডের ভেতর থেকে এম্বুলেন্স চালক মো. নাসির উদ্দিন ৫টি বড় আকারের মেহগনি ও শিশু গাছ কেটেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার দিনগত রাতে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।
জানা যায়, গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এম্বুলেন্স চালক মো. নাছির উদ্দিনের নেতৃত্বে কয়েকজন গাছ কাটা শ্রমিক গত শনিবার সন্ধ্যা থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত কমপ্লেক্সের ভেতরে থাকা বড় আকারের দুইটি মেহগনি ও তিনটি শিশু গাছ কেটে ফেলেন। এ ক্ষেত্রে তিনি সরকারী গাছ কাটার কোন নিয়ম কানুন মানা তো দুরে থাকা কর্তৃপক্ষের সাথেও কোন প্রকার আলোচনা করেননি বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ সৃষ্টি হলে তারা বিষয়টি জানাজানি করেন। সরেজমিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, গাছগুলো কেটে বিভিন্ন সাইজে খন্ড খন্ড করে ফেলে রাখা হয়েছে। তবে এ কাজের সাথে জড়িত কাউকে সেখানে দেখা যায়নি।
এ সময় কথা হয় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আসিফ মাহমুদের সাথে। তিনি জানান, সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় তিনি ঢাকায় ছিলেন। এই মাত্র আসলেন। হাসপাতালে এসে বিষয়টি জানতে পেরেছেন। হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতা অভিযান চলছে। পরিচ্ছন্নতার জন্য দু’একটি মরা গাছ কাটার প্রয়োজন হলে সেটা কাটার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু মরে যাওয়া গাছের সাথে জীবন্ত গাছ কাটা হয়েছে এটা খুবই দুঃখজনক। তাও আবার রাতের আঁধারে। এ কাজটি কেন করলেন এম্বুলেন্স চালক নাসির, তাকে এ ব্যাপারে কৈফিয়ত চাওয়া হবে।
এ প্রসঙ্গে গোয়ালন্দ উপজেলা বন কর্মকর্তা মীর সাইদুর রহমান জানান, সরকারী মরা গাছ কাটারও একটা নিয়ম আছে। উপজেলার মাসিক সমন্বয় সভায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি তুলবেন। এরপর জেলা প্রশাসক মহোদয়ের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হবে। প্রস্তাব পাশ হলে নিলাম বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে মরা গাছ কাটার পক্রিয়া সম্পন্ন করার কথা। আর জীবন্ত গাছ হলে মন্ত্রণালয়ের অনুমতি প্রয়োজন হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গাছ কাটার ব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না। এ ধরনের কোন প্রস্তাবও সমন্বয় সভায় আলোচনা হয়নি।
অভিযুক্ত এম্বুলেন্স চালক মো. নাসির উদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার স্যারের সাথে আলাপ করেন। স্যারের নির্দেশ মতই গাছ কাটা হয়েছে। আমি শুধু স্যারের নির্দেশ পালন করেছি।’