Dhaka ০৩:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বালিয়াকান্দিতে চারকোল কারখানায় অগ্নিকান্ডে কোটি টাকার ক্ষতি

সংবাদদাতা-
  • প্রকাশের সময় : ১১:৩১:৪৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ মে ২০১৮
  • / ১৪৪৯ জন সংবাদটি পড়েছেন

জনতার আদালত অনলাইন ॥ রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার সদর ইউনিয়নের খোর্দ মেগচামী গ্রামে অবস্থিত একটি চারকোল কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে কোটি টাকার সম্পদ ভস্মিভূত হয়েছে। মঙ্গলবার এ ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের সাতটি ইউনিট চার ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। বালিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুম রেজা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তবে কারখানাটির কোনো অনুমোদন আছে কী না বা এটিতে কী উৎপাদন করা হতো উপজেলা প্রশাসন এব্যাপারে তেমন কিছুই জানাতে পারেনি। অগ্নিকান্ডের ঘটনায় কারখানার মালিক মিজানুর রহমান প্রচন্ডভাবে মুষড়ে পড়েছেন। তার সাথে কথা বলার চেষ্টা করেও কোন লাভ হয়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মঙ্গলবার সকাল আটটার দিকে হঠাৎই কারখানার ভেতরে আগুন দেখতে পাওয়া যায়। মুহূর্তেই আগুনের লেলিহান শিখা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। তবে ওই সময় কারখানাটিতে কোনো শ্রমিক ছিলনা। স্থানীয় লোকজন বালিয়াকান্দি ফায়ার সার্ভিসকে আগুনের বিষয়টি জানায়।
বালিয়াকান্দি উপজেলা ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের লিডার রেজাউল করিম জানান, অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত এখনও পর্যন্ত অজ্ঞাত। কারখানাটিতে পাটকাঠি দিয়ে ছাই উৎপাদন হতো বলে তারা জেনেছেন। অগ্নিকান্ডে অর্ধকোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তিনি।
ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক এবিএম মমতাজ উদ্দিন আহমেদ জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে রাজবাড়ী, পাংশা, মধুখালী, ফরিদপুর, বালিয়াকান্দি ফায়ার স্টেশনের সাতটি ইউনিট কাজ করেছে। দীর্ঘ চার ঘন্টারও বেশি সময়ের চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণ আসে। কারখানাটিতে অগ্নি নির্বাপক বা পানির কোনো ব্যবস্থা ছিলনা। স্থানীয়রা দুটি স্যালো মেশিনের ব্যবস্থা করে দেয়ায় আগুন নেভাতে সুবিধা হয়েছে। বেশ কয়েকদিন আগে থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়া কারখানায় উৎপাদিত মালামাল অপরিকল্পিতভাবে গুদামজাত করা ছিল।
বালিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুম রেজা বলেন, খবর পেয়ে তিনিসহ উপজেলা প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। অগ্নিকান্ড সত্যিই ভয়াবহ ছিল। পানি দিলেই আগুন আরও বেড়ে যেত। কারখানাটিতে কী উৎপাদন হতো বা কারখানাটির কোনো অনুমোদন আছে কীনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। কাগজপত্র নিয়ে কারখানার মালিককে ডেকে পাঠানো হয়েছে। কারখানাটিতে সম্ভবতঃ কোনো কেমিকেল তৈরি হতো বলে ধারণা করা হচ্ছে।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

বালিয়াকান্দিতে চারকোল কারখানায় অগ্নিকান্ডে কোটি টাকার ক্ষতি

প্রকাশের সময় : ১১:৩১:৪৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ মে ২০১৮

জনতার আদালত অনলাইন ॥ রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার সদর ইউনিয়নের খোর্দ মেগচামী গ্রামে অবস্থিত একটি চারকোল কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে কোটি টাকার সম্পদ ভস্মিভূত হয়েছে। মঙ্গলবার এ ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের সাতটি ইউনিট চার ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। বালিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুম রেজা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তবে কারখানাটির কোনো অনুমোদন আছে কী না বা এটিতে কী উৎপাদন করা হতো উপজেলা প্রশাসন এব্যাপারে তেমন কিছুই জানাতে পারেনি। অগ্নিকান্ডের ঘটনায় কারখানার মালিক মিজানুর রহমান প্রচন্ডভাবে মুষড়ে পড়েছেন। তার সাথে কথা বলার চেষ্টা করেও কোন লাভ হয়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মঙ্গলবার সকাল আটটার দিকে হঠাৎই কারখানার ভেতরে আগুন দেখতে পাওয়া যায়। মুহূর্তেই আগুনের লেলিহান শিখা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। তবে ওই সময় কারখানাটিতে কোনো শ্রমিক ছিলনা। স্থানীয় লোকজন বালিয়াকান্দি ফায়ার সার্ভিসকে আগুনের বিষয়টি জানায়।
বালিয়াকান্দি উপজেলা ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের লিডার রেজাউল করিম জানান, অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত এখনও পর্যন্ত অজ্ঞাত। কারখানাটিতে পাটকাঠি দিয়ে ছাই উৎপাদন হতো বলে তারা জেনেছেন। অগ্নিকান্ডে অর্ধকোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তিনি।
ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক এবিএম মমতাজ উদ্দিন আহমেদ জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে রাজবাড়ী, পাংশা, মধুখালী, ফরিদপুর, বালিয়াকান্দি ফায়ার স্টেশনের সাতটি ইউনিট কাজ করেছে। দীর্ঘ চার ঘন্টারও বেশি সময়ের চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণ আসে। কারখানাটিতে অগ্নি নির্বাপক বা পানির কোনো ব্যবস্থা ছিলনা। স্থানীয়রা দুটি স্যালো মেশিনের ব্যবস্থা করে দেয়ায় আগুন নেভাতে সুবিধা হয়েছে। বেশ কয়েকদিন আগে থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়া কারখানায় উৎপাদিত মালামাল অপরিকল্পিতভাবে গুদামজাত করা ছিল।
বালিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুম রেজা বলেন, খবর পেয়ে তিনিসহ উপজেলা প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। অগ্নিকান্ড সত্যিই ভয়াবহ ছিল। পানি দিলেই আগুন আরও বেড়ে যেত। কারখানাটিতে কী উৎপাদন হতো বা কারখানাটির কোনো অনুমোদন আছে কীনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। কাগজপত্র নিয়ে কারখানার মালিককে ডেকে পাঠানো হয়েছে। কারখানাটিতে সম্ভবতঃ কোনো কেমিকেল তৈরি হতো বলে ধারণা করা হচ্ছে।